ব্লাক ফরেস্ট জার্মানীতে অবস্থিত। ব্ল্যাক ফরেস্ট ভ্রমণের জন্য এক অসাধারণ জায়গা৷ মাঝারি পাহাড়, চমৎকার খাবার, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের পাশাপাশি সেখানে রয়েছে পর্যটকদের জন্য নানা আয়োজন৷ আসুন এই কালো জঙ্গল সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানা যাক।
জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রোমানরা নাম দিয়েছিল ব্ল্যাক ফরেস্ট, কেননা সে অঞ্চল একসময় ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং অভেদ্য৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার জঙ্গল হালকা হয়ে গেছে৷ এখন সেখানকার উপত্যকায় গরু চরে৷ তবে কিছু অংশে প্রকৃতিকে রেখে দেয়া হয়েছে তার মতো করে৷
ব্ল্যাক ফরেস্টের মানুষ টেকসই পর্যটনে বিশ্বাসী৷ তাই সেখানে পর্যটকদের ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ব্যবস্থা৷ ‘হাই ব্ল্যাক ফরেস্ট’ কার্ডধারীরা বিনা খরচায় বাস এবং ট্রেনে চড়তে পারেন, এমনকি ইলেক্ট্রিক কারও চালাতে পারেন৷ রয়েছে ই-বাইকের ব্যবস্থা৷ আর হাঁটতে চাইলেতো কথাই নেই৷
এই তথ্যটি অমুসলিমদের জন্য। ব্ল্যাক ফরেস্টে নাস্তার জন্য পাওয়া যায় বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হ্যাম বা শুকরের মাংস৷
ব্ল্যাক ফরেস্টে এরকম খামারবাড়ির দেখা মিলবে৷ কাঠা আর খড় দিয়ে তৈরি এসব বাড়ি গ্রীষ্মে যেমন ছায়া দেয়, তেমনি শীতকালের কনকনে ঠান্ডা বাতাস থেকে দেয় মুক্তি৷
কুকু ক্লক ঠিক কার আবিষ্কার তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, এখন ব্ল্যাক ফরেস্টের সঙ্গে এই ঘড়ির নাম বিশেষভাবে জুড়ে গেছে৷ তাই ব্ল্যাক ফরেস্টে গেলে এমন ঘড়ি একটি কিনতে ভুলবেন না৷
ব্ল্যাক ফরেস্টের প্রবেশপথ হিসেবে বিবেচিত বাডেন-বাডেন শহর ‘স্পা’-এ জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধ৷ পর্যটকদের জন্য শহরটিতে রয়েছে মিউজিয়াম, অপেরাসহ নানা আয়োজন৷
ফ্রাইবুর্গ শহরটি বছরে সতের’শ ঘণ্টার বেশি সুর্যের আলো পায়৷ জার্মানিতে এটা সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্বের প্রথম ‘সোলার বিশ্ববিদ্যালয়ের’ অবস্থানও ফ্রাইবুর্গে৷ আর শুধুমাত্র জার্মানি নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যে ফ্রাইবুর্গ হচ্ছে অন্যতম সবুজ শহর৷
ভ্রমনের আগ্রহ এবং সামর্থ্য একটি পরিপুরক ব্যাপার। দেখা যায় যার সামর্থ আছে তার আগ্রহ নেই আর যার আগ্রহ আছে তার সামর্থ নেই। যাদের এই দুটো ওভারকাম করার ক্ষমতা আছে তাদের আজই বেরিয়ে পড়া উচিত এমন নয়নাভিরাম সৌন্দযয্যের মাঝে সাঁতার কেটে আসতে। মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের মনিটরে দেখা আর নিজ অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০