তিনি আসবেন বলেই এত সব আয়োজন। পাখির কুজন, ঝর্ণার কলতান, ফুলের সুবাস, বাতাসের হুল্লোড়, মেঘের ভেসে চলা; হেমন্তের শিশির ভেজা সকাল, বর্ষার চঞ্চলা প্রকৃতি; মায়ের অপার আদর, বাবার অপত্য স্নেহ , ভাইয়ের শাসন, বোনের আবদার- যা কিছু ভাল লাগার-ভালবাসার, এসব কিছুই সৃষ্টি হতোনা ; খোদ আমরাই অস্থিত্ব পেতামনা যদি তাঁকে সৃষ্টি করা না হতো ।
মহান আল্লাহ নিজেকে প্রকাশের ইচ্ছে থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন ; এবং প্রথম যেটা সৃষ্টি করলেন সেটা নুরনবীর জবানে এরকম-
আউয়ালু মা খালাকাল্লাহু নুরী ( আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নুর সৃষ্টি করেছেন ) ।
তিনি আরো বলেছেন- আমি তখনো নবী ছিলাম আদম যখন কাদা ও মাটিতে।
সবার আগে সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে আল্লাহ তার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পাঠালেন সকল নবী রাসুলের পরে । খাতামুন্নবীয়্যিনকে পাঠানো হলো দীন ইসলামের পূর্ণতা দেওয়ার জন্য সভ্যতার পূর্ণতার প্রান্তসীমায়।
যার জন্য এতো আয়োজন , যাকে সৃষ্টি করা না হলে কিছুই সৃষ্টি করা হতোনা তাঁর ভূষণ করে দেওয়া হলো দারিদ্রকে। দুনিয়া ও আখেরাতের বাদশা হয়েও তিনি দুনিয়াবি সম্পদের প্রতি এতটুকু ভালবাসা দেখাননি। উদ্দেশ্য- অনুসারীরা যেন দুনিয়ার মোহে পড়ে অনন্ত জীবনের অফুরন্ত পুরস্কার থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে না ফেলে । তিনি যুদ্ধ করেছেন শান্তির প্রয়োজনে, সন্ধিও করেছেন শান্তির প্রয়োজনে। তাঁর মিশনটাই ছিল বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা। তিনি তেমনটা নন যেমনটা তাঁকে চিত্রিত করার চেষ্টায় আছে কিছু শ্বেত কুলাঙ্গার । তিনি তেমনটাও নন যেমনটা বলে তাঁকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আছে কিছু বিপথগামী আরব । তিনি মুমিনের জন্য রউফুর রহীম-সদাশয়, দয়াময় । তিনি নিখিল বিশ্বের জন্য রাহমাতুল্লিল আলামীন । তাঁকে পেয়েও যে তাঁর মর্যাদা বুঝেনি, বুঝেনা - তার বাঁচা মরা দুইই সমান।
তিনি এসেছেন পবিত্র বারই রবিউল আউয়াল- তারিখটায় সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টার অন্ত নেই তাঁর দুশমনদের । আমরা যারা শত পাপ করেও মাফের আশা রাখি, যারা তাঁকে রউফুর রহীম- রাহমাতুল্লিল আলামীন-শফিউল মুজনিবীন জানি ও মানি তাদের মরা দিল জিন্দা হওয়ার সে দিন সমাগত । এসো বন্ধু , তাঁকে বরণ করি মনের সমস্ত উচ্ছ্বাস দিয়ে-
তালায়াল বদরু আলাইনা
মিন সানিয়াতিল বিদায়ি
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা
মা দাআ লিল্লাহি দা-য়ি..
এয়া নবী সালাম আলাইকা ...
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮