
জামাত শিবির ২০০১ নির্বাচনের পরে নাজিরহাট বাজারে চল্লিশ জনের নামের তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল । যাদের হত্যা করবে তাদের নাম। বাবা কথাগুলো বলছিল মাকে, আমি ওখানেই ছিলাম। মা রান্না করছিলো, মুখ না তুলেই জিজ্ঞেস করেছিল “ তোমার নাম তো এক নম্বরে?” বাবা স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই বলেছিল , “না, আট নম্বর। এক নম্বরে বাদশা আলমের নাম।”
আর একবার শুধু ১৬ই নভেম্বর ২০০১ এর আগে মা’র কাছে একটা ফোন আসে, আমিই রিসিভ করে মাকে দেই। হুমকি ফোন । মাকে বলে আপনার হাসব্যান্ড বেশী বাড়াবাড়ি করছে, সাবধান করেন, খুব খারাপ হয়ে যাবে। আপনার ছেলে মেয়ে আছে । মা’র উত্তর ছিল “আমার হাসব্যান্ড কোনো অন্যায় করছে না, মানুষের শিক্ষার জন্য কাজ করছে । উনি কোনো অন্যায় আবদারের সামনে কখনো মাথা নোয়াবেন না। আর তাছাড়া উনাকে যেদিন নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকে আমি জানি উনি জীবনের ঝুঁকিতে আছেন । “ সেই অচেনা মানুষটি আবার বলল, ওই মাথার জন্য শুধু দুটো বুলেট খরচ হবে । বাবা বাড়ি ফেরার পর মা’র থেকে ঘটনা শুনে একটু মুচকি হেসেছিল। আমি সেদিনও সেখানে ছিলাম ।
ওরা ওদের কথা রেখেছিল । বাবার মাথা উড়িয়ে দিতে শুধু দুটো বুলেটই খরচ করছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



