ছেলেদের ভালোবাসার পরিধির সাথে মেয়েদের ভালোবাসার পরিধি মেলানো উচিত নয়। একেবারেই উচিত নয়। এতে দুজনকেই ছোট করা হয়। দুজন তাদের পৃথিবীকে ঠিক তাদের মত করে দেখে। কেউ কারো মত নয়। সবাই তার নিজের মত।
~ছেলেরা রিলেশনের ক্ষেত্রে একটু আত্মভোলা টাইপের হয। কিন্তু মেয়েরা খুব খেয়ালী হয়।
~ছেলেদের সাধারণত প্রপোজ ডে, এনিভারসেরি ডে, ফার্স্ট টাচ ডে এগুলো খেয়াল থাকে না, এমনকি নেক্সট ডেটিং কবে সেটাও অনেকক্ষেত্রে ভুলে যায়। কিন্তু মেয়েরা এসব ব্যাপারে খুব নিখুঁত হিসাব রাখে, এমনকি কবে কখন কি অবস্থায় কোন এঙ্গেলে তাকে প্রপোজ করছে তা সম্পূর্ণ মুখস্ত।
~রিলেশনে ঝগড়া লাগলে ছেলেরা প্রথমে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয় আর শেষরাতে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে কাঁদে। কিন্তু মেয়েরা আগে কাঁদে পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
~স্বভাবগত ভাবেই ছেলেরা কিছুটা সৌখিন হয়। তার গার্লফ্রেন্ড কে গিফট দেয় বাবার কাছ থেকে বাক্কাস কোর্সের টাকা নিয়ে। কিন্তু মেয়েরা তাদের প্রিয় মানুষকে গিফট দেয় তাদের কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে।
~ছেলেদের গার্লফ্রেন্ডরা কোন বড় ধরনের সমস্যায় পড়লে যদি তাদের অনেক টাকার প্রয়েজন হয় তখন ছেলেরা সবদিক থেকে ট্রাই করে ম্যানেজ করতে ম্যানেজ করে। কিন্তু মেয়েরা তাদের অনেক পছন্দের গহনা বিক্রি করে বয়ফ্রেন্ডকে হেল্প করে।
~তরুণ বয়সে ছেলেরা অল্পতেই তাদের গার্লফ্রেন্ডের উপর রাগ করে এবং তাদের সাথে মিসবিহ্যাভ করে। কিন্তু মেয়েরা বুড়া বয়সে তাদের স্বামীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করে, এমনকি কোন টপিক খুঁজে না পেলে লেইম এক্সকিউজে ও রাগ করে।
~ছেলেরা মেয়েদেরকে যত ই ভালোবাসুক না কেন দিন শেষে রক্ত মাংসের দেহ তাদেরকে উন্মাদ করে দেয়। এটা ছেলেদের দোষ না। এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু অনেক মেয়েই আছে যারা কোন ধরনের মাংসের চাহিদা ছাড়াই কাউকে ভালোবেসে জীবন পার করে দিতে পারে।
~ছেলেরা কাঁদে কিন্তু কাউকে কাঁদাতে চায় না। কিন্তু মেয়েরা কাঁদে এবং কাঁদায়।
~ছেলেরা একটু পালিয়ে বাঁচতে চায়, তবে প্রিয় মানুষটির পাশে জনম জনমের জন্য থাকতে চায়, যদিও তাদের সামনে গার্লফ্রেন্ড থাকার তরেও কানিয়ে কানিয়ে অন্য কোন সুন্দরীর দিকে ঠিকই নজর দিবে। কিন্তু মেয়েরা যাকে একবার ভালোবাসে তাকে ছাড়া অন্য কারো দিকে তাকায় না বা তাকাতে চায় না" যদিও রিলেশন ব্রেক আপ হবার পর সবচেয়ে বেশী আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায় তারা।
~ছেলেরা পিতা, স্বামী, ভাই। আর মেয়েরা মাতা, স্ত্রী, বোন।
পুরুষের সাথে নারীর তুলনা করাটা এক ধরনের বোকামি। যে যার জায়গা থেকে সেরা। তাই পুরুষের ভালোবাসার সাথে নারীর ভালোবাসার কম্পেয়ার করার পক্ষপাতিত্ব আমি নই। একজনের মত করে অন্যজন কখনোই ভালবাসতে পারবে না। এটা সম্ভব নয়। একেক জনের প্রকাশের ভঙ্গি একেক রকম। একজন স্বপ্ন দেখায় আরেকজন স্বপ্ন সাজায়। দুইজন দুইজনের জায়গা থেকে সেরা।
এভাবেই দুই সংখ্যার "আমি আর তুমি" সারাটা জনম পার করে দিক অবাক করা ভালোবাসার মাতাল চন্দ্রবিন্দুর রহস্যময় ভঙ্গিমাতে। বেঁচে থাকুক ভালোলাগারা, সেজে উঠুক ভালোবাসারা !
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৩