আমি জীবনে বহু বড়োলোকের মেয়ে দেখেছি যারা নিজেদের বাপের ধনসম্পত্তি আর টাকাপয়সা ইয়াবা আর সিসা লাউঞ্জের পেছনে নির্মমভাবে উড়ায় !
নিজেদের সতীত্ব আর সম্ভ্রম নাইটক্লাবের কোন এক কোনায় নিত্যনতুন বয়ফ্রেন্ডদের কাছে অকৃপণ ভাবে প্রতিটাদিন বিলিয়ে দেয় !
পড়াশুনা না করলে খারাপ দেখায় তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে বাপের টাকায় বেসরকারি কোন ব্যয়বহুল ভার্সিটিতে পড়ে আমজনতার সাথে দুর্বোধ্য ভাব নেয় !!
এইতো সেদিন নামকরা এক মডেলের ছবি দেখলাম ফেসবুকে ।
সত্যি কথা বলতে , ছবিটা এতটাই ভয়ানক আর অপ্রত্যাশিত ছিল যে ওই মডেলের সবচেয়ে বড় সমালোচকেরও মেয়েটার জন্য খারাপ লাগবে ।
আমার দেখা অন্যতম সুন্দরী মডেল ছিলেন তিনি । কিন্তু ইয়াবা আর মাদকের করাল গ্রাস তাকে বদলে দিয়েছে , তার চেহারা বদলে দিয়েছে , এবং এতটাই বদলে দিয়েছে যে আমি দ্বিতীয় বার তার ওই ছবিটি দেখিনি ।
তা আমার এই পোস্ট ওই মডেলকে নিয়ে না ! এক অসাধারণ বালিকার কথা আপনাদের জানানোর জন্য আমি কীবোর্ডের বাটনগুলো খটখট করে টিপে যাচ্ছি ।
অসাধারণ এই বালিকা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টাকার বিনিময়ে খাটা এক পতিতা ছিল ।
হুম ! ঠিক ই শুনেছেন আপনি । নাকমুখ কুচকাবেন না প্লিজ ।
সে একজন পতিতা ছিল ।
বাপের লক্ষ লক্ষ টাকাপয়সা খরচ করে আপনি আমি কিছু করতে পারিনা , অথচ এই ১৮ বছরের মেয়েটা বেচে থাকার জন্য প্রতিটাদিন কুকুররূপী নষ্ট পুরুষের কাছে নিজের দেহটাকে বিলিয়ে দেয়ার পরেও নিউ ইয়র্কের লিবারেল আর্টস ব্রাড কলেজে মনোবিজ্ঞানে পড়ার স্কলারশিপ পেয়েছে ।
আমি তাকে পতিতা বলতে পারছিনা , সরি ।
এরাই সত্যিকারের মানুষ । এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে ।
এই মেয়েটার নাম শ্বেতা । টাকার লোভে পরপুরুষের হাতে শ্বেতাকে তুলে দিতে তার বাইঞ্চদ বাবার হাত কাপেনি ।
ক্ষুধার্ত শকুনের মত পুরুষগুলো শ্বেতার দেহ যখন খুবলে খুবলে খেত , তখনও মেয়েটা চিন্তা করত কিভাবে তার মত অসহায় মেয়েদের এই নরক থেকে মুক্ত করা যায় ! কিভাবে তাদের কষ্টের কথা পৃথিবীকে জানানো যায় !!
কিন্তু সভ্য পৃথিবীর কাছে বেচে থাকার তাগিদে নষ্ট হওয়া এসব মেয়ে পতিতা আর নাইট ক্লাবের এক কোনায় পুরুষাঙ্গ চুষনরত কোটিপতি বাপের মেয়েগুলো পরম আকাঙ্খার বস্তু ।
আমি এই নষ্ট হওয়া বড় লোকের মেয়েগুলোকে পতিতা বলতে চাই , শ্বেতার মত অসাধারণ মেয়েদের না ।
কি করবে ?
পেট তো চালাতে হবে !
মুম্বাইয়ে কুখ্যাত কামাথিপুরা এলাকার পতিতালয়ে ধুঁকে ধুঁকে বড় হওয়া শ্বেতা বলেছে , পড়াশুনা শেষ করে নিজেকে তার মত অসহায় মেয়েদের নরক থেকে আলোতে নিয়ে যাওয়ার কাজে নিয়োজিত করবে ।
শ্বেতাকে আমার লাল সালাম ।
অনেক ওয়ে থাকা সত্ত্বেও , অনেক স্কোপ থাকার সত্ত্বেও যারা হতাশার ভারে নুইয়ে পড়ে তারা অমানুষ ।
বৈরি , প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থেকে যারা আমরণ চেষ্টায় নিজেকে বদলে ফেলে , সবাইকে বদলে ফেলে তারা উচ্চ শ্রেণীর মানুষ ।