আমরা মানব সমাজ যন্ত্রের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরেছি । কোন কারণ ছাড়াই রিমোট নিয়ে এক চ্যানেল থেকে অন্য চ্যানেলে ঢুঁ মারি ।অথচ ফুটবল খেলা ছাড়া একটি প্রোগ্রাম ভালো মতো দেখা হয় না। আবার ফেসবুক আর ইন্টারনেটে অকারনে ঘুরাঘুরি তো আছেই।
আর দৈনিক একটা-দুইটা মুভি দেখা সম্প্রতি রুটিনে পরিণত হয়েছে।
অথচ এক সময় আমার কাছে বিনোদনের সোর্স ছিল শুধু বই। ছিল না কম্পিউটার , ছিল না ডিসের লাইন। স্কুল লাইফে ক্রিকেট আর হাতের কাছে থাকা কিছু বই ছিল বিনোদনের প্রধান মাধ্যম। ক্লাস নাইনে যখন আসার পর খেলাধুলাও প্রায় বন্ধ হয়ে গেলো। তখন বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে হুমায়ূন আহমেদ , আনিসুল হক, জাফর ইকবালের প্রচুর বই পড়েছিলাম ।
আর এখন একটি বই পড়া শুরু করলে শেষ করতে সপ্তাহখানিক লেগে যাই ।স্কুল-কলেজ লাইফে সুনীল গঙ্গোপাধ্যয় , শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয়, সমরেশের মজুমদার এর উপন্যাসগুলো চার-পাঁচ দিনে পড়ে শেষ করতাম ।গল্পের বই একটি শেষ হলে আরও একটি পড়ার জন্য মন হাহাকার করত।
এখন প্রতিদিন মুভি দেখছি। কিন্তু সপ্তাহের মধ্যে মুভির কাহিনীর সাথে সাথে মুভির নামসহ মস্তিস্ক থেকে বিতাড়িত হয়।
প্রকৃতপক্ষে একজন লেখক যা লিখেন আমরা তা নিজেরাই মস্তিস্কে আমাদের মতো অংকন করি। যা আমদেরকে অনেক বেশি সৃজনশীল হতে সাহায্য করে।
ইউনিভার্সিটি যখন খোলা থাকে তখন হাতে খুব কম সময় থাকে নিজের জন্য। এই কম সময়ের মধ্যে entertainment কোন সোর্সটি ব্যবহার করব ? ইন্টারনেট ইউজ করব , মুভি দেখব , টিভি দেখব নাকি বই পড়ব ? নিজেই মাঝে মধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ি।আর বই পড়ার অভ্যাসটি ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।