somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর.....!!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিকঃ এই সৃষ্টি জগতের কোনো সৃষ্টি কর্তা নেই তা বলেছে স্টিফেন হখিং
আস্তিকঃ কি করে সম্ভব, স্টিফেন হকিং কি গাজা খেয়ে, নাকি নার্সদের যত্নের চুটে সব কমন্স সেন্স হারিয়ে এসব আবুলের ভাইয়ের তাবুল মার্কা কথা বললো ।
নাস্তিকঃ জানিনা তবে সে যা বলে তা বাস্তব বলে মেনে নিতে সমস্যা কি ?
আস্তিকঃ এখন কি তুমরা অন্ধ বিশ্বাসি হইলা না ।
নাস্তিকঃ সে যা বলে তা আজ প্রমানিত নয় বলে এমন একদিন আসবে যখন প্রমানিত হবে।
আস্তিকঃ তাহলে কথাটি আস্তিক টাইপের হয়ে গেলোনা, মশাই,,।
নাস্তিকঃ বিজ্ঞান প্রমান ও তত্তে বিশ্বাসি
আস্তিকঃ তাহলে আজ যা প্রমানিত নয়, তা কি করে প্রমান ও তত্ত্ব হয় । যেমন কেউ বললো হতে পারে, অর্থাৎ কথাটি সন্দেহজনক, হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
নাস্তিকঃ ইশ্বর নেই এটা বলেছে বিজ্ঞানি স্টিফেন হখিং।
আস্তিকঃ সৃষ্টিকর্তা নেই একথা সে বলেনি, সে বলেছে সৃষ্টিকর্তার ভূমিকা নেই সৃষ্টি হয়েছে শুন্য থেকেই,,
এখন আমি বলবো, যাদের মাথা ঘুড়ে গেছে সৃষ্টিকর্তার এই বিস্ময়কর সৃষ্টি দেখে, যেখানে শুন্যের পরিমান বেশি, দুরত্ত্ব অতিক্রম করে একটা গ্রহ আরেকটা গ্রহ থেকে দূরে রয়েছে, আর সে হিসাবে সব গ্রহ নক্ষত্র শুন্যের উপর রয়েছে, এসব নিয়ে আমরাও যদি ভাবি তবে বলতে সক্ষম হবো, আগে শুন্যই ছিলো, তারপর এক একটা গ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, আসলে এভাবে ভাবলে দেখা যায়, অনুধাবন করা যায়, কিন্তূ তাই বলে আসল জায়গায় পার্থক্য করতে না পেরে স্টিফেন হকিং নিজের মাথার ব্রেনের সমস্যার প্রমান দিলো, কারন "হয়" বা "হয়েছে" কথাটি বললে প্রশ্ন আসবে কিভাবে 'হয়' বা 'হয়েছে' যেমন স্টিফেন হকিং বললো একটি নারীর জরায়ুতে আমার দেহ আস্তে আস্তে পূর্ণতা পেয়েছে, এমন সময় প্রশ্ন করা হলো কিভাবে তা পেয়েছে, উত্তরঃ এখানে এমন প্রকিতিই রয়েছে, কিভাবে রয়েছে.? মানে আমার দেহ যা দিয়ে সৃষ্টি তা সেখানে ছিলো, কোনো কারন ছাড়াই কি ছিলো..? নাকি কেউ রেখেছিলো ?কেউ রেখেছিলোনা, কারো এখানে কিছু রাখার ভুমিকা নেই,।
কি বুজলেন..? নাস্তিক মশাই, এখানে কেউ বির্য রেখেছিলো, আর যে রেখেছিলো, সে ছিলো তার জন্মদাতা,, কিন্তূ তা তার জানা না থাকার কারনে সে সেটাকে অস্বীকার করলো,, সমস্যাটা হলো না জানা থাকা, স্রষ্টা বলেনঃ যে বিষয়ে তুমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ের পিছনে পড়োনা, আল-কুরআন ।
সুতরাং সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তার ভুমিকা, উদাহারন স্বরুপ এখানে জন্মদাতার মতো, আর এটাই অস্তিত্ত্বের রহস্য, অথচ স্টিফেন হকিং তার শেষ বইয়ে, সৃষ্টি হওয়ার পিছনে স্রষ্টার কোনো ভূমিকা নেই কথাটা ঠিক এই রকম
"আমার দেহ একটি নারীর জরায়ুতে তৈরী হয়েছে, ও তারপর জন্ম হয়েছে, আর হওয়ার পিছনে জন্মদাতার কোনো ভূমিকা নেই, কারন জন্ম হয়েছে, এমন একটি জায়গা হতে যেখানে জন্মদাতা যাবে কি করে, সেখানকার জায়গাটি খুব ছোট ও চাপা"
সুতরাং অস্তিত্ত্বের রহস্য কথাটি তার বইয়ে লেখা মানেই, শুধুই চিন্তার বিষয়টা উঠে এসেছে যে সে শুধু চিন্তা করেছে মাত্র কিন্তূ সে তার ফল ফুল না পেয়ে বারে বারে প্রশ্নটাই করে গেছে, আর উত্তর দেয়ার বেলায় এই উত্তরটাই দিয়েছে,
আমার দেহ তৈরী কিভাবে হলো ? কোথায় হলো..? কে করলো..? কোন্ কারনে হলো..? জন্ম কেনো হলো..?
এসব প্রশ্ন করে শেষে গিয়ে "আমার দেহ একটি নারীর জরায়ুতে তৈরী হয়েছে, ও তারপর জন্ম হয়েছে, আর হওয়ার পিছনে জন্মদাতার কোনো ভূমিকা নেই, কারন জন্ম হয়েছে, এমন একটি জায়গা হতে যেখানে জন্মদাতা যাবে কি করে, সেখানকার জায়গাটি খুব ছোট ও চাপা"
নাস্তিকঃ আপনি বিজ্ঞানীকে কমনসেন্সহীন বলেন আর যাই বলে,, আমরা তার কথাকেই মানি ও মানবো।
আস্তিকঃ তাহলে জানতে চাই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হয় বা হতে পারে কিভাবে..?
নাস্তিকঃ বিজ্ঞানী যা বলবে তা মেনে নিতে হবে, আর সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কিভাবে সৃষ্টি হলো তা জানার দরকার নাই, মানলে মানতে পারো।
আস্তিকঃ যাদের যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সে বিষয় নিয়ে তারা যেনো কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত না করে,, আর সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা সে বিষয়ে জানার দরকার নাই বললে আমি বলবো, আমারও আপনাদের কথা মানার দরকার নাই।
নিশ্চয় সৃষ্টির নিপুনতম কারুকার্য ও অবাক করা এই সৃষ্টি জগতের সবকিছু আমাকে একজন স্রষ্টার প্রমান দেয় । পঙ্গু আর মাতাল কোনো মানুষের ভ্রান্ত অনুত্তর কথা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়,কারন আমি জানি আমি এমনি এমনিই কোনো জন্মদাতার ভূমিকা বা অছিলা ছাড়া জন্ম নেয়নি, আমার জন্মদাতা আছে, ও আমি সৃষ্টিকুলে ধন্য হয়েছি, এমন বাবা মা পেয়ে, যারা আমাকে কমনসেন্সহীন ভাবে গড়ে তোলেনি।
নাস্তিকঃ আমিও ধন্য হয়েছি,স্টিফেন হখিং এর মতো বিজ্ঞানী পেয়ে ।
আস্তিকঃ হুম বুঝলুম ব্যাপারটা,, তবে এটা জেনে রেখো অন্ধবিশ্বাস থেকে তুমি মুক্ত নও....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×