তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলুদ্ধকরণের কারণে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। খাদ্য সংকট মোকাবেলা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কোম্পানিগুলোর এ ধরনের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
দেশীয় ও বিদেশী তামাক কোম্পানিগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭৪০০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ যখন ঠিক মতো খেতে পারে না। খাদ্য যোগান যেখানে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে তামাক চাষের এ বৃদ্ধি দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।
তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কৃষি জমি হ্রাসের পাশাপাশি গোখাদ্য সংকট, শিশু-কিশোরদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত, তামাকজনিত রোগ বৃদ্ধি, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক কোম্পানিগুলো ব্যপকভাবে অগ্রসর হচ্ছে দেশের পার্বত্য এলাকার দিকে। পার্বত্য এলাকার জমি ও নদীর তীর দখল হচ্ছে তামাক চাষের জন্য। অত্র এলাকায় কৃষিজমি হ্রাসের প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
বন উজার করে কাঠ কাটা হচ্ছে তামাক শুকানো হচ্ছে। গাছ কাটার প্রেক্ষিতে পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এ ধরনের বিদেশী গাছ লাগাচ্ছে বনাঞ্চলে। বিদেশী গাছ আমাদের জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ।
দেশের কৃষি জমি ও বনভূমি রক্ষা, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, খাদ্য সংকট মোকাবেলা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমাদের দাবি ঃ
১. খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করা।
২. পার্বত্য এলাকায় তামাক চাষ অবিলম্বে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।
৩. বনায়নের নামে তামাক কোম্পানিগুলো বিদেশী গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করা।
৪. তামাক চাষে সকল ধরনের ঋণ ও অন্যান্য সুবিধা নিষিদ্ধ করা।
৫. তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চ কর আরোপ করা।
৬. তামাকের পরিবর্তে খাদ্য শস্য উৎপাদনে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




