বললাম , " কেন ? কিকরে ? "
হরেনদা বলল , " আরে দুশ টাকা দিয়ে একটা পাঞ্জাবী কিনেছিলাম । বছর-দুই পরেছি । দেখি হাতাগুলো আর ঝুলপকেট ছিঁড়ে লটপট করছে । দিলাম হাতা আর ঝুলটা কেটে , পাঞ্জাবীটার বুক পেট বরাবর দিলাম চালিয়ে কাঁচি ।
হয়ে গেল ফতুয়া ।
সেটাও বছর-দুই পরেছি । তারপর হল কি - তারও তলার দিকটা ছিঁড়ে-খুঁড়ে গেল । দুশ টাকার জিনিস ফেলে দেব ? চালালাম কাঁচি ।
হাতাগুলো ছোটো হল । হাইটও কমে গেল । বৌ এর সুন্দর ব্লাউজ হয়ে গেল ।
বৌ সেটা দুবছর পরল। আর পরা যায় না । হাতা আর তলা একেবারে ঝুরঝুরে হয়ে গেল । তাবলে কি দুশ টাকার জিনিস ফেলে দেব ?
আবার কাঁচি ।
পুরো হাতা আর ধারগুলো কুচকুচ করে কেটে দিলাম।
একটা সুন্দর রুমাল হয়ে গেল ।
সেটাও কমসেকম দুবছর তো ব্যবহার করেইছি ।
তারপরে সেও আর চলে না ।
কিন্তু ফেলে তো দেওয়া যায় না । দুশ টাকা বলে কথা ।
সরু সরু করে রুমালটাকে কেটে বেশ কয়েকটা প্রদীপের সলতে বানালাম।
প্রদীপ জ্বলে । কিন্তু ছাইগুলো কি ফেলে দেব ? দুশ টাকা তো কম নয় ।
ছাইগুলো সব জড়ো করে রেখেছিলাম । তাতেই আজ দাঁত মাজছিলাম । এই থুথুর সঙ্গে আজ সব জলে চলে গেল । দুশ টাকা । বড় আফশোস হচ্ছে ভাইরে !"
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:০২