somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বনাশা পাপের সর্বগ্রাসী শাস্তি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুফতী আবু ওয়াফা মনসুর আহমাদ
“হযরত আমর ইবনুল আস রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে স¤প্রদায়ের মাঝে ব্যভিচার প্রকাশ্য রূপ পরিগ্রহ করে, নিশ্চিতভাবে তাদেরকে দুর্ভিক্ষের শিকারে পরিণত করা হয়। আর যে স¤প্রদায়ের মাঝে ঘুষ প্রকাশ্য রূপ লাভ করে, তাদেরকে নিরাপত্তাহীনতায় পাকড়াও করা হয়।”
ব্যাখ্যা ও আনুষঙ্গিক কথাঃ পাপ মাত্রই তা শাস্তিযোগ্য বিষয়। অবশ্য কতক পাপ আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেন। পাপের চুড়ান্ত শাস্তি হবে আখিরাতে তথা কবরে, হাশরে, জাহান্নামে। তবে কিছু পাপের শাস্তি দুনিয়াতেও কার্যকর করা হয় মানুষকে সতর্ক করার জন্যে, পাপ হতে ফিরিয়ে আনার জন্যে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “মানুষের হস্তার্জিত পাপের কারণেই স্থল ও জলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তা তাদের কৃতকর্মের কিঞ্চিত স্বাদ আস্বাদন করানোর জন্য, যেন তারা ফিরে আসে।” (সুরা রূম- ৪১)
পাপ অনুপাতেই পাপের শাস্তি। পাপ যখন ব্যক্তির মাঝে সীমিত থাকে, শাস্তিও তখন কেবল ব্যক্তিকেই ঘিরে আসে। আর যখন তা সমাজে ব্যাপক ও প্রকাশ্যরূপ লাভ করে শাস্তিও তখন সর্বগ্রাসী হয়ে আসে। উক্ত হাদীসে দু’টি পাপের জাগতিক শাস্তির কথা আলোচিত হয়েছে। পাপ দু’টিই বর্তমান সমাজে প্রকাশ্যরূপ পরিগ্রহ করে আছে। আর এগুলোর শাস্তিও কার্যকর রয়েছে।
প্রথম পাপ ব্যভিচারঃ বর্তমান সময়ে ব্যভিচারের ব্যাপকতা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। দিন দিন এটির প্রতি মানুষের অনুভূতিও দুর্বল হয়ে পড়েছে। একে বিশেষ কোন পাপ জ্ঞান করা হচ্ছে না। ক্ষেত্র বিশেষ একে বৈধতার লেবাসও পরানো হচ্ছে। বহু রকম আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এর বাজারকে সরগরম রাখা হচ্ছে। যার যৎসামান্যই নিম্নে তুলে ধরছি -
যিনা ব্যভিচারের মতো জঘণ্যতম পাপ কর্মটিকে মনুষ্য সমাজে সহজ ও হালকা করে তোলার জন্য পয়লা তদবির হলো; বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার ব্যাপক অনুশীলন। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়া। এগুলোতে অনৈতিক যৌন সম্পর্কের হীন বিষয়গুলোকে অতি স্বাভাবিক ও সহজ করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। পত্রিকার বিনোদন পাতায়, ম্যাগাজিনের কভার ফিচারে, দেশি-বিদেশী চলচ্চিত্রে নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীর ছবি প্রদর্শন ও যৌন সুড়সুড়িমূলক কথা ও গান পরিবেশন এখন নিতান্তই মামুলী বিষয় হয়ে গেছে। আর এতে ফল যা হবার তাই হচ্ছে। যুবক-যুবতীদের যৌন উন্মাদনা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধদের দ্বারাও সংগঠিত হচ্ছে যৌন অপরাধ। ধর্মীয় অনুশাসন, দেশের আইন-আদালত সবই হার মানছে তাদের সামনে।
যিনা-ব্যভিচারের ব্যাপক রূপ লাভের কয়েকটি বিশেষ কারণঃ
ক. আজ-কালের আধুনিক-আধুনিকারা তাদের বল্গাহীন যৌন স্বেচ্ছাচারিতাকে বৈধতা দানের জন্য একটি চটকদার পরিভাষা ব্যবহার করছে। “ফ্রি-মাইন্ডঃ বা মুক্ত মন। অভিধানে শব্দটির অর্থ যাই হোক না কেন, ওরা ফ্রি-মাইন্ড কথাটিকে ফ্রি সেক্স অর্থে ব্যবহার করে। নারী-পুরুষ অবাধে যত্রতত্র বিচরণ, সংগোপনে অবস্থান আর পশুর মতো যৌন চাহিদা পূরণই হল ফ্রি-মাইন্ড নীতির মূলকথা।
খ. অধুনা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার বিচিত্র শিরোনামের দর্শন ও আন্দেলনগুলোর পশ্চাতেও একই কুমতলব লুকায়িত। যা এসব আন্দোলনের হোতাদের কথা ও আচরণ থেকে সহজেই অনুমিত হয়। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাই যদি তাদের উদ্দেশ্য হতো তাহলে নারীর মর্যাদা ও সতীত্ব রক্ষার বিকল্পহীন ব্যবস্থা পর্দাকে প্রগতির অন্তরায় বলে আখ্যা দেয় কেন? নারী পর্দাহীন হলেই কি তার কর্মদক্ষতা, কর্মনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়? একজন বেপর্দা নারীকে অফিসে বসিয়ে রাখলেই কি তাতে পুরুষের কাজের চিন্তা বৃদ্ধি পায়? প্রগতির নামে সমঅধিকার আদায়ের নামে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতির নামে যেসব অঙ্গনে নারীদের পর্দাহীন প্রবেশ ঘটেছে, তার সিংহভাগ যিনার আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। চাকরী রক্ষার স্বার্থে উপরস্তদের কাছে নারীকে অনেক কিছুই বিকিয়ে দিতে হয়।
গ. যিনাকে ব্যাপক করার পশ্চাতে বানিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিও বিশেষভাবে কার্যকর। অর্থের বিনিময়ে সম্ভ্রম বিক্রয়ের মতো বর্বর কর্মটিকে হালাল (?) করার জন্য তারা এর নাম দিয়েছে “সেক্সট্রেড বা সেক্স ওয়ার্ক” অর্থাৎ যৌনকর্ম বা যৌন বানিজ্য। এ পেশায় নিয়োজিত নারীদেরকে বলা হয় সেক্সওয়ার্কার বা যৌন কর্মী।
অন্য দশ জন কাজের মানুষের মতো এ সব নারীরাও তাদের চোখে বৈধ পেশাজীবী। স¤প্রতি কিছু হোটেল নারীর সম্ভ্রম বিক্রি ও ব্যভিচারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব হোটেলে যথারীতি নারী ও মদ পরিবেশন করা হয়। ট্যুরিজম বা পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্যই নাকি হোটেলগুলোতে এই ‘ফূর্তি’র ব্যবস্থা। কিছু ‘ফূতি’র ব্যবস্থা না থাকলে নাকি বিদেশীরা আমাদের দেশে পর্যটনে আসবে না। এমনি বহুবিধ উপায়ে বর্তমান সময়ে যিনাকে স্বাভাবিক ও ব্যাপক বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে।
উল্লিখিত হাদীসে ব্যভিচারের শাস্তিঃ যিনার পাপটি যখর গোপনীয়তার সীমা অতিক্রম করে প্রকাশ্য রূপ লাভ করে, তখন এর পাপীদেরকে আর অবকাশ দেওয়া হয় না। এদের শাস্তিকে আখেরাত পর্যন্ত বিলম্বিত করা যায় না। আখিরাতের আযাব যা হবার তা তো হবেই, দুনিয়াতেও নগদ কিছু প্রদান করা হয়। এইডসের মতো মরণব্যাধি এ পাপেরই নগদ শাস্তি। উক্ত হাদিসে যে শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো দুর্ভিক্ষ-খাদ্যাভাব। এ দুর্ভিক্ষের বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে।
প্রথম ব্যাখ্যাঃ অনুৎপাদন ও শস্যহানির কারণে আকাল দেখা দেয়া, খাদ্যের ঘাটতি ও সংকট দেখা দেয়া।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যাঃ উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের বরকত ও উপকারিতা হ্রাস পাওয়া। খাদ্যের বরকতের অর্থ হল, এর স্বাদ ও পুষ্টিগত গুণ যথার্থ রূপে বিদ্যমান থাকা এবং অনিষ্ট সাধন না করা।
বর্তমান সময়ের শস্যাদিতে, মাছে ও ফলমূলে আগের মতো স্বাদ নেই- একথা আজ প্রবীণদের মুখে মুখে। অপরদিকে খাদ্যের অনিষ্ট বহুলাংশে বেড়ে গেছে। বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি ও বৃদ্ধিতে কতক খাদ্যের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এ কারণেই ডাক্তারগণ রোগীদেরকে এসব খাদ্য খেতে নিষেধ করে দেন।
তৃতীয় ব্যাখ্যাঃ খাদ্যদ্রব্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মওজুদ থাকা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ার কারণে মানুষের ক্রয়ের সাধ্য না থাকা। এজন্য আমরা শুধু সরকারকে দায়ী করি। এটা যখন আমাদের পাপের শাস্তি, তখন এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা কোন সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয়। পাপটি যেমন দ্রুত বেড়ে চলেছে শাস্তিটিও আমাদের আয়ের সাথে সঙ্গতি না রেখে দ্রুত বেড়ে চলেছে।
দ্বিতীয় পাপ ঘুষঃ ঘুষ সমাজ দেহের একটি মারাÍক বিষফোঁড়া। সমাজ দেহে পচন সৃষ্টি ও সমাজকে অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ একটি দূর্নীতিই যথেষ্ট। এ দূর্নীতিটি অধুনা ভয়াবহরূপ পরিগ্রহ করে আছে। ঘুষ গ্রহীতারা দাতাদের কাছ থেকে তা ন্যায্য পাওনার মতোই আদায় করে নিচ্ছে। দেশের উচ্চ-গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থেকে নিয়ে নিম্ন সাধারণ বিভাগ পর্যন্ত সব বিভাগের প্রায় সব কার্যক্রমই ঘুষ নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর এ অভিশাপের নির্মম শিকার হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষেরা। সর্বত্র এ ঘুষের ব্যাপকতা লাভের কয়েকটি কারণ নিম্নে তুলে ধরছিঃ
প্রথম কারণঃ অতি বিলাসপূর্ণ জীবনের হীন মানসিকতা। ঘুষখোর অফিসাররা ন্যায্য বেতন-ভাতা দিয়ে তাদের বিলাসী জীবনের সব ব্যয় নির্বাহ করতে পারে না। তাছাড়া উন্নত বাড়ি-গাড়ির আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন পূরণের তাড়না তো রয়েছেই। যার ফলে অনেকটা নিরূপায় (?) হয়ে তারা ঘুষ গ্রহণ করে থাকে। অথচ আল্লাহ পাক এ অতি বিলাসীতা দুনিয়ার জীবনে হারাম করেছেন। এ অসঙ্গত বিলাসিতাকে কাফেরদের চরিত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, “যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে আল্লাহ পাক তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে নির্ঝরণী সমূহ প্রবাহমান। আর যারা কাফের, তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত্ব থাকে এবং চতুষ্পদ জন্তুর মতো আহার করে।” (সূরা মুহাম্মদ -১২)
দ্বিতীয় কারণঃ ঈমান-এক্বীনের দুর্বলতা হেতু অর্থ সম্পদে বরকত শূন্যতা। মানুষ যখন আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখে, তাকে ভয় করে, তার আনুগত্য করে, তখন তার আয় উপার্জনে বরকত এসে যায়। যৎসামান্য হালাল উপার্জন দিয়ে দিব্যি আরামে কাল যাপন করতে সক্ষম হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি আস্থাশীল হতে পারে না, তাঁকে ভয় করে না, তাঁর আনুগত্য করে না, অর্থ-সম্পদকেই সুখ-দু:খের নিয়ন্তা বলে বিশ্বাস করে, আল্লাহ পাক তার জীবন ও সম্পদ থেকে বরকত ছিনিয়ে নেন। অর্থের জমা খরচকেই তার জন্য আযাব বানিয়ে দেন। একদিকে সম্পদের ক্ষুধা কখনো মিটে না; এ ক্ষুধার যন্ত্রণা তাকে সর্বদা অস্থির করে রাখে। অপরদিকে উপার্জন যত বেশিই হোক না কেন, অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন নতুন ব্যয়ের খাত সৃষ্টি হতে থাকে। আজ থানায় কিছু দিতে হয়, কাল সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায় করতে হয়, পরশু ছেলের একসিডেন্ট, পরের দিন মেয়ে অপহৃত হয়; নিয়মিত খরচতো আছেই। সবই টাকার ব্যাপার। এত টাকার যোগান দিতে গিয়ে উন্মাদ প্রায় হয়ে যেখানে যা পায় গোগ্রাসে গিলতে থাকে। হালাল-হারামের তোয়াক্কা থাকে না। তাদের কাছে ন্যায্য বেতন আর ঘুষের টাকা দু’টিই এক।
তৃতীয় কারণঃ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। ঘুষখোর এবং তাদেরকে যারা নিরুপায় মনে করে তারা এ তৃতীয় কারণটিকেই গ্রহণ করে থাকে। তাদের বক্তব্য হলো- চাকুরির ভাতা একেবারেই স্বল্প, আর বাজারে জিনিস পত্রের দাম খুবই চড়া। এমতাবস্থায় কিচু উৎকোচ গ্রহণ না করে উপায় কী? এটি একটি চটকদার যুক্তি। অনেকেই এই যুক্তির সামনে হার মেনে যায়। প্রথম কথা হল দ্রব্যমূল্য অস্বাভাভিক রূপে বৃদ্ধি পাওয়া এটি আমাদের পাপেরই ফসল, যেমন উপরে আলোচিত হয়েছে। সুতরাং দ্রব্যমূল্য সমস্যার সমাধান হতে পারে উক্ত পাপ বর্জনের মাধ্যমে, ঘুষ নামের আরেক পাপে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে নয়। দ্বিতীয় কথা হলো, অনেক চাকুরীজীবী-ই ঘুষ গ্রহণ করেন না। যারা এ অভিশাপ থেকে আÍরক্ষা করে চলে, তারা কি খেয়ে-পরে কালাতিপাত করে না? দীর্ঘ দিন আমার অন্তরে এ ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে, পুলিশের বেতন খুবই কম, তাই ঘুষ ছাড়া তাদের উপায় নেই। কিন্তু কয়েক বছর পূর্বে একজন পুলিশের সাথে কথা হলে তিনি বলেছিলেন, একেবারে নিচের পর্যায়ের একজন পুলিশ সিপাহী, তার শুরুর বেতনও প্রায় ৫০০০/- টাকা। থাকা-খাওয়ার খরচ নেই। রেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা তো আছেই। সুতরাং ঘুষ ছাড়াই সে দিব্যি চলতে পারে।
দ্বিতীয় পাপের শাস্তিঃ উল্লিখিত হাদীসে ঘুষের জাগতিক যে শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো যে সম্প্রদায়ের মাঝে ঘুষ প্রকাশ্যরূপ পরিগ্রহ করে, আল্লাহ পাক গোটা স¤প্রদায়কেই ভয়-ভীতি ও আতংকগ্রস্ত করে দেন। নিরাপত্তাবোধ এদের থেকে ছিনিয়ে নেন। জানের নিরাপত্তা থাকে না, মালের নিরাপত্তা থাকে না। সাম্প্রতিক কালে গোটা জগতটাই ত্রাসের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। সর্বত্র ভয়, শংকা, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে নিয়ে একজন সাধারণ মানুষ পর্যন্ত কারো জীবনে নিরাপত্তাবোধ নেই। এ অবস্থার আদৌ পরিবর্তন হবে না, যদি না আমরা পাপ বর্জন করি।
মোদ্দা কথা, উল্লিখিত দু’টি সর্বনাশা পাপের কারণে আমরা বর্তমানে সর্বগ্রাসী শাস্তির মুখোমুখি। সমাজের এক শ্রেণীর পাপের কারণে সবশ্রেণীই আযাবের শিকার হয়। এটাই আল্লাহ পাকের নিয়ম। ইরশাদ হচ্ছে ঃ “আর তোমরা ঐ বিপর্যয়কে ভয় কর, যা বিশষত: শুধু তাদের উপর পতিত হবে না, যারা তোমাদের মাধ্যে জালেম এবং জেনে রেখ, আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠোর।” (সুরা আনফাল -২৫)
সুতরাং জীবনকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর ও সূখী করতে আমাদেরকে পাপ বর্জন করতে হবে। সমাজকে পাপ মুক্ত করতে সকলকেই সচেষ্ট হতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×