৩৮ বছরের তরতাজা যুবক। স্বল্প শিক্ষিত এ যুবকের নাম জাহাঙ্গীর। বেকারত্বের গ্লানি মুছতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে (দুবাই)। সেখানে প্রায় ২ বছর কাজ করেছেন। কাজ করার সময় হঠাৎ একদিন মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। পড়ে যান মাটিতে। কিছুদিন হাসপতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীরের ব্রেণ টিউমার ধরা পড়ে। তারপর আর বিদেশে কাজ করা হলো না এবং বিদেশে চিকিৎসা নেয়া হলো না। সেখান হতে দেশে ফেরত পাঠানো হলো। তারপর থেকে চলছে নানা-রকম চিকিৎসা।
কুমিল্লা লাকসামের গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বেতিহাটির ছেলে জাহাঙ্গীর দেশে এসে চিকিৎসা নিলেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হাছানের। সহকারী অধ্যাপক নাজমুলে পরামর্শে সেখান হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিউরো সার্জারী অধ্যাপক রাইস উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর ঢাকার এ্যাপোলো হাসাপাতালের নিউরো সার্জারী ডঃ এস এম কামরুজ্জামান, প্রফেসর এম ইনামুল হকের চিকিৎসাধীন ছিলেন। সকল বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারের অভিমত জাহাঙ্গীরের এ ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা বাংলাদেশে করাটা অনেক ব্যয়বহুল। আর তাছাড়া বর্তমানে জাহাঙ্গীরের শারিরীক অবস্থা অবনতির দিকে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সিঙ্গাপুর অথবা ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। নচেৎ তার জীবন বাচানো কঠিন হয়ে পড়বে। আর এ চিকিৎসার জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে।
জাহাঙ্গীরের বাবা মোস্তফা কামাল একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী। পুত্রের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। কিন্তু চিকিৎসার দেখা পাননি। পুত্রের জন্য পরিবারটি আজ পথে বসার অবস্থা। পারিবারিক আয়ের উৎস জমি-জমা প্রায় বিক্রি করা হয়ে গেছে। কিন্তু অসহায় পরিবারটি জাহাঙ্গীরের জন্য কিছুই করতে পারছে না। প্রতিনিয়ত মস্তিস্কের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীরের জন্য বাংলাদেশের হৃদয়বান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে আসে তাহলে জাহাঙ্গীর, তার একমাত্র পুত্র ও স্ত্রী এমনকি একটি পরিবার উপকৃত হতো। জাহাঙ্গীরের পিতার আকুল আবেদন তাঁর পুত্রকে বাঁচাতে যদি কেউ এগিয়ে আসেন তবে নিম্নলিখিত ঠিকানায় সাহ্যয্য পাঠানোর অনুরোধ করা হলো:
মোস্তফা কামাল খোন্দকার
হিসাব নং-২১০২৩৪৩২৪৬০০১
দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড
দৌলতগঞ্জ শাখা, লাকসাম
ফোন নং-০১৬৭৩৭০৬৮৯১
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫০