আমাদের কাঁচামাল, আমাদের ভূমি, দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমাদেরই দিতে হবে, আমাদেরই কৃষিজমি, আবাসস্থল, পানি, বন, জনজীবন ও অর্থনীতি বিসর্জন দিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হবে- তারপরও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে আর ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে (যে এই ঋণ আমাদেরই পরিশোধ করতে হবে) অন্যায়ভাবে ৮৫% মালিকানা তুলে দেয়া হলো ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি’র হাতে। আর সেই এনটিপিসি নিজের ইচ্ছামতো চড়া দামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের কাছেই বিক্রি করে বিলিয়ন-বিলিয়ন মুনাফা লুটবে। খোদ ভারতের মাটিতে বিনিয়োগ করেও এতো মুনাফা লুটতে পারবে না কোনো ভারতীয় কোম্পানি।
ভারতীয় লুণ্ঠন আর আধিপত্যবাদের কাছে জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দেয়ার এটাই শেষ পদক্ষেপ না, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে পরিমাণ মুনাফা করবে ভারতীয় কোম্পানি তার পুরোটাই যেন ভারতে নিয়ে যেতে পারে, তার জন্য কোম্পানিকে ১০ বছরের কর রেয়াত সুবিধা দিয়ে দিল সরকার। এই কর রেয়াত সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান মেনে নিয়ে সরকার দেশকে ভারতের কাছে হেয় ও অথর্ব প্রতিপন্ন করে দিলো।
সারা বিশ্ব এ বীরের জাতিকে এমন একটি দেশের কাছে অপদস্ত অবস্থায় দেখছে, যে দেশটি আদতে এদেশের শত্রু, মুসলমানদের শত্রু, ইসলামবিদ্বেষী এবং যে দেশটি নির্বিচারে সীমান্তে নিরপরাধ বাংলাদেশীদের হত্যা-যুলুম-নির্যাতন করে যাচ্ছে। এ ধরনের অসম চুক্তি স্বাক্ষরের মানে হচ্ছে- ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির অধীনস্থতা মেনে নেয়া, যা কস্মিনকালেও এদেশের জনগণ মেনে নিবে না।