নিকিয়ে উঠোন পরিপাটি করে সাজিয়ে রেখেছিনু
হাস্নুহেনা, বেলফুল আর কতো যে ফুলের রেণু।
তুলে রেখেছিনু কতোনা যতনে, আসবিরে তুই বলে
শুকতারা আর অরুণিমা হয়ে, সেই পড়ন্ত বিকেলে।
রেখেছি গরিয়ে নীতল দিঘীর শীতল করা জল
টাপুর টুপুর চোখে যে তুই ভাস্বিরে নীল কমল।
গৃহকোণে মোর জ্বালিনি সেদিন তখনো সন্ধ্যা দীপ্
সাঁঝের মায়ায় পরাবোরে তোকে সন্ধ্যা তারার টিপ।
দু'হাত ভরিয়ে পরাবো তোকে রেশমী কাঁচের চূড়ি
আলতা, নুপুর, কাজল কতোকি কিনেছিনু ভূরিভূরি।
বাসন্তী রঙে রাঙাবোরে তোর শ্যামল কোমল দেহ
সেই কথা স্মরি বুকটায় আজো ভরে উঠে কত স্নেহ। ।
এলোচুলে তোর বাঁধিব খোপা, কিনিনি ক্লীপ ভূলে
স্বর্ণলতা তুলেছিনু তাই, সাজি ভরে ফুলে ফুলে।
মনে পড়ে সোনা? কতো কলতান, কত কথা দু'জনে
একই সুরে গান, বেঁধেছিনু প্রাণ, আরো কতো কিযে মনেমনে।
আজো কেন হায় মনে পড়ে যায় সেসব দিনের কথা
রিন্রিনে সুরে বুকের গভীরে বাজেরে এ কোন ব্যাথা।
কোথা গেলি তুই, কোন বিজনেরে, কোন সে সুদূরে
তবু ক্ষণে ক্ষণে বেজে যাস্ মনে রবীন্দ্র সুরে ।
কাজল, শ্যামল, গভীর চোখের, খেয়ালী সোনা মেয়ে
ঘাসের গালিচা বিছায়েছি আজো তোর পথ যে চেয়ে।
ফিরে আয় সোনা ফিরে আয় তুই লক্ষ্মী প্রতিমা
অভিমানী মন আজো কাঁদে হায় আমার 'পূর্ণিমা'।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৫