somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অলোকের পানে...

২৮ শে জুন, ২০১১ ভোর ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে এ কোন আলো? কোন সুর, কে ওখানে বসে বাঁশি বাজায়; যে বাঁশির সুর ছড়িয়ে পড়তে চায় তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে! কেন আচানক বুকে মোচড়? কার জন্য, কী জন্য, কেনই বা এতো মোচড়ামুচড়ি!

জানি না, কিচ্ছুটি জানি না আমি। কে যেন আমাকে ডাকে সবুজ বনের গহীন থেকে, ধানক্ষেত থেকে যেন ভেসে আসে কারো লুকোচুরি-সৃষ্ট সতর্ক পদধ্বনি। একটি শুকতারা যেন জ্বলে জ্বলে ক্লান্ত হয় আমি দেখবো বলে। কিংবা আমাকে সে দেখবে বলে জ্বলে। জ্বলে জ্বলে নিজেকে পোড়ায়। এ আমার কী হলো; কোন ভূত ধরলো আছর! শৈশবে দেখা কিশোরীর মুখ কেন এখনো হৃদয়পটে এতো উজ্জ্বল। ঘাঁই দেয়, গোত্তা খায়। তবুও সে উজ্জ্বলতা কমে না এতোটুকুন। উজ্জ্বলতার শেষ যেন নেই। সরোবরে ভাসে, ডোবে; ডোবে, ভাসে... আবছাও হয়ে যায় এক সময় অথচ দ্যাখো কী তামাশা, শুধু শৈশবের সেই কিশোরীই আমাকে দোলা দেয় না, দোলা দেয় আরো অনেকেই, অনেকভাবে। মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই, চারপাশে যে সুন্দরের হাতছানি, এসবের ভিতর আমার সেই গ্রামের সোঁদা গন্ধমাখা শৈশবের স্থান হয় কী করে, কোন মরীচিকার মন্ত্রণায়! আমরা তো ভুলেই থাকি আমাদের আমিকে। ভুলতে পারার অপর নাম আধুনিকতা। তারপরও কীভাবে শেকড়ে এমন ছিঁড়ে যেতে চাওয়া টান পড়ে, কোন দৈববলে! কখনো এমন হ্যাঁচকা টান, অসহ্য রকম।

আমি হারাই বনের নিবিড়ে। একটা ফড়িঙের পিছু পিছু মন দৌড়ায়। সবুজ গন্ধমাখা ধানক্ষেতে কীসের যেন আহ্বান জানায়। বলি বলি করেও পরিস্ফুট হয়ে ওঠে না আকুতি। দিগন্তবিস্তারি যে পথরেখা-তার সাথে আমার কী সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যাকে অমোঘ টান হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে? যদিও জানি না, এ পথের শুরু এবং শেষের হদিস! পথ নিজেও কি তা জানে!

বিশ্বাস করো, অন্যরা কী জানে আর কী জানে না। বুঝতে চাই না আমি। তবে আমি কিচ্ছু জানি না। আমার ভিতরে কী বয়, বাইরে কী হয়, কোন অলোকের পানে মন ধায়-তার সব কি আর বুঝি, ছাই!

যেদিন মন-টন একটু বেশি ভালো থাকে, সেদিন হয়তো স্বপ্ন দেখি গ্রামের সর্পিলাকার রাস্তা ধরে কে দৌড়ে যায়। আমি তাকে পিছু ধাওয়া করি। ধাওয়া মানে প্রচলিত অর্থে ভয়ঙ্কর কিছু নয়, ধরতে চাওয়া। পিছন থেকে ডাকি। সে আমার ডাক শুনতে পায় না। অথবা শুনেও না শোনার ভান করে চলে যায়। আর আমি অসহায়, পরাজিত খেলোয়াড়ের মতো নতজানু হই; তবু হাল ছাড়ি না। আঁকড়ে ধরি, ঝাপটে ধরি। মন বলে হয়ে যাবে, এই তো আর একটু হলেই...। এই তো হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে। কিন্তু সুদূরতমা মরীচিকা, আলেয়ার আলো যেন।

সকালে যখন তাজা ঘুম ভাঙে, উত্তর খুঁজে পাই না এ স্বপ্নের। কার পেছনে দৌড়িয়েছি আমি, কে সে। চিনি তাকে? সে আমাকে জানে? চিনলে তার নাম কী! কেনই বা এসেছিলো মনোলোকে? কখনো সখনো এমনও হয়, আমার চারপাশে এক দঙ্গল কিশোর-কিশোরী হট্টগোল করে। হট্টগোল করে কী বলে না বলে কিছু বুঝি না অথবা বুঝি ঠিকই কিন্তু মনে রাখতে পারি না অথবা মনে রাখতে পারি ঠিকই, দুর্বোধ্য সে ভাব অনুবাদ করে সামনে আনতে পারি না!

কোন সুদূর পানে ছুটে চলেছি অন্ধ আমি...! এই অন্ধত্ব আর কতদিন ভোগাবে!

জানি, উত্তরের খোঁজে উত্তর-দক্ষিণে ছোটার মানে নেই কোনো...!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯



গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্তনাদ

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল্যাইকা লেন্সে ওঠানো ক’টি ছবি

লিখেছেন অর্ক, ১৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩০




ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময়, ক্রসিংয়ে তোলা। ফ্ল্যাস ছাড়া তোলায় ছবিটি ঠিক স্থির আসেনি। ব্লার আছে। অবশ্য এরও একটা আবেদন আছে।




এটাও রেল ক্রসিংয়ে তোলা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×