৩১ জ্যৈষ্ঠ-১৪১৬ বাংলা । গ্রেগরিয়ান গণনায় তারিখটা চৌদ্দই জুন-২০০৯ । ১৯ জমাদিইসসানি ১৪৩০ হিজরি । রবিবার; রবি তখন মধ্য গগনে , ঠিক বারোটায়
মাতুয়াইল মাতৃস্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের অপারেশন থিয়েটারে ও প্রথম পৃথিবীর আলো দেখে । না; এসেই কান্না জুড়ে দেয়নি। কৌতুহল নিয়ে দেখছিল - একি অপরূপ রূপ মা তোমার ...
সব প্রার্থীকে হঠিয়ে হাবিব আল হাসনাইন নামটি তার পরিচয় হিসেবে বিজয়ী হয়।
হাবিব মানে বন্ধু, আর হাসনাইন ? সৈয়্যদুনা ইমাম হাসান ও হোসাইনকে একসাথে হাসনাইন ডাকেন আহলে বাইতে রাসুলের গোলামগণ ।
তাঁদের ভালবাসার বৃত্তে আজীবনের বন্ধন - হাবিব আল হাসনাইন।
ওর আধো বোলের বয়সে ওর মুখ দিয়ে বেরোয় চিশতিয়া শব্দটি। তখন থেকে ওর পরিচয় হয়ে দাঁড়ায় হাবিব আল হাসনাইন চিশতি।
শান্ত, কিছুটা একরোখা।
বর্ণমালা শেখার আগেই মিনা, টম এন্ড জেরি...এসব চিনে ফেলেছে। ডিজিটাল প্রজন্ম বলে কথা।
মাকে বেশি ভাল বাস ? নাকি বাবাকে ?
একটু সময় নিয়ে সেয়ানা উত্তর- বাবা ।
কী ? বাবা ?
না , না; আমি বাবা মা দুজনকেই ভালবাসি ।
পড়তে বললে বাহনার শেষ নেই ।
বাবা, আচ্ছা একটু খেলাটা শেষ করে নিইনা ;
আচ্ছা , কার্টুনটা দেখা হলে পড়তে বসব ;
বাবা , তুমি বলেছিলে না শুক্রবার পড়তে হবেনা ?
খাবার দাবার ?
না, মাছ খাবেনা , শাক সবজি খাবেনা ,ডাল খাবেনা ।
ফার্মের মুরগি দিয়ে দু এক গ্রাস; কখনো বা দুধ কলা হলেই ব্যস ।
নিজের মতো একটা জগত তার । এর মধ্যে চিন্তাবিদ স্টাইলও রপ্ত করেছে ।
বাবার যাযাবর জীবনের সঙ্গী হয়ে এরি মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ -নারায়ণগঞ্জ; ঘোড়াশাল-নরসিংদী;পটিয়া-চট্টগ্রাম; গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জের আলো বাতাসের স্পর্শ পেয়েছে ।
স্কুলে ভর্তি সিরিয়াল ৩২, কিন্তু সেটা তার কিছুতেই পছন্দের না ।
ও আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে যাচ্ছে ।
নিজেকে আলোকিত করার জীবন; সে আলোয় আশ পাশটাকেও আলোকিত করার জীবনে সে পা দিতে যাচ্ছে চলতি সপ্তাহে ।
দোয়া করবেন ।
হাবিব যেন সত্য-সুন্দর-ন্যায়ের বন্ধু হয় ।
আলোকিত মানুষ হোক আমাদের চিশতিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩