somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

BCS প্রিলির জন্য দৈনিক কয় ঘণ্টা পড়লে এবং কীভাবে প্রিলি পাশ করা সম্ভব?

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

***BCS প্রিলির জন্য দৈনিক কয় ঘণ্টা পড়লে এবং কীভাবে প্রিলি পাশ করা সম্ভব?
.
আপনি কতঘণ্টা পড়লে আপনার বিসিএস প্রিলির প্রিপারেশন কাভার করবে এটা বলা মশকিল। কারণ একেকজনের পড়ার স্টাইল একেক রকম। আবার সবাই সমানতালে অনেক বেশি পড়তে পারে না। কেউ কেউ আবার অনেক বেশি পড়লেও মনে রাখতে পারে না। তাই Exact Time বলা অনেক কঠিন। তবে আমার মনে করি বিসিএস প্রিলির জন্য দৈনিক পরিকল্পনা করে কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা পড়া উচিৎ নতুনদের।

আমার মতে, BCS প্রিলির সব টপিক না পড়ে কেবল বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বার বার পড়া উচিত। তাই বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতি শুরু করার আগে কী কী পড়বেন সেটা না ঠিক করে আগে ঠিক করুন কী কী বাদ দিবেন। তাহলে আপনার বিসিএস সিলেবাস অনেক ছোট হয়ে যাবে, বিসিএস সিলেবাসকে মহাসাগর মনে হবে না এবং পড়তেও ভালো লাগবে। কেননা, আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিই বার বার পড়েন তাহলে পরীক্ষার হলে উত্তর দিতে গেলে কনফিউজড হবেন না। আর যদি কোনো বিষয়ই ভালোভাবে না পড়ে সব বিষয়ই কোনো পরিকল্পনা ছাড়া পড়তে থাকেন তাহলে পরীক্ষার হলে দেখবেন কিছুই ভালোভাবে মনে করতে পারছেন না কিংবা কেবল কনফিউজড হয়ে যাচ্ছেন কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।
আপনি দেখবেন প্রত্যেক বিসিএস প্রিলিতে ২০০টি প্রশ্নের মধ্যে ১৪০-১৫০টি প্রশ্ন একেবারে কমন টপিক থেকে আসে তারপর সবাই পারে না। এর মূল কারণ হলো গুরুত্বপূর্ণ এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় পড়াতে পরীক্ষার হলে কমন বিষয়গুলো উত্তর দিতে পারছে না অনেকেই কিংবা পারলেও অনেক ভুল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শুধু যদি কমন পারার প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিক ভাবে দেওয়া যায় তাহলে প্রিলিতে অনায়াসে পাশ করা যায়। কেননা, প্রিলিতে পাশ করার জন্য ২০০ নম্বরে ১৮০-১৯০ পেতে হয় না ; ২০০ নম্বরের প্রিলিতে ১২০ নম্বর পেলে যেকোনো প্রশ্নে সেইফ মার্কস।
যেমন, ৩৮তম বিসিএস প্রিলি দেয়ার পর অনেকেই বলেছিল প্রশ্ন অনেক সহজ হয়েছে এই প্রশ্নে ১৩০-১৪০ না পেলে টিকা সম্ভবপর নয়। কিন্তু শেষে দেখা গেল ৩৮তম প্রিলি ১১০-১১৫ পেয়ে টেকে গেছে। মানে কার্ট মার্কস ছিল ১১০-১১৫ এর ভিতরে এতো সহজ প্রশ্নতে!
তাই আমি বলি কম Important টপিকগুলো বাদ দিয়ে শুধু বেশি Important টপিকগুলো পড়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিলে প্রিলি পাশ ইনশাল্লাহ!
আর এই কৌশলকে কাজে লাগিতে আল্লাহর রহমতে জীবনের প্রথম বিসিএস প্রিলি থেকে শুরু করে অর্থাৎ ৩৪তম বিসিএস প্রিলি থেকে ৩৮তম বিসিএস প্রিলি পর্যন্ত টানা ৫ টি বিসিএসের কোনোটাই ব্যর্থ হয়নি। যতবার পরীক্ষা দিয়েছি ততবারই পাশ করেছি। এমনি আমি পূবালী ব্যাংকে জব করার সময়ও ব্যাংকের এতো প্রেশারের মধ্যে যতবার প্রিলি দিয়েছি ততবার পাশ করেছি।
এইভাবে নিয়মিত পরিকল্পনা মাফিক পড়লে ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই। তাই বলি, উল্টাপাল্টা বেশি জিনিস না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো বারবার পড়ুন ইনশাল্লাহ আমার মতো আপনিও ভালো ফল পাবেন।
*আর তাই বিসিএস ও সরকারি চাকরির প্রার্থীদের কথা ভেবেই শুধু গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সাজেশনভিত্তিক বিসিএস প্রিলি বই "BCS Preliminary Analysis" রচিত। এই বইয়ে সব বিষয়ের শুধু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সাজেশন আকারে গুছিয়ে দেয়া হয়েছে।

__________________________________
©©© গাজী মিজানুর রহমান
***৩৫তম বিসিএস ক্যাডার ও সাবেক সিনিয়র অফিসার, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।
***প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক: BCS টেকনিক (বিসিএস স্পেশাল প্রাইভেট প্রোগ্রাম)
©©© লেখক: BCS Preliminary Analysis ( বিসিএস প্রিলির গতানুগতিক ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিতে শীঘ্রই আসছে বাংলাদেশের প্রথম বিসিএস প্রিলির সাজেশনভিত্তিক বই- BCS Preliminary Analysis। এই এক বই ব্যাখ্যাসহ বুঝে বুঝে পড়লে ইনশাল্লাহ প্রিলি পাশ! কেননা, এই বইটি আমার ৩৪তম বিসিএস থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত দীর্ঘ ৫টি বিসিএসের বাস্তব অভিজ্ঞা, সকল নোট, সাজেশন ও টেকনিক দিয়ে রচিত। একটা বিষয় খেয়াল করবেন, কেউ অল্প পড়েও বিসিএস টিকে যায়, কেউ অনেক পড়েও টিকে না। আমার কেউ কেউ বার বার বিসিএস পাশ করে, কেউ আবার একবারও পাশ করতে পারে না। এর মূলে রয়েছে কৌশল ও পরিকল্পনা )
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×