somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেমন্তের অরণ্যের পাঁচটি ঝরাপাতা

২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
পাশে চলতে চলতে মেঘমানুষ জিজ্ঞেস করে, "তোমার কী ভালো লাগে, বাদামী মেয়ে?"

বাদামী মেয়ে বোঝা নামিয়ে একটু দাঁড়ায়, চুলে পরা লাল ফুলের মঞ্জরীতে হাত বোলায় নরম করে, তারপরে কোমল দৃষ্টি মেলে তাকায় মেঘমানুষের মুখের দিকে, বলে," ভালো লাগে তিরতির করে বয়ে যেতে থাকা জলের শব্দ---খুশী-খুশী সবুজ ঘাস আর রোদপোহানো পাথরের পাশ দিয়ে যা বয়ে যায়, ভালো লাগে শরতের উজল দিনে ফড়িং প্রজাপতিদের লীলাময় ওড়াউড়ি দেখতে৷"

মেঘমানুষ হাসে, বলে,"কাউকে কখনো বলেছ এসব?"

বাদামী মেয়ের উজল চোখে ছায়া পড়ে আসে, সূর্যের উপরে মেঘ এসে পড়লে যেমন আবছায়া পড়ে, তেমন৷ মাথা নেড়ে বোঝায় বলেনি কাউকে৷

"কেন?" মেঘমানুষ জিজ্ঞেস করে৷

বাদামী মেয়ে উত্তর দেয় না, চুপ করে চেয়ে থাকে দূর দিগন্তের দিকে, ঐ দূরে যেখানে আরেকটু পরেই সূর্যাস্তের হোলিখেলা আরম্ভ হবে৷ অনেকক্ষণ পরে দীর্ঘশ্বাস মুক্ত করে দিয়ে বোঝা তুলে নেয় ফের, চলতে শুরু করে৷

মেঘমানুষ এখনো ওর পাশে পাশে, বলে, " তুমি কিন্তু বলো নাই গো মেয়ে যে কেন এইসব কথা কাউকে বলো নাই৷"

খুব আস্তে আস্তে বাদামী মেয়ে বলে, "কী হবে এসব বলে?"

মেঘমানুষ হাসে," কিছুই হবে না, তবু তো মানুষে মানুষকে বলে অনেক কথাই৷"

বাদামী মেয়ে ঝেঁঝে ওঠে, " না৷ এই ভালোলাগাগুলিন কখনো কাউকে বলা যাবে না, এগুলোর মর্ম আজ আর কেউ বোঝে না, বুঝতো যারা, তারা কেউ আর বেঁচে নেই৷ আর মর্ম না বুঝলে কী মানে থাকে এসব কথার? হাসিঠাট্টার বস্তু হয়ে যায়৷ একঘেয়ে ও বিরক্তির হয়ে যায় সেই শ্রোতার কাছে, যদি এই কথাগুলোর ভিতরের মানে সে হৃদয় দিয়ে বুঝতে না পারে৷"

"ঠিকই বলেছ মেয়ে৷ আমি তবু বলেছিলাম, মানুষে শোনে নাই, প্রথমে ঠাট্টা করেছিলো, পরে রেগে গেছিলো, ক্ষেপে গেছিলো, তবু বলেছিলাম৷ শেষে ওরা সবাই মিলে আমারে মেরে ফেললো৷"

অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সেই বাদামী মেয়ে, ওর গভীর কালো চোখের তারায় বিস্ময় ও বেদনা টলটল করে, ও তাকিয়ে দেখে মেঘমানুষের সাদা জোব্বা, সাদা লম্বা দাড়ি আর সাদা চুলের দিকে, আর সমুদ্রের ফেনার মতন সাদা ওর হাসির দিকে, ফিসফিস করে বলে,"বুড়া, কারা তোমাকে মেরে ফেললো? ওদের কী বলেছিলে তুমি?"

সাদা দাড়ি সাদা চুলের হাসিমুখ বুড়া বলে," ওদের এই তো বলেছিলাম, বলেছিলাম নদীরা তোমার বোন, পাহাড়েরা তোমার ভাই, গাছ ও পশুপাখী তোমার আত্মীয়, এই পৃথিবী তোমাদের মা----ওদের ভালোবেসো, ওদের যত্ন কোরো৷ ওরা মানলো না, ওরা বললো, না না, আমরা অনেক সোনা চাই, আমরা অনেক হীরামানিক চাই, অল্পে আমাদের সন্তুষ্টি নেই৷ আমরা পৃথিবীর বুক খুঁড়ে তুলে আনবো সব সোনা, সব হীরা মানিক৷ বুড়া তোমার কথা আমরা মানিনা, তোমাকে কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ভাসিয়ে দেবো নদীর জলে৷"

বুড়া বলতে বলতে তাকায় নীচের নদীর দিকে, তিরতির করে জল বয়ে যাচ্ছে পাথরে পাথরে কথা বলতে বলতে৷ বাদামী মেয়ে বুড়ার মুখ থেকে চোখ সরায় না, ওর গভীর কালো চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু ঝরে পড়তে থাকে, সে মোছে না, পশ্চিমের সূর্য সেই অশ্রুতে টলটলে লাল রঙ ধরিয়ে দেয়৷ আকাশের মেঘে মেঘে ও তখন কমলা গোলাপী লাল রঙ ছড়িয়ে পড়ছে৷"

মীরার কলম খসখস খসখস করে লিখে চলছে শক্ত খসখসে সাদাটে বাদামী পাতায়, মোমবাতির শিখা ঘিরে আলোর মায়া গোলকের মতন আভা, তার স্বপ্নমগ্ন চোখে ফেনায়িত তরঙ্গমালার মতন ভাসছে ডুবছে ভাসছে ডুবছে সপ্তদ্বীপা পৃথিবী, পলকে পলকে শতাব্দী কেটে যাচ্ছে৷

২।
বনবিতানের ছায়ায় বাদামী রঙ ঝরাপাতার স্তূপের উপরে বসে আছে মানুষটা---ওর রুক্ষ চুলে ধুলোটে রঙ, ওর ছেঁড়া জোব্বায় দূরবিসর্পী পথের ইতিহাস লেগে আছে ধুলো কাদা কাটাকুটোর নকশা হয়ে। কাঠকুটো জড়ো করে আগুন জ্বালালো সে, ছোট্টো ছোট্টো ফুলকি উড়ে যাচ্ছে .... আগুনের মাঝখানে সে নামিয়ে দিলো একটা শুকনো ডাল, খয়েরী ঝোলা থেকে বার করে আগুনে দিলো একমুঠো ধূপ, সুগন্ধ উড়ে যাচ্ছে হেমন্তসন্ধ্যার ঘন বাতাসে ....

মানুষটার সোনালী চোখের তারায় আলো জ্বলছে, সে দেখতে পাচ্ছে ঘূর্নীবাতাসে ওড়া অসংখ্য মুখ, হাল্কা নরম কচি মুখ, ঝামাটে হয়ে যাওয়া প্রবীণ মুখ, শিকারী বাজের মতন নিষ্ঠুর মুখ, শিমূলতুলোর মতন কোমল মুখ, মুখের সারি ভেসে যাচ্ছে অন্তহীন-হঠাত্ সে দেখলো কবরখানা, শক্ত বরফে ঢাকা আদিগন্ত বিস্তৃত ভূমি, পুরোটা জুড়ে শুধু কবর আর কবর, যতদূর চোখ যায় ... শুধু চ্যাটালো চৌকো চৌকো পাথর, কোথাও কোথাও শুকনো ফুল, অনন্ত মৃত্যুপ্রান্তরে কোথাও কেউ নেই, কেউ না কেউ না ... জনপ্রাণী নেই কোথাও,না না, ঐ তো কারা আসছে, তীব্র লাল রঙ ওর চোখ ঝলসে দিলো হঠাৎ, অযুত নিযুত মানুষ হেঁটে আসছে, টকটকে লাল পোষাক ওদের সবার, সে মুখ দেখতে চায়,ওদের মুখ দেখতে চায়, ওরা কারা, ওরা তরুণ না প্রৌঢ় না বৃদ্ধ, ওরা নর না নারী, ওরা বাবা না মা না পুত্র না কন্যা? ওরা কি কারো ভাই কারো বোন? কারুর মুখ সে দেখতে পায় না, শুধু অনন্ত লালরঙ মিছিল চলে তুষারপ্রান্তর জুড়ে, অন্তহীন স্পন্দিত রক্তের মতন ...

জোব্বাপরা লোকটি আগুনে আরো কাঠ দেয়, আরো কাঠ দেয়,তারপরে ঝোলা খেতে বার করে লম্বা হাড়শুদ্ধ এক দীর্ঘ মাংসখন্ড, শক্ত আর শুকনো, সে আস্তে আস্তে আগুনে ঝলসায় সেটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে,ক্ষুধার্তের নাসারন্ধে প্র্র্বেশ করতে থাকে দগ্ধ মাংসের রুচিকর ঘ্রাণ ....

সন্ধ্যার অন্ধকার গাঢ়তর এখন, জোনাকিরা জ্বলছে আগুনের ফুলকির মতন, কুলায়প্রত্যাশী পাখিরা কিচিরমিচির করে নিচ্ছে রাত্রির আশ্রয়ে ঘুমিয়ে পড়ার আগে ...মাংসে কামড় বসায় মানুষটা, আরামের একটা শব্দ করে, আগুনের আভায় সে দেখে সোনালী ঈগল ওড়ে রোদ্দুরে ....

৩।
সূর্যনগরীতে ভোর হচ্ছে, সৌধকিরিটিনী নগরী সোনালী আলোয় অভিষিক্তা হচ্ছে, নগরীর সীমার বাইরে, বেশ কিছু দূরে একদল সৈনিক অস্থায়ী শিবির বানিয়ে আছে,মাত্র গত রাত্রে এখানে এসে পৌঁছে ওরা। আর একটুখানি, আর মাত্র একটুখানি .... তাদেরই কয়েকজন সকালে বেরিয়ে এসে তাকিয়ে আছে পুবের দিকে, সূর্যনগরীর আলোয় ধোয়া সৌধমালা দেখে অবাক ও মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই তরুণ কজন---দীর্ঘ অভিযাত্রায় তাদের পোষাক ছিন্ন ও ধূলিলাঞ্ছিত, জুতার অবস্থা আরো খারাপ, মুখে ক্লান্তি অবসাদ আর স্নানবিহীন দীর্ঘদিনের ধুলাময়লার প্রলেপ। তবু, আজকের এই নিটোল ভোরখানি শিরশিরে হাওয়া আর আলো নিয়ে ওদের ছুঁয়ে যাচ্ছে, মনে পড়িয়ে দিচ্ছে ফেলে আসা স্বদেশ, প্রিয়জনদের ...

সেখানেও বুঝি ভোর হচ্ছে বা হবে ... সেখানেও বুঝি এমন সোনার আলোয় বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে তাঁদের প্রতীক্ষারতা প্রিয়তমারা ... ওদের ঘন রঙের স্কার্ট আর হাল্কা রঙের টপের উপরে, মাথায় বাঁধা রেশমী রুমালের উপরে, টলটলে নীল চোখের উপরে বুঝি এমনি করেই পড়েছে পুবের আলো ... কবে যুদ্ধজয় করে ফিরবে তাদের প্রিয়েরা, ওরা মাল্যচন্দন নিয়ে সম্বর্ধনা জানাবে বিজয়ী বীরেদের জন্য ... কিন্তু .... হঠাৎ আলো কমে আসে, হঠাৎ শীত বাড়ে, হঠাৎ সমস্ত নীল আকাশখানি পাঁশুটে বরণ হয়ে যায়, হু হু হু হু শোঁ শোঁ শোঁ করে এসে পড়ে বছরের প্রথম প্রচন্ড তুষারঝঞ্ঝা ... সঙ্গে দ্বিতীয় আরেকটি ঝড়ের মতন অবরুদ্ধ সূর্যনগরীর সৈনিকেরা এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে অগ্রসরশীল এই আগ্রাসী বাহিনীর উপরে ...

৪।
ভেজা বালির তীররেখা পার হয়েই জল-শান্ত নদীটি বয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের দিকে,আজ বাতাস খুব শান্ত, আজ আকাশও খুব শান্ত-তারাগুলিও যেন দপদপ করেনা, পাছে এই নিসর্গব্যপ্ত শান্তি ছিঁড়ে যায়! মেয়েটি ভেজা বালুর উপরে পা ফেলে ফেলে একদম জলের ধারে এসে দাঁড়ায়,এক পা বাড়িয়ে পায়ের পাতাটি জলে ডোবায়। ঐ ঠান্ডা শান্ত নদীটির গর্ভ কেমন? মাতৃগর্ভের মতন উষ্ণ কোমল আশ্রয় কি মিলবে না সেখানে?

আস্তে আস্তে বালুকাময় তীরে এলিয়ে বসে পড়ে মেয়েটি, তারার আলো রাত্রির কালোয় মিশে গেছে বিন্দু দুধের মতন ... ঐ যে ঐ উপরে জ্বলছে বড়ো লাল তারাটা ... ওটাই কি মঙ্গলগ্রহ? এত লাল কেন? সেখানে কি যুদ্ধের দেবতা রাত্রিদিন শুধু লাল রঙের আবীর ছড়ায়?

শ্মশানভূমিতে গড়াগড়ি যায় হাড়ি, কলসী, শেয়ালেরা ঘুরে ফেরে ... তারার আলোয় ওদের চোখ জ্বলে ... আজ একটাও চিতা জ্বলছে না ... শবহীন শ্মশান আজ ...মেয়েটি গুণগুণ করে, সে গান গাইতে পারতো এককালে ... সে যে কবে, কোন্ বিস্মৃত অতীতে ... আজ শ্মশানে এসে কেন গান মনে পড়ে? “ শ্মশান ভালোবাসিস বলে/শ্মশান করেছি হৃদি / শ্মশানবাসিনী শ্যামা/নাচবি বলে নিরবধি ...

আস্তে আস্তে গুন্ গুন করতে করতে ভুলে যাওয়া সুর ওর গলায় উঠে আসে, দূরে গভীর অন্ধকারে আগুন, ঐ বুঝি একটা চিতা জ্বললো আবার, শব কার? কোনো পুরুষের না নারীর? সে কি বৃদ্ধ হয়েছিলো জরাজীর্ণ হয়েছিলো নাকি তপ্ত যৌবনের দিনে গভীর অভিমানে স্বেচ্ছামরণ বরণ করে চলে গেলো? হৃদয় শ্মশান হয়ে গেলে সে জীবনেরই বা মানে কি? "চিতাভস্ম চারিভিতে রেখেছি মা আসিস যদি .... "

সে গান থামিয়ে উঠে দাঁড়ায়, শীতল কালো জল ডাকছে ওকে, একদিন ঐ শীতল নীল অন্ধকার থেকেই কি এসেছিলো সে? চোখ মেলেছিলো আলো আর লোকভরা কোলাহল কলরবে ভরা এই দুনিয়ায়? ভুলে গেছিলো সেই নীলাঞ্জনঘন স্নিগ্ধ তারাময় অন্ধকার? সেই অনন্ত বিভাময় বিভাবরী? জলের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালো সে, সহসা কালো আকাশে তীব্র আলো জ্বেলে পিন্ডাকারে উল্কা জ্বলে উঠলো ....

থেমে গেলো সে, আস্তে আস্তে পিছিয়ে আসতে থাকলো, উল্কার আলোয় সে সহসা অন্ধকার ভেদ করে পথ দেখতে পেয়েছে ... ঐ জলে না, ঐ ঠান্ডা কালো নদীর গর্ভে না, অনে-এ-এ-এ ক দূরে, তীব্রোজ্জ্বল হিরন্ময় অগ্নি জ্বলে উঠেছে .... ঐ আগুনের উজল গর্ভে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ওকে ...

৫।

তুষারাবৃত শীতস্তব্ধ অরণ্য, বেশীরভাগ গাছই পত্রশূন্য, উলঙ্গ তপস্বীর মতন সমাধিস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, নরম তুষারে নতুন করে ঢেকে যাচ্ছে। দুপুর থেকেই নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে,আকাশ ধূসর, কালচে, একটুও ফাঁকা নেই কোথাও, পুরোটা যেন কম্বলে ঢাকা। চিরহরিৎ পাইন গাছেরা দাঁড়িয়ে আছে তুষারের নক্শা সর্বাঙ্গে নিয়ে, সূচের মতন সরু পাতার গোছায় গোছায় তুষার।

কোথাও কোনো শব্দ নেই, প্রাণী নেই, শীতে জঙ্গলের পশুপাখীরা দূরে কোথাও চলে গেছে, পাখীরা পরিযানে, সরীসৃপেরা ও উভচরেরা শীতঘুমে ... হয়তো এখনো আছে পাঁশুটে নেকড়েরা ... হয়তো দূরে কোথাও জটলা পাকাচ্ছে ...

একদল মানুষ হেঁটে এলো শীতের বনে, পাঁচজন লোকের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র, বাকী তিনজনের কোমরে শেকল, হাত পিছমোড়া করে বাঁধা।

জঙ্গলের মধ্যে গর্ত করা, এখানে আগেই লোক এসেছিলো, সেই গর্ত নরম তুষারে ঢেকে যাচ্ছে, বন্দীদের হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে গর্তের কাছে দাঁড় করানো হলো, অস্ত্রধারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী কর্তৃত্ব ওয়ালা লোকটি অত্যন্ত রুঢ় ভাবে এদের অপরাধের বিবরণ দিয়ে বোঝালো কেন মারা হচ্ছে, এরা মাথা নেড়ে স্বীকার করে নিচ্ছে, এদের ক্লান্ত হতাশ মুখে জীবনের চেয়ে মৃত্যুর আকাংক্ষার রঙই বেশী করে ফুটে উঠেছে।

নৃশংস নরঘাতক দস্যু শাসক সেজে তাদের জাতির শুভশক্তিকে প্রতিদিন পীড়িত করে চলেছে ... এরা শেষ চেষ্টা করেছিলো ঐ দানবকে গুপ্তহত্যার ... সফল হয় নি, আজ সকালে এরা ধরা পড়ে গেছে। তিনজনে তিনজনের মুখের দিকে তাকালো, সবচেয়ে যার বয়স কম, তাকে বাকী দুজন কপালে চুমো খেলো। দুহাত বাড়িয়ে ছেলেটি ওদের জড়িয়ে ধরলো। তারপরেই গুলির শব্দ ... দেহ তিনটি গড়িয়ে পড়ে গেলো গর্তে। এইবারে মাটি দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে ওদের।

মাটি মাটি মাটি ... পৃথিবী ... পৃথিবীর আলিঙ্গন ... ধুলা হতে এসেছিল তারা, ধুলাখলা খেলেই বড়ো হয়েছে, ধুলাতেই ফিরে গেলো ... ঐ যে অস্ত্রধারীরা ফিরে যাচ্ছে ... ওরাও একদিন তো এই মাটিতেই ফিরে যাবে, এই দুই দলের আবার দেখা হবে হয়তো কোনোদিন ....

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×