somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহর সন্তান আবিষ্কার!!!!!

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার মাদরাসার পাঠ্য বইয়ে আল্লাহর সাথে শরিক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের অধীনে দাখিল নবম-দশম
শ্রেণীর ‘বাংলা সাহিত্যের’ ১৯ নম্বর গদ্যাংশের ৯৪ নম্বর
পৃষ্ঠায় মোহাম্মদ আকরম খাঁ রচিত ‘বিদায় হজ্ব’
অধ্যায়ে ‘অসাম্যের প্রতিবাদ’ প্যারার ৯৬ পৃষ্ঠার দ্বিতীয়
লাইনে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’ (নাউজুবিল্লাহ)
লেখা হয়েছে “কুলপতি হজরত এব্র্রাহিম এই সহানুভূতি শিা ও
সাম্যের শিাদানের জন্যই ‘ইতর-ভদ্র’ নির্বিশেষে ‘আল্লাহর
সকল সন্তানকে’ আরাফাত ময়দানে সমবেত হইবার জন্য
আহ্বান করিয়াছিলেন।” আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক
করা সম্পূর্ণ শিরক। পবিত্র আল কুরআনে শিরক (আল্লাহর
সাথে কাউকে শরিক করা) কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ
করা হয়েছে। বিভিন্ন মাদরাসার শিকেরা পাঠদানের সময়
লেখাটি নজরে পড়ে। লেখাটি দেখে শিকেরা বিব্রত হওয়ার
পাশাপাশি তাদের মধ্যে ােভের সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহর
সাথে শরিক করে এমন লেখা দেখে অভিভাবকদের মধ্যে ােভের
সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এ প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন,
‘তাদের সন্তানদের পাঠ্য বইয়ে এমন লেখা মোটেই গ্রহণযোগ্য
নয়। তারা অবিলম্বে এই বইয়ের সাথে যারা জড়িত তাদের
শাস্তি দাবি করেন।’
বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের অধীনে দাখিল নবম-দশম
শ্রেণীর পাঠ্য বই বাংলা সাহিত্য সঙ্কলন, রচনা ও
সম্পাদনা করেন ড. এস এম লুৎফর রহমান ও আবদুল মান্নান
মিয়া। বইটি প্রথম মুদ্রণ হয়েছে ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে,
সংশোধীত ও পরিমার্জিত মুদ্রণ হয়েছে ২০০৯ সালের
নভেম্বর মাসে, পরিমার্জিত সংস্করণ হয়েছে ২০১১ সালের
জুলাই মাসে, পুনর্মুদ্রণ হয়েছে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর
মাসে। বইটির ভূমিকা লেখেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের
চেয়ারম্যান মো: আবদুন নূর।
এ বিষয়ে একটি দাখিল মাদরাসার (মাদরাসার নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাংলা শিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান,
আমি দশম শ্রেণীতে ছাত্রদের পাঠদানের সময় লেখাটি আমার
চোখে পড়ে। তখন আমি আর না পড়িয়ে থেমে যাই। তাৎণিক
বইটি নিয়ে শিকদের কে গিয়ে লেখাটি তাদের দেখাই।
তারা দেখে এই লেখাকে শিরক হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের লেখা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত
করে। আমি বিষয়টি উপজেলা অ্যাকাডেমিক
সুপারভাইজারকে অবহিত করি।
এ বিষয়ে মিরসরাইয়ের আবুতোরাব ফাজিল মাদরাসার অধ্য
মাওলানা শফিকুল ইসলাম নিজামী বলেন, ‘দাখিল নবম-দশম
শ্রেণীর বাংলা সাহিত্যের ৯৬ পৃষ্ঠায় লেখাটি দেখেছি। যদি এই
লেখাটি ইচ্ছাকৃতভাবে লিখে থাকে তাহলে সে ‘নাস্তিক’
হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয় তাহলে অন্যকথা।’
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক
শিা কর্মকর্তা লেখাটি শুদ্ধ করে পাঠদানের জন্য বলেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ মাদরাসার অধ্য
মাওলানা সৈয়দ আবু নোমান বলেন, ‘আমি লেখাটি দেখিনি।
যদি বাংলা সাহিত্যে এ ধরনের
লেখা হয়ে থাকে তাহলে এটা শিরক হয়ে গেছে। কুরআনে স্পষ্ট
উল্লেখ আছে আল্লাহর কোনো সন্তান নেই।’
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিা কর্মকর্তা মোহাম্মদ
ইউনুছ বলেন, আমি লেখাটি দেখেছি এবং বিভিন্ন মাদরাসার
অধ্যরে সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি চট্টগ্রাম
জেলা শিা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন
সব শিাপ্রতিষ্ঠানে ওই লেখার ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’
স্থলে ‘আল্লাহর সকল বান্দাকে’ শিার্থীদের পাঠদান দিতে।
আমি বিষয়টি সব মাদরাসা প্রধানকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিা কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম
নয়া দিগন্তকে বলেন, মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক
শিা কর্মকর্তা মাদরাসার দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্য বই
বাংলা সাহিত্যে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’
লেখা সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছেন।
আমি বিষয়টি এনসিটিবি (ন্যাশনাল কারিকুলাম টেক্সট বুক
বোর্ড) কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন
উপজেলা শিা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদরাসা শিা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুন
নূরের সাথে মুঠোফোনে (নম্বর ০১৭১৩০০১২৩২) যোগাযোগ
করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনি বইটি নিয়ে আমার
সাথে দেখা করবেন। বইটি আমার কাছে নেই। তাই আমি এখন
ফোন রাখলাম।’


বিস্তারিতঃ http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=143436
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×