somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্যগদ্যঃ আলোচ্য পেটকাটা ঘুড়ি ও কমলা রঙের হাতি পরম্পরা...

১১ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা পেটকাটা ঘুড়ির ভেতর বাতাসের মুখ আবিস্কার করতে পেরে আশির দশকের শেষের দিকে চরকাসিমপুর গ্রামের একদল বালক ভাঙা দাঁত ও ছেড়া-জিহ্বা বের করে যদিও হেসে উঠেছিল কিন্তু বড় হয়ে আকাশ-ভর্তি শকুনের ঠোঁট ও মানুষের ছিন্নভিন্ন হাত-পা-পাঁজর এবং মৃতকুকুরের ছায়া প্রত্যক্ষরণের পর চিরদিনের জন্য ঘুড়ি ওড়ানোর কৌশল ভুলে গিয়ে দলবদ্ধ তারা যখন নগরমুখো হয় তখন কেউ কেউ সাঁকো ভেঙ্গে জলের গর্তে অগত্যা হারিয়ে যায় এবং দু'তিন জন ছাড়া সকলেই দশ-বরো বছরের ব্যবধানে ভেসে ওঠে পৃথক পৃথক জল ও স্থলখন্ডে-- লেবাননে আফগানিস্থানে জয়দেবপুরে সমসেরনগরে এবং যারা যাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয় তারা হাত ধরাধরি করে সড়কের পর মহাসড়ক পেরুতে যেয়ে জ্ঞাত হয়-- এ পন্থে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রাক মহিলা-বাসসহ অটোরিক্সা হামাজীপ নট-নটী এবং রাষ্ট্রপতি মহারাষ্ট্রপতিসহ সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচটন করে অর্থাৎ চরকাসিমপুর গ্রামের একটা তিনপায়া উনুনের ভেতর আগুনের ওজন অথবা গ্রামসুন্দরী ভাবিটির স্তনের ওজনের সঙ্গে বিস্তর ফারাক অনুভব করে ঈষৎ বিষ্মিত তারা মহাসড়কের মধ্যবর্তী আয়ারল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আপাতচঞ্চল তারা ডানদিকে তাকিয়ে বাঁ দিকে ঘাড় ঘুরাতেই কমলা রঙের হাতিগুলোর কথা ভুলে গিয়ে পেটকাটা ইদুরের ভেতর দলবদ্ধ তারা মানুষের লুকিয়ে পড়ার দৃশ্যে বেশ আশ্বস্থ যদিও তবু মনে পড়ে যায়- প্রতিমাসে আঠারোবেলা ভাত খাওয়ার জন্যে কমপক্ষে বিশটি সাপ ধরে কোন প্রযত্নে যখন জীবন ধারণ অসম্ভব হতো তখন প্রতি বর্ষা-মৌসুমে কয়েক মণ ঘাড়ু-ব্যাঙ ধরে কয়েক মণ ভাঙ্গা ধানের বন্দোবস্ত করতে হতো... তারপরও তাদের নির্জন পল্লীতে পূর্ণিমা আসতো আর ধবল উঠোনে আগুনে-পোড়া পূর্বপুরুষের মুখ ভেসে ভেসে পুনরায় মিলিয়ে যেতো... বেড়ালের হর্ষধ্বনি হতে অনেকগুলো নতুন বেড়ালের জন্ম হলেও কোন এক প্রত্যুষে নিদ্রা ভেঙ্গে তারা কি নিরাধারা কান্না করেছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ হতে হতে বাকরুদ্ধ হয়েছিল... এখন যদিও তা মনে নেই তবে নিগূঢ় দৃশ্যকল্পটি কিছুতেই ভুলতে পারে না এজন্যে যে ঐ রাতে বেড়াল-জননী তার সদ্যপ্রসূত ছানাটির মাথা ও ঘাড়সহ তলপেটের অংশবিশেষ গিলে খেয়েছিল এবং তা প্রত্যক্ষরণের পর অপ্রতিরোধ্য বিবমিষার সময় তারা বুঝতে পেরেছিল-- মানুষ তার সারাটা পাকস্থলী সরু ছিদ্র দিয়ে উগলে দিতে পারে কিন্তু পাকস্থলী হতে বেড়ালের মাথাটা উগলে দেয়া প্রায়-অসম্ভব...
===========================================


জলজ

১.
অন্ধকার ছিল নরম ও নিস্তেজ। মৃত অক্ষরের ওপর মাছিদের ভোঁ ভোঁ শব্দে ক্রমশঃ ভেঙ্গে পড়ছিল পিঁপড়ের হাড়। এ দিবস তথা বৃক্ষরাজি ছারখার হলে অক্ষরগুলো উড়ে যেতে চায় মাছির উর্ধ্বতন। শূণ্যস্থান তখন ক্রমদীর্ঘ, তখন করোটীর পাশে পড়ে থাকা এক টুকরো আলো নিয়ে বালক্রীড়া করে সন্তানেরা। কেউ কেউ মাছি তাড়াতে যায়। বিবিধ বর্ণে তারা দিগ্বিদিক মিশে যাবার সময় আমাদের কোলাহলের অধিক ভোঁ ভোঁ শব্দ শুনা যায়।

এ আলো আঁশটে এবং ছেড়া ছেড়া। বৃক্ষের বানান লিখে যেতে যদিও কেউ কেউ নদী পাড়ি দেয়, নিদ্রা ভেঙ্গে গেলে হাড়ের হরফ হয়ে তারাও বয়োপ্রাপ্ত হয়। তারা মৃত্যুর নামে পূনঃর্বার জেগে উঠতে চায় অথবা মাছি বিতাড়ন- স্মৃতি সাকুল্যে ভুলে যেত চায়।

২.
পৃথিবীতে ঠান্ডা আসে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, আসমান, জমিন ও জয়তুনের বাগান ঠান্ডা। কলিজা-খোলা কীর্তনখোলায় কেউ আর মাছিগুলো তাড়াতে আসে না। দিগ্বিদিক ছড়িয়ে থাকে জলের মাংস...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৪৬
১৩টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×