আজ ২২শে শ্রাবন। মাসের শেষ সপ্তাহ।
শাওন রাতে যদি, স্মরনে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে, নয়নে বারি ঝরে।
কোথায় সেই ঝড় বাদল, বাহিরে খাঁখাঁ রোদে শরীর ঘর্মাক্ত। বাহিরে যাবার উপায় নেই। মাসে ২/৩ দিন একটু বৃষ্টির দেখা মিলে। চাষিরা বর্ষা উপলক্ষে পাটের চাষ করে, সাধারনত যেখানে পাট চাষ করে সেখানেই পাট জাগ দেয়া হয়। কিন্তু আজ তাদের মাথায় হাত পানির অভাবে পাট পঁচানোর ব্যবস্থা হচ্ছেনা। যার কারনে চাষিরা এখন পাট না ছড়িয়ে শুকিয়ে ফেলছে যা জ্বালানী ছাড়া আর কোন কাজে আসবে বলে মনে হয়না। অথচ এই পাট থেকে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আসার কথা। জাতীয় জীবনে পাটের আরো গুরুত্ব বিস্তৃত। কৃষকরা সর্বোপরি দেশ বিপুল লোকসানের মুখে। এই কৃষকরা বিপুল ভাবে ধার দেনা পর্যবসিত । সরকারের উচিৎ তাদের আর্থিক সহায়তা করা।
এছাড়া কৃষক গন বৃষ্টি বা পানির অভাবে পরবর্তী মৌসুমের ধানের বীজতলা করতে পারছেনা যা দেশকে খাদ্য ঘাটতির দিকে ফেলে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজে যা পদক্ষেপ নেয়ার এখনই নিতে হবে।
কিন্তু কথা হলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তার উন্নত বিশ্ব থেকে ক্ষতিপুরন আদায়ের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। এর জন্য দরকার ঐক্য বদ্ধ হয়ে দাবি আদায়ের জন্য নেগোসিয়েশন করা। এটা আমাদের অধিকার।
এবং দেশে এখনি পর্যাপ্ত বনায়নন করে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এরজন্য বেশী করে বনায়নের বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২৫