আমাদের দেশে কয়েক বছর যাবত একটা নতুন বিষয় দেখা যাচ্ছে। উঠতি কিছু ছেলে (নতুন নতুন ফেসবুক ব্যাবহারকারী, ফেসবুকে ঢুকেই ৫০০/৬০০ বন্ধু সংগ্রহকারী) কাজ কাম নাই এসেই ধর্মের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করে দেয়।
আরে ভাই তুই ধর্ম মানবি না, ভালো (!) কথা। তোর আবার ধর্মের বিরুদ্ধে দাওয়াত দিতে হবে!! কিছু ছেলে মার্ক্সবাদের কিতাব পড়ে, ধর্মকারী আর মুক্তমনায় ঢুঁ মেরে মুক্তমনা হওয়ার সবক নেয়। আর ফেসবুকে এসে ধর্মের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়া শুরু করে। আরে তুই তো নিজেই নাস্তিকীয় গোঁড়ামির মধ্যে আছিস। তুই আবার কিভাবে মানুষকে গোঁড়ামি মুক্ত হওয়ার সবক দিস।
গতকাল কুমিল্লাতে যে ঘটনা ঘটানো হলো এটা কি ভারতের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে কী না, আল্লাহই জানেন। মিডিয়াতে অপরাধীকে যথাসম্ভব নির্দোষ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা ফেসবুকে পোস্ট দিলো, তাদের পোস্ট আসল কী না তা নিয়ে লেখা হচ্ছে। মিডিয়া কী আমাদের ফেসবুক ব্যাবহার শেখায়? আমি আমার প্রোফাইল থেকে পোস্ট করলে আমার নামেই যাবে। আমার নামে দুইটা না ১০০ টা প্রোফাইল থাকতে পারে, কিন্তু আসল প্রোফাইল আর ফেক প্রোফাইল ঠিকই চেনা যাবে।
অতএব ফেসবুকে আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল(স.) এবং ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়া বন্ধ করেন। আর মিডিয়ার সবাইকে অনুরোধ, বাক-স্বাধীনতার চর্চা করেন ভালো কথা, আমার রাসুল(স.) কে যারা গালিগালাজ করে, দয়া করে তাদের পক্ষালম্বন করবেন না।