ছাগলনাইয়া থানার ওসি এম এম মুর্শেদ সাহেব সুন্দর মনের মানুষ। তিনি জ্ঞানী মানুষ। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভালো উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন: "প্রবাসীদের বিয়ে করবেন না।" তিনি ক্লাসরুমে ছাত্রীদেরকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন যে, খবরদার বিদেশের কোন ছেলের কাছে বিয়ে বসবানা।" news
অত্যন্ত যুক্তি সঙ্গত ন্যায্য কথা বলেছেন তিনি। এই প্রথম একজন সাহসী মানুষকে পেলাম যিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি সত্যিকারের দেশ প্রেমিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও যিনি দেশের মানুষের জন্য যিনি চিন্তা করেন। তাঁর কথায় বুঝা যায় যে, বিয়ে করার পর ছেলেরা বিদেশ চলে যায়। মেয়ে পড়ে থাকে শশুর বাড়ি। তিন বছর পর ছেলে দেশে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের সৎ এবং নির্ভীক পুলিশ বাহিনী রেগুলার এই ধরণের ঘটনা ফেস করতেছেন। খুবই চিন্তার কথা।
মুর্শেদ ওসি বলেছেন, বিদেশের ছেলেদের কাছে বিবাহ দিলে তারা দেশী মেয়েদেরকে কাজের মেয়ের মতো ট্রিটমেন্ট দিবে। কাজ করাবে, রান্না করাবে। মেয়েরা বাচ্চা পালবে। কিন্তু সম্মান পাবেনা। অত্যন্ত যৌক্তিক এবং চিন্তাপূর্ণ কথা। বিদেশে ছেলেরা কী কী খারাপ কাজ করে বেড়ায় সেটা বিদেশে গিয়ে দেখা সম্ভব না। সব ছেলে বলে তারা অনেক বড় কাজ করে। আসলে কে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে, আর কে রেস্টুরেন্টে বয় বাবুর্চি, সেগুলো সরেজমিনে গিয়ে দেখা সম্ভব না।
বিদেশে মদ খাওয়ায় কোন বাধা নাই। যে যেমন খুশী চলো। মদ খেয়ে ছেলেরা তাদের বউকে নির্যাতন করতে পারে। কাজের মেয়েদের মতো যা তা ভাবে ব্যবহার করতে পারে। মা-বাবারা বুঝতে চায়না। ভাবে ছেলে বিদেশ থেকে আসছে। বিয়ে দিয়ে দেব। কিন্তু ছেলের ব্যাকগ্রাউণ্ড ভালো করে চেক না করে বিয়ে দিলে এটা বিপদের কথা।
মুর্শেদ ওসির মতো আমাদেরকেও দেশপ্রেমিক হতে হবে। আমিও ঠিক করেছি আমার ছোট বোনকে দেশে কাজ করে এমন ছেলে দেখে বিবাহ দেব। সে সুখে থাকবে, ভালো থাকবে। আমার ছোটবোন যেন ফেসবুকে কোন বিদেশী ছেলের সাথে জড়ায় না পড়ে, সেজন্যে আমি খুব সতর্ক আছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার ছোট বোনের জন্য।