somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমা কার কাছে চাইবেন, ক্যান চাইবেন?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজেদের ধর্মপ্রান ভাবে আসলে বর্বর, উগ্রপন্থী, হুরলোভী জানোয়ার - এমন সব জানোয়ারদের জন্যই আজকের এই মারাত্মক পরিস্থিতি। এদের কারনেই মানুষের মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি ঘৃনাবোধ জন্মায়। এরা অদৃশ্য আল্লাহর জন্য দৃশ্যমান মানুষ খুন করতে প্রস্তুত। নিজের ধর্মকে আরেকজনের উপর চাপিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনা। আল্লাহকে এরা এতৈ অক্ষম ভাবে যে নিজেরাই ইসলামের হেফাজতকারী বনে গেছে। এরা কি মুসলমান? না কাফের? এরা কাফেরেরও অধম।
বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রকাশ্যচর্চা পুরাপুরি নিষিদ্ধ করা উচিৎ। পাশাপাশি আর সব ধর্মেরও। এখন সব দেশেই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থা আছে। আল্লাহ/ ভগবান/ ঈশ্বরের ভয় বা বেহেস্ত / সর্গের লোভ দেখায়া মানুষকে ভালো কাজ করা বা খারাপ কাজ থেইকা বিরত রাখার চেস্টা করার কোন প্রয়োজন এখন আর নাই। আর তাই ধর্মগুলা এখন সুবিধাবাদী শয়তান প্রকৃতির লোকজনের হাতিয়ার হয়া দাঁড়াইসে। সকল মসজিদ মন্দির ভেংগে ফেলা উচিৎ। মানুষ এবাদত করবো ঘরে। পুজা করবো ঘরে। প্রকাশ্যে চলতে পারে শুধু ধর্মের তাত্ত্বিক শিক্ষা। মসজিদ নাকি আল্লাহর ঘর। আল্লাহর কোন কিছুর প্রয়োজন নাই। কিন্তু তিনার একটা ঘরের খুব প্রয়োজন। সেই ঘরে গিয়া গিয়া সব কুলাংগারের মাথায় শুধু শয়তানি বুদ্ধি খেলে। দেশ বা সমাজের উন্নতি রাইখা অবনতির ফন্দি আঁটে। অবশ্যই সকল মুসলিম এক না। আমি নিজে এমন মুসলিম নই। আজকে মুসলমানদের কুপমন্ডুকতা দেখলে ইসলামের সত্যতা নিয়া প্রশ্ন করে অমুসলিমরা। আর এজন্য মুসলিম নামধারী কুলাংগারদের অপকর্মই দায়ী। ওদের কারনেই মানুষ ইসলাম অবমাননা করার সুযোগ পায় এবং করেও।
আবার আজকে ফেসবুকে একটা ছবি দেখে রিতিমত জবান বন্ধ হবার উপক্রম হৈসিল। একজন বৃদ্ধ পান্জাবি টুপি পরা লোকরে আট দশজন জোয়ান লাঠিয়াল পোলাপান মারতেসে দেখা যায় ঐ ছবিতে। বিবরনে লেখা ছিল ঐ সকল কুলাংগারেরা নাকি হেফাজতি সন্দেহে ঐ লোকরে মারতেছিল। সত্য মিথ্যা জানিনা। জানার দরকারও মনে করিনা। নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের মূর্ত প্রতিক ঐ ছবিটা। দুই চাইরজন নাস্তিক ব্লগার কি এমন ক্ষতিবৃদ্ধি করসিল ইসলামের? ওরাতো কারো মাথায় বারি দেয়নাই। ওরাতো ২০ জন মিলে একজনরে পিটায়া মারেনাই। ওরাতো কারো পায়ের রগ কাটে নাই। তারপরেও সব ক্ষোভ তাদের উপরে? যখন রাস্তাঘাটে এত জানোয়ার যারা বাপের বয়সি লোকের গায়ে আঘাত করে! যারা দলবেঁধে একজন নিরস্ত্র মানুষকে আক্রমন করে! এদের শাস্তির দাবী আগে ওঠা উচিৎ নাকি নাস্তিকদের মৃত্যদন্ডের দাবী আগে ওঠা উচিৎ? নাস্তিক ব্লগারের ব্লগ পড়তে ভালো না লাগলে পড়বানা। তার হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবা। অবশ্য যদি তুমি আল্লাহরে সর্বশক্তিমান বিশ্বাস করো তাইলে। আর না করলে অবশ্যই নিজ হাতে তাদের শাস্তি দিতে চাইবা।
বাংলাদেশে উগ্রপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল ফান্ডামেন্টালিস্ট ফ্যানাটিকদের এহেন উত্থান আসলেই আশাকরি নাই। আমি বিশ্বাস করি যে দেশের সামাজিক পরিস্থিতি ভারসাম্যতা হারাক এইটা আওয়ামি সরকার মনেপ্রানে চাইছে। নিজেদের নানান অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়া সহ বিদেশে অবৈধভাবে কালোটাকা পাচারের সুবিধার্থে এরকম ঘোলাটে পরিস্থিতিই তাদের দরকার। আর তাই উগ্রপন্থীদের একাট্টা হওয়াটাকে তারা বাধা দেয় নাই। বরং নানা ভাবে তারা ঘংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে। আবার এমনো হতে পারে যে দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক পরিস্থিত চরম অস্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছানোর পর তারা জরুরী অবস্থা ঘোষনার মাধ্যমে বিরোধী দলগুলার রাজনৈতিক ততপরতা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে। রাজনিতির মাঠে শেখ হাসিনার আওয়ামিলীগ এর আগেও নানান হঠকারী ঘটনা ঘটিয়েছে। নিতিবিবর্জিত অমানুষদের মনে কি আছে সেটা বলা মুশকিল।
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×