somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আ’ লীগের ঘাড় মটকানো রাজনীতি ও উদার গণতন্ত্রের জয়গান

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের গণমাধ্যমে মুক্ত কলম চর্চা হারিয়ে গেছে ১৪’সালের একতরফা নির্বাচনের পর থেকে। পত্রিকাগুলো আর্থিক সঙ্কটে যেমন ভুগছে তেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও হারিয়েছে। বিশেষ করে করুণ পরিস্থিতি শুরু ভোটারহীন ১৮’সালের নির্বাচনের পর। সরকারের সমালোচনা নিয়ে কথা বলা গেছে সেই সময়ে। এখন সেই অবস্থা নেই, লিখা যায় না আর বলাও যাচ্ছে না। টকশোগুলো একতরফা ক্ষমতাসীনদের দখলে, শুধু আ’ লীগের জয়গান আর উদার গণতন্ত্রের বুলি।

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া সরকারের রোষানলে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবার পর পর গণমাধ্যম অনেকটা সরকার ঘেঁষা হয়ে যায়। কলামগুলিতে শুধু একটি নির্দিষ্ট দলের গুণগান ব্যতীত আর কিছু থাকে না। অনেকটা পেইড ভিত্তিক মুক্ত চর্চা হয়ে গেছে। বাক স্বাধীনতার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই দেশে। বিগত সময়ে সরকারের তুমল সমালোচনা করা গেলেও এখন আর সে পথ নেই ! পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে দেওয়ার ভয় থাকে। এরশাদ সরকারের সময় রাতে পত্রিকা অফিসে যেমন ফোনকল আসতো এখনও আসে। যদিও এসব বাইরের লোকজন তেমন একটা জানে না।

ভিন্নমতের ও দলের মানুষের ওপর শাসকযন্ত্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ নমুনার আরেক নাম দৈনিক আমার দেশ ও সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদকসহ আরও অনেকে। মাহমুদুর রহমানের সাথে সরকারের আচরণ ছিল শত্রুর ন্যায়। নির্মম অত্যাচার আর জেল জুলুম তাকে বরণ করতে হয়েছিল ভিন্নমতের কারণে। সম্পাদক মাহমুদর রহমানকে নিয়ে কোন পত্রিকা লিখেনি সম্পাদক পরিষদও তাকে নিয়ে কিছু বিবৃতি দেয়নি। নেপথ্যে কারণ সরকারের রোষানলের ভয়। কয়েকবছর আগে প্রয়াত এক সম্পাদক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর চা আমন্ত্রণে শেখ হাসিনাকে নোবেল পাওয়ার জন্য বন্দোবস্ত করার দায়িত্বটাই নিয়েছিলেন মনে আছে নিশ্চই! এখন তো গণভবনে নির্দিষ্ট পরিচিত সরকার ঘেঁষা মিডিয়া ব্যতীত অন্যরা নিমন্ত্রণ পান না।

এবার আসি আসল প্রসঙ্গে,সরকারের উদারতা ও উদার গণতন্ত্রের বুলি শোনা যায় সরকার দলের নেতাদের মুখে মুখে। এটা তৃণমূল থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের ঠোট পর্যন্ত। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মানসকন্যা এমন উপাধি প্রায়শই শুনতে পাওয়া যায় কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন তা সকলের জানা।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারীরা ক্ষমা না চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। শ্যামাপূজা উপলক্ষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গোল পাহাড় কালীমন্দিরে আয়োজিত আলোচনাসভায় বলেন, 'সরকারের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘাড়ে হাত রেখে বন্ধুত্বও করতে জানে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঘাড় মটকে দিতেও জানে। সুতরাং ঘাড়ে হাত দিয়ে বন্ধুত্ব করেছে বলে, সহনশীল আচরণ দেখিয়েছে বলে মনে করবেন না সেটি দুর্বলতা।'

এমন সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, যদিও এসব হুমকি ধমকি আ’ লীগের নতুন না। সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজাহান তো টকশোতে প্রতিপক্ষের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। ঢাকা ১৮’ উপনির্বাচনের দিন গাড়ী পুড়ানো ঘটনায় দায়ী করা হল বিএনপিকে। মজার বিষয় হচ্ছে- ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে পুলিশের মামলার তথ্যের মিল নেই। বাদী জানে না তিনি মামলা করেছেন! এসব পত্রিকার কথা।

শেখ মুজিবুর রহমান মুসলমান ছিলেন, তিনি ধর্মকর্মও করতেন। তাই ইসলামী দলের নেতারা ধর্মের কারণে তার ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। ধর্মীয় ব্যাপারে কারও কল্যাণ কামনা করা কি নিষিদ্ধ? উদার গণতন্ত্রে কি দেশের নাগরিকের দাবি করার অধিকার রাখে না? বেফাঁস কথাবার্তা আওয়ামী লীগের নেতাদের নতুন কিছু না সেটা আগেই বলেছি। আর অসত্য কথা বলার চর্চা তাদের ঐতিহ্য! খোদ প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন হেফাজতে ইসলামের কোন সদস্য ৫ মে’র রাতে পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি। তারা রঙ মেখে ঢং করেছিল! বাক স্বাধীনতায় বাংলাদেশ শীর্ষে আছে।

এবার আসি সরকারের উদার গণতন্ত্রের জয়গান নিয়ে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকরী ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। চলতি সময়ে সে ধারা খানিকটা পাল্টে গেছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে সে চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর অনেকে দেশে গণতন্ত্র নামেমাত্র কার্যকর রয়েছে। যদি বাংলাদেশের কথা বলি তাহলে বলতে হবে দেশে গণতন্ত্র কফিনে মোড়া হয়ে গেছে। সংবিধান রক্ষায় ১৪’সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ও কেয়ারটেকার সরকার আদালতের মধ্য দিয়ে বাতিল ঘোষণা করে।

এটা সত্য বিংশ শতাব্দীর মতো অনেক দেশে সরাসরি সামরিক শাসন না থাকলেও, অনেক দেশে গণতান্ত্রিক-ভাবে নির্বাচিত সরকারগুলো সামরিক একনায়কদের মতোই আচরণ করছে। এবার আসি একটু রাষ্ট্র বিজ্ঞানে। গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে খানিকটা আলোকপাত করা যাক। কিভাবে বুঝবেন একটি দেশে গণতন্ত্র নেই?




১. প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন:

গণতন্ত্রের মূল বিষয় হচ্ছে নির্বাচন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে নির্বাচন হলো 'গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা' । সে নির্বাচন হতে হবে এবং অবাধ ও স্বচ্ছ।

যে দেশে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি এবং জবরদখল হয় সেটিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে নারাজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। এই সংজ্ঞা দিয়ে বিচার করলে ১৪’ নির্বাচন অবৈধ হয়ে যায়। আমাদের দেশের নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয় উপনির্বাচনে আর জাতীয় ক্ষেত্রে সেটা ২০ শতাংশ গড়ায় না! ঢাকা ১৮ আসনে উপনির্বাচনে ছয় ঘণ্টায় ছয় ভোট পড়েছে একটি কেন্দ্রে! এমন খবর এসেছে জাতীয় পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে। বিপক্ষে প্রার্থীর সাথে সরকার দলিয় প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান লাখ ও হাজারে! স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের দখল নতুন না।

২. জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা:

গণতন্ত্রে জনগণের মতামতের প্রাধান্য একটি বড় বিষয়। একটি সরকার নির্বাচিত হলেই গণতান্ত্রিক হয় না। গণতন্ত্র না থাকলে এবং একনায়কতন্ত্রের আবির্ভাব হলে জনগণের মতামতকে সহিংসভাবে দমনের চেষ্টা করা হয়। যেটা এখন দেশে চলছে।

এর ফলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে। এখন দেশে এমন দৃশ্য চলছে ১৪’ সালের পর থেকে। বিএনপিকে অনেকে ব্যর্থ বলে অবিহিত করেন এর নেপথ্যে এ বিষয়টি কাজ করে। আর জামায়াতের বিষয়টি পরদার আড়ালে কৌশলে নিয়ে গেছে সরকার।

সিভিলিয়ান অটোক্র্যাট বা বেসামরিক স্বৈরশাসক বলে একটি কথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চালু আছে। অনেক সময় গণতান্ত্রিক সরকারের চরিত্র দেখে অনেক সামরিক শাসকও লজ্জা পেতে পারে।

৩. একনায়করাও নির্বাচন করে:

যেসব দেশে বেসামরিক একনায়কতন্ত্র আছে সেখানেও নিয়মিত নির্বাচন হয়। কারণ তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

এখন নির্বাচনে কারচুপি শুধু জাল ভোটের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয় না, এর নানা দিক আছে। লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের গবেষক ব্রায়ান ক্লাস বলেন, নির্বাচনের সময় অধিকাংশ একনায়ক শাসক তাদের প্রতিন্দ্বন্দ্বিকে নানা কৌশলের মাধ্যমে নির্বাচনে অযোগ্য করে দেন।


৪. ভোটার অংশগ্রহণ কমে যাবে:

যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না সেখানে শাসকগোষ্ঠী নিয়মিত নানা ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করলেও সেসব নির্বাচনের প্রতি মানুষের কোন আস্থা থাকে না।

ভোটাররা ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তারা ভোট দেবার জন্য ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না।


৫. নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব:

গণতন্ত্র না থাকলে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নানা ধরণের আইন-বহির্ভূত কাজ জড়িয়ে পরে।

কারণ, শাসক গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন এবং সাধারণ মানুষকে দাবিয়ে রাখার কাজে ব্যবহার করে।

৬. মতপ্রকাশে ভয় পাওয়া:

গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমও স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভয় পায়।

এমনকি শাসকগোষ্ঠী ইন্টারনেটও নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যাতে করে মানুষ সেখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে না পারে।

৭. দুর্নীতি বেড়ে যাওয়া:

দুর্নীতির বিস্তার ঘটে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্রয় করার জন্য এই দুর্নীতি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবস্থায় দুর্নীতি এমন সুন্দরভাবে সাজানো হয় যে, সেটি অল্প কিছু ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। শাসকের অনুগত হবার বিনিময়ে তাদের দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়। ফলে তারা আরো ধনী হয়।

যদি কোন কারণে সন্দেহ হয় যে তারা শাসকের অনুগত নয়,তখন তাদের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।



গণতন্ত্র ভালো কি মন্দ এ তুলনায় গেলে এর ভালো দিকটিই বেশি সমাদৃত হয়। গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আকর্ষণের অনেক কারণ আছে। গণতান্ত্রিক শাসন-কাঠামোতে জনমানুষের স্থান আছে এবং তাদের প্রতিনিধিত্বের বক্তব্য আছে। শাসিতের কাছে শাসকশ্রেণি দায়িত্বশীল, সংবেদনশীল ও দায়বদ্ধ থাকে। তাতে আইনের শাসন, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি থাকে।

সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক সরকার-ব্যবস্থাই উত্তম। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে সরকার স্বৈরাচারী হয় আর দুর্নীতি বাড়ে। স্বৈরশাসন মানুষের অধিকার হরণ করে। শাসন-শোষন দিয়ে রাষ্ট্রকে মানুষের কল্যাণের বাইরে নিয়ে যায়।

চলতি সময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। শেখ হাসিনার হাতে এটির অপমৃত্যু হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাই জন-প্রতিনিধি ও জন-প্রশাসকগণের সুষ্ঠ সমন্বয় সাধন করে মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। তাই প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে সঠিক ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন: Democracy is the Government of the people, by the people and for the people .জনপ্রতিনিধি ও জন-প্রশাসনের সঠিক প্রতিফলন এবং তাদের সুষ্ঠ সমন্বয়ই অধিকতর কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×