এখন যে লিখাটি লিখছি তা নিকট অতীতের এক নৃশংস ইতিহাস কে নিয়ে। যে ইতিহাস এখনো বাংলার ঘরে ঘরে নীরব কান্না ও ঘৃণার উপলক্ষ্য হয়ে বার বার ফিরে আসে। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ , আন্দোলনের নামে আওয়ামী যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেদিন যে নৃশংসতার জন্ম দিয়েছিল তা গোটা সভ্যতা কে লজ্জিত করে দিয়েছিল।
সেদিন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে লগি বৈঠা নিয়ে হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছিল আওয়ামী বাকশালী সন্ত্রাসীরা। ঢাকার রাজপথে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরে অতঃপর মৃত লাশের উপর উঠে পিচাশ নিত্য করে ঘৃণার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করেছিল সেদিনের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা, যারা আজকে মানুষকে তথাকথিত শান্তির ললিতবাণী শুনায়।
মিডিয়া এবং বিবেক এই শব্দদুটো এখন হাস্যষ্পদ। কিছু শুশীল ভেক ধারী মানুষের কাছে বিবেক হল বিষ্টার মাঝে মুখ ডুবিয়ে বলা আহা কি সুস্বাদু ! তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ দলীয় ক্যাডার দ্বারা পরিচালিত কিছু হলুদ মিডিয়া এবং তার পোষ্য তথাকতিত কিছু সাংবাদিক। এড়া প্রায়শই নানা টকশোতে বলে এখন বিরোধী দল দাবি আদায়ের জন্য অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সহিংস্র। এই কথাটা যখন শুনি তখন ইচ্ছে করে ওদের মুখে উগরে দিই একদলা থুথু। আজকে পুলিশ গনতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এই সুশীলেরা একবারো বলেনা এটাও বাংলার ইতিহাসে প্রথম। আজকের হাসিনার পুলিশ যত মানুষ মেরেছে স্বৈরাচারী এরশাদের পুলিশও এত মানুষ মারেনি।
এদেশে রাজনৈতিক কর্মসুচীতে লগি বৈঠা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার সংস্কৃতি চালু করেছে আওয়ামিলীগ। এদেশে মিছিল মিটিংয়ে পুলিশের গুলি করে মানুষ হত্যাে সংস্কৃতি চালু করেছে আওয়ামিলীগ। এদেশের রাজনীতিতেযত নেতিবাচক সংস্কৃতি তার সবগুলোই আওয়ামিলীগের অবদান।
যারা বলেন আজকের বিরোধীদল দাবি আদায়ের জন্য অনেক সহিংস্র তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করব সভা সমাবেশ আর হরতাল করা কি ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালের নরহত্যার চাইতেও বেশী সহিংস্র।
সেদিন ( উপরের ছবিতে প্রমাণ) লগি বৈঠা নিয়ে রাজপথে আওয়ামিলীগ যে ত্রাসের ভুবন সৃষ্টি করেছিল আজকের বিএনপির আন্দোলনব কি তার চাইতেও বেশী সহিংস্র??
সেদিন এত মানুষ হত্যা করা হয়েছিল তবুও পুলিশ গুলি চালায়নি। তবে আজকে কেন সামান্য মিছিল বের হলে নেমে আসে বুলেটের আঘাত??
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। খুনিদের যেমন একদিন বিচার হবে তেমনি বিচার হবে তথাকথিত সুশীলদের যারা আওয়ামী নৃশংতা কে কালে কালে ইনডেমেনিটি দিয়ে এসেছে বাক চাতুর্যে আর প্রপাগান্ডায়।
ছবিসহ আজকের লিখাটি ইতিহাসের জলন্ত সত্য। এই সত্য নতুন প্রজন্মের জানা দরকার। জানি আমার এই লিখা নির্বাচিত পাতায় যাবেনা। কেননা সব স্থান সত্য প্রকাশের জন্য উন্মুক্ত থাকেনা। তবুও লিখলাম। কিছু না হোক ইতিহাসের প্রমাণতো থেকে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬