ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অবরুদ্ধ গাজা উপকূলের কাছে ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা ডলফিন আটক করেছে। গোয়েন্দা তৎপরতায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ডলফিনটির শরীরে পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে এ গোয়েন্দা ডলফিনকে আটক করা হয়েছে।

সন্দেহজনক ঘোরাফেরা কারণে ডলফিনের দিকে হামাস কমান্ডোদের নজর পড়ে এবং এটিকে আটক করা হয়। ডলফিনের দেহে বাঁধা নজরদারির কাজে ব্যবহৃত ছোট একটি ক্যামেরা পাওয়া যায়। এ ছাড়া, দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের এবং ক্ষুদ্র তীর ছোড়ার উপযোগী যন্ত্রও পাওয়া যায়। এ তীর মানুষকে ঘায়েল এমনকি মেরে ফেলতে পর্যন্ত পারে।

খবরে বলা হয়েছে, পানিতে হামাসের নৌ কমান্ডোদের তৎপরতা এবং প্রশিক্ষণের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য সাগরের এ প্রাণীকে ব্যবহার করা হয়েছে। গাজা উপত্যকার উপকূলে ইসরাইলের গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ হিসেবে এ ডলফিনকে পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গুপ্তচর বৃত্তিতে প্রাণী ব্যবহার করা ইসরাইলের জন্য নতুন বা অনন্য কোনো ঘটনা নয়। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ একটি ঈগল পাখিকে ২০১২ সালে আটক করা হয়েছিল।

এ ছাড়া, এর আগে লোহিত সাগরে মোসাদ নিয়ন্ত্রিত হাঙ্গরের কথা বলেছেন মিসরের কর্মকর্তারা। পর্যটক হত্যায় এ সব হাঙ্গর ব্যবহৃত হয়েছে। আতংক ছড়িয়ে মিশরের পর্যটন শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই এ জাতীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়।
সূত্র : রেডিও তেহরান।