কোন একজনের পোষ্টে হাসান কালবৈশাখীর করা নিচের মন্তব্যটি আমার ভালো লেগেছে। আপনারা পড়ে মতামত দিতে পারেন।
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হোমোসেপিয়েন্সের আবির্ভাব ২-৩ লাখ বছর শেষদিকে মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে,
ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, মাদুর বোনা কাপড় বোনা পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। নিমনাঙ্গে মাদুর বা কাপড় দিয়ে ঢাকে। তখনো ঈশ্বর ভাবনা আসে নি।
অনেক পর আদিম মানুষ কিছুটা সভ্য হয়ে ছোট ছোট সমাজ গঠন করে। কিন্তু একসময় গোত্রপ্রধান বা বিদ্রহী কোন নেতা প্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। এভাবেই মুলত ঈশ্বর ভাবনা।
এরপর ছোট ছোট উপাসনা পর্বত উপাসনা সুর্য উপাসনা ইত্যাদি ধর্মের মত আবির্ভাব মানে হাজার ছোট ধর্মের ভেতরে যেগুলো টিকে গেল , সেগুলোই বড় ধর্ম হয়ে গেল।
৬ হাজার বছর আগে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভারতে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুছার ইহুদিজম, ইষ্ট এশিয়াতে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর পুর্ব ভারতে বৌধ্যিজম। মধ্যপ্রাচ্যে দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
একপর আরবে ইসলাম আসে এই সেদিন। মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।
কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা ডাকাত দল গঠন করে, মরুভুমির ছোট ছোট ডাকাত দলকে ঐক্যবদ্ধ করে। ডাকাতি বা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে, এসব কে যুদ্ধ বলা যায়? মরুভুমির গ্রাম থেকে বিতারিত আরেক গ্রামে আশ্রয়, চাচা মামা আত্নীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে মারামারিকেই বিশাল ধর্মযুদ্ধ বলা হচ্ছে। তাহলে তো চরমানাই চর দখল লাঠিয়াল, আটরশীতে গদি দখলও যুদ্ধ।
এভাবেই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, ডাকাত দল তৈরি করে। স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে ডাকাত দলের সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এর আগে মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে পরে নিজেকে
দৃশ্বমান ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে!
বিভিন্ন মহাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে। বা তলোয়ারের ভয় দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা আধুনিক বিজ্ঞান বর্ননা করে ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও .. ধর্ম টিকিয়ে রাখছে।
অতচ মানবকুল আবির্ভাব পরবর্তি কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন জঙ্গলে গুহায় কাটিয়ে গেছে।
আমার অবাক লাগছে, বাংলাদেশের মতো ধর্মবর্বর দেশেও হাসান কালবৈশাখীর মতো মানুুষ আছেন !!
আপনাদের দেখেই একটু হলেও মনে আশা জাগে।
হাসান কালবৈশাখী দাদাকে আমার শ্রদ্ধা জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৯