??
???
????
?????
??????
???????
১৯৯৫ সালের ঘটনা। এক ব্যক্তিটি হেঁটে যাচ্ছিলেন অফিসে। সেদিন ছিল কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে আওয়ামী লীগের/জামাতের ডাকা হরতাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা এই ব্যক্তিটিকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ছেড়ে দেয়। তাঁর অপরাধ ছিল, তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন।
পরবর্তিতে এই ভূমিকার পুরুষ্কার স্বরূপ ছাত্রলীগের ঐ অমানুষ কর্মীকে ( আনজাম মাসুদ) বিটিভির উপস্থাপক করা হয়।
সেসময় একদিকে প্রজাতন্ত্রের সব নিয়ম নীতি অমান্য করে সরকারী কর্মকর্তা থাকা স্বত্তেও মখা আলমগীরের নেতৃত্বে চলছিল জনতার মঞ্চ নামক স্যাবোটাজ মঞ্চ। অপরদিকে শেখ হাসিনা নিজেকে জামাত জাতীয় পার্টির একক নেত্রী ঘোষনা দিয়ে নিজামীর সাথে এক টেবিলে বসে তৈরি করছিলেন স্যাবোটাজের একের পর এক নীল নকশা। যার ফলশ্রুতিতে সেসময় আগুনে পুড়েছিল গোটা স্বদেশ। চট্টগ্রাম বন্ধরে ভাংচুর ,অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করেছিল শিবির- ছাত্রলীগের যৌথ বাহিনী।
গান পাউডার দিয়ে বাসে মানুষ পুড়ে মারার কথা নাই বা বল্লাম।
সেসময় ফেইসবুক ছিলনা, প্রযুক্তি ছিলনা হাতে হাতে।থাকলে হাসিনা- নিজামীর যৌথ প্রযোজনার শত শত ছবি পাওয়া যেত
সেসময় জামাত শিবিরের লোকেরা একেকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন(!) কিন্তু আজ তারা রাজাকার।
আজ ৪ বছরে ২৬ দিন হরতালে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু সেসময় ৫ বছরে ১৭৩ হরতালে অর্থনীতির কিছু হয়নি (!)
আজকে কেউ কেউ বলে বেড়ান হরতাল করা যেমন অধিকার তেমনি হরতাল না করাও অধিকার। অকাট্য যুক্তি। কোন দ্বীমত নাই। কিন্তু এই যুক্তি যখন সিজনাল হয়ে যায় তখন মেনে নেওয়া যায়না। ১৯৯৫ সালে কি ঐ অফিসগামী লোকটার হরতাল অমান্য করার অধীকার ছিলনা???
ইতিহাস কারো দাসত্ব করেনা। ইতিহাসের নির্মম সত্য তুলে ধরায় স্বাধীন দেশের মাটিতে সরকারের ছত্রছায়ায় নিঃখোজ হয়েছিলেন ক্যামেরা সৈনিক জহির রায়হান। তাই বলে কি ইতিহাস থেমে গিয়েছিল???
ইতিহাসের উলংগ প্রকাশ হবেই হবেই।
আজ আওয়ামী লীগ পুরো বাংলাদেশকে উলঙ্গ করে ছেড়ে দিয়েছে, তারপরেও আমাদের বোধোদয় হয় না!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৭