somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমাদের আশীর্বাদের এই শতদল মাথায় রাখি ... ( বর্ষপূতিতে শততম লেখায়)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তোমাদের আশীর্বাদের এই শতদল মাথায় রাখি ....

http://www.esnips.com/doc/8eec395a-0038-46f8-bc3a-aa8591370034/011.-Tomader-Ashirbader-Ei-Shatadal-Mathay-Rakhi_Mohammad-Rafi_Modern
গানের কথাগুলো মনের মত ।
এখানে বলবার মত করে সাজানো ।

আজ বর্ষপূর্তিতে অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করছে । অদ্ভুত এক জগৎ সামহয়্যার ইন ব্লগ ।

সবচেয়ে প্রিয় প্রোফাইল চাঙ্কু । যে নিকের মানুষটা সব সময় সবাইকে খুশীতে ভরিয়ে রাখতে চায় । তার প্রোফাইলটা তার স্বভাবের সাথে যায় ।
কখনো দেখিনি অন্যে আঘাত পাবে এমন কথা সে বলেছে ।
আর আছে অনেকের মত একজন জেরী । কার্টুন জেরীর মতই দুষ্টু এবং পরোপকারী । মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে জেরীর পেছনের মানুষকে দেখতে ।
একজন আছেন পারভেজ । অত্যন্ত মার্জিত , সহযোগীতার মানসিকতা সম্পন্ন । প্রথম থেকে দেখছি লেখালেখির ব্যাপারে তার ব্লগে গিয়ে কোন পরামর্শ চাইলে কখনো বিমুখ করেন নি ।

এমনি করে বলতে গেলে আজ একবারে ২০০তম পোষ্টের লেখা লিখতে হবে । সবার কথা মনে আসছে ।

অনেকবার ব্যান চেয়েছি কতজনের । বলা হয়নি ,আজ বলি । ।
সুনীল সমুদ্র , সাজি , অপসরা , নির্ঝর নৈ:শব্দ , সৈয়দ আফসার এবং এমন লেখার আরো কজনকে কতবার ভেবেছি ব্যানের জন্য আন্দোলনে নামবো । কেন হল না করা সে আন্দোলন , সে কথার কি জবাব দেব ? তবে এটা বলতে পারি , সুনীল সমুদ্রের অনেক কবিতা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীবার পড়তে পারিনি । সাজির লেখাতে গিয়েও ফিরে এসেছি । সুনীল এবং সাজির কিছু লেখা পড়ে আমি টেবিলে মাথা রেখে চোখের জল ফেলেছি । তাদের লেখার গভীরতা আমাকে অসহজ এক স্বচ্ছতায় ঘিরে ফেলে ।
আজ বলছি যা মনে আসছে ।

তারপর কজনকে ব্লক করবার জন্য মহা চেষ্টা আমার ।
অনন্ত দিগন্ত , লীনা দিলরুবা , তাজা কলম , নতুন , শ্রাবনসন্ধ্যা , সামছা আকিদা জাহান , মুখ ও মুখোশ এবং মন্তব্য করে আমাকে আবেগপ্রবন করে দেবার মত অপরাধ যারা করেছে দিনের পর দিন তাদের ব্লক করবার ইচ্ছা পোষন করেও করা হয়নি । আর তাই নিয়ত জর্জরিত ।
তবে এটাও অস্বীকার করবো না যে তারা আমার লেখা পড়েছে কিনা সেটা বার বার খুটিয়ে দেখতে ভুল করি নি । কেউ মিস করে থাকলে ডেকে নিয়ে আসতেও দ্বিধা ছিল না ।

আজ যদি ব্লগে বলি আমার পা ভেঙ্গে গেছে হাটতে পারছি না , আমি দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি ব্লগের অনেকজন এগিয়ে আসছে আমাকে ধরে হাটাবার জন্য ; দেশ বিদেশ থেকে পাঠানো বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন রঙের ক্র্যাচের স্তুপ জমে গেছে আমার বাসার সামনে । রীতিমত ক্র্যাচের বিশাল এক দোকান আমার , বড়লোক হয়ে গেছি !
সেই ক্র্যাচ দিয়ে আঘাত করে অন্যায় তাড়ানো যায় , দু:খবোধ দূর করা যায় ! আবার নিজেকে অন্যদের সাথে সমান করে এগিয়ে নেয়া যায় ।

দিনের পর দিন নিরানব্বই খানা প‌্যান প‌্যানানি , ন্যাকা ন্যাকা রুমান্তিক (চাঙ্কুর ভাষা ) লেখা দিয়ে সবাইকে তটস্থ করে আজ শততম এ লেখায় বলতে বাধ্য হচ্ছি সা.ইনে বসলে জানা যায় মানুষ মানুষই আছে ।
এখানে অদ্ভুত সব প্রোফাইলের পেছনে অদ্ভুত সব সুন্দর মানুষেরা বাস করে ।
সবার বন্ধুসুলভ আচরন মনে রাখবার মত ।

ধন্যবাদ এক বিশেষ বন্ধুকে যার কারনে সহেলী এসব লেখায় মন প্রান ঢেলে দিয়ে মুক্তির আনন্দটুকু উপভোগ করেছে , অঞ্জলী ভরা থাক্ তার কল্যান কামনায় । সে আমার দূর আকাশের এক তারা , ধরার বাইরে ধরনীর মাধুর্য্যভরা সুখ আমার ।

ধন্যবাদ সামহয়্যার ইন ব্লগকে এমন একটি ক্ষেত্র উপহার দেবার জন্য ।
( অনেকের নাম মনে আসছে , এখানে উল্লেখ করা হয় নি । জানি সবাই জানে তাদের অবস্থান আমার কাছে আছে কোথায় )।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবার জন্য ।


*** গানটি অপসরা মনে করে শুনবে , একবার এই গানের কথা শুনে বলেছিলে জীবনেও শোননি ।
এবং অন্যরাও । নিশ্চিত আমি ভাল লাগবে সবার । লিরিকস দিতাম , অনেক বড় হবে লেখা তাই দেই নি ।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
৬৫টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×