somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলা হওয়া উচিত কি না, সেই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা কথা বলি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বইমেলা যেন না হয় সেজন্য বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যেই তাদের প্রস্তাবনা রেখেছে, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সকলেই জেনেছি। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে করোনা পরিস্থিতি। তাছাড়া শীতে করোনার প্রকোপ তো বাড়ছেই। আবার অনেকের ধারণা, বইমেলা হলে সেখানে জনসমাগম বাড়বে। যার ফলে করোনা পরিস্থিতি আরও হুমিকির মধ্যে পড়বে। ফলে সরাসরি বইমেলা না করে ভার্চুয়াল্লি বইমেলা করার প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।

প্রথমেই আসি ভার্চুয়াল বইমেলা নিয়ে। ভার্চুয়াল বইমেলাটা মূলত কী? ভার্চুয়াল বইমেলা বলতে সোজা কথায় যেটা বুঝি সেটা হল, অনলাইনে বই বেচা-কেনা করা। এখন কথা হচ্ছে, বছরের সবটা সময় জুড়ে তো অনলাইনে বই বিকি-কিনি চলেই। এটার আবার আলাদা মাহাত্ম্য কী? তার মানে ভার্চুয়াল বইমেলা হওয়া আর না হওয়া একই। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, ভার্চুয়াল্লি যেটা হওয়ার কথা চলছে সেটাকে বইমেলা বলে চালিয়ে দিলে স্রেফ ‘বইমেলা’ শব্দটিকে অবজ্ঞা করা হবে। কারণ, ‘বইমেলা’ কেবল একটা শব্দই নয়। এটা একটা অনুভূতির নাম। লেখক, প্রকাশক, পাঠক সকলের কাছে বইমেলা নস্টালজিয়া ক্রিয়েট করে দেওয়ার মত বড্ড গভীর এক অনুভূতি। যা ভার্চুয়াল্লি কোনদিন আনা সম্ভব না।

এবার আসি বাংলা একাডেমির প্রস্তাবনার বিষয়ে। করোনা ইস্যুতে তারা বইমেলা না হওয়ার ব্যাপারে যে প্রস্তাবনা জানিয়েছে তা উড়িয়ে দেওয়ার মত বিষয় নয়। এক দৃষ্টিতে দেখলে তারা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, কোনভাবে করোনা পরিস্থিতি যদি বেসামাল হয়ে যায় তাহলে এই দায় এসে পড়বে বাংলা একাডেমি কিংবা সরকারের উপর। তাছাড়া বাণিজ্য মেলা হচ্ছে না। এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিছুই খুলছে না। শুধু শুধু বইমেলা করার ঝুঁকি কেন তারা নিতে যাবে? তাই তো?

ওকে ফাইন! যদি এটাই হয়ে থাকে তাহলে কিছু কথা বলি। প্রথম কথা হচ্ছে, এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসে। সেটার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করা হয়েছে। তারপর সেটা বাতিল করা হয়েছে। কারণ, শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ ছিল। ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করেছে। এরপর আসি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না খোলা প্রসঙ্গে।

আপনারা হয়তো জানেন, স্কুল বলেন, কলেজ বলেন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় যাই বলেন না কেন সবগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরেও প্রতি মাসের যে মাসিক বেতন কিংবা ফি স্টুডেন্টদের সব পরিশোধ করতে হচ্ছে। আগে হোক বা পরে হোক পরিশোধ করতে হয়েছে কিংবা হবে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তারা সচল রয়েছে।

এবার আসি বাণিজ্যমেলা প্রসঙ্গে। বাণিজ্যমেলা মূলত কীসের মেলা এবং কারা এখানে স্টল দিয়ে থাকেন? সহজ উত্তর হচ্ছে, এটা একটা ব্যাবসায়িক মেলা। আর এখানে তারাই স্টল দিয়ে থাকেন যাদের মধ্যে সিংহভাগ ব্যাবসায়ির কোথাও না কোথাও বড়, মাঝারি কিংবা ছোট শোরুম রয়েছে। তাছাড়া সকল শপিং মল খোলা। এখন তো শীতের মৌসুম। সপ্তাহ খানেক আগে একটা কাজে নিউ মার্কেটে গেলাম। গিয়ে দেখি হুলস্থুল কান্ড। যেন ঈদের বাজার লেগেছে। এমন হারে বেচা-কেনা চলছে যে পা ফেলার জায়গা নেই। তার মানে, বাণিজ্য মেলা না হওয়াতে তাদের যে খুব একটা বেগ পোহাতে হবে সেরকম কিন্তু নয়। হ্যাঁ, বাণিজ্যমেলা হলে যে ঝাঁকজমক একটা ব্যাপার থাকতো সেটা হয়তো সেভাবে থাকবে না। কিন্তু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তারাও তো সচল।

এবার আসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। সিনেমা হলগুলো ইতোমধ্যে খুলতে শুরু করেছে। সিনেমার শুটিং চলছে। তাছাড়া টেলিভিশন নাটক তো থেমে নেই। উৎসব করে চলছে সব। ইউটিউব কন্টেন্টের কথা না হয় বাদই দিলাম।

আগের মত সব হয়তো স্টেবল নেই। কিন্তু সবাই সবার জীবিকা চালিয়ে নিচ্ছে তো! এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে বইমেলা হওয়া না হওয়ার সাথে এসব বিষয়ের সম্পর্ক কী? সম্পর্ক অবশ্যই রয়েছে।

বইমেলাকে অনেকেই শৈল্পিকভাবে দেখেন। যার ফলে অনেকের ধারণা, আরে ধূর! বইমেলা হলে হবে, না হলে নাই। এটা নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কী আছে। যারা এসব ভাবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, বইমেলাকে কেবল মাত্র শৈল্পিকভাবে দেখলেই হবে না। বরং বাণিজ্যিক ভাবেও দেখতে হবে। অন্য সেক্টরের মানুষ যেভাবে রুটি-রুজির জন্য কাজে নামেন, এই সেক্টরের মানুষও রুটি-রুজির জন্য কাজে নামেন। ফলে আপনাদেরকে এঁদের দিকটাও দেখতে হবে।

আপনরা জেনে থাকবেন, অর্থনৈতিকভাবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে বড় টার্গেট থাকে অমর একুশে বইমেলা। মাসব্যাপি এই মেলা শেষে বইয়ের কিছু পাইকারি বাজার রয়েছে। তাঁরা সেখানে বই পাঠান। সেই সাথে জেলা ভিত্তিক বইমেলায় অংশগ্রহণ করে থাকেন তাঁরা। আর সেই সাথে অনলাইনে খানিকটা বই কেনা-বেচা করেই তাঁদের সারা বছরের হিসেব কষতে হয়। ক্যান ইউ বিলিভ ইট?
এখন আপনারাই দেখেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হল। তারপর শুরু হল করোনা পরিস্থিতি। যার ফলে প্রকাশকরা বইয়ের পাইকারি বাজারে সেভাবে কিছুই করতে পারলো না। তাছাড়া পেন্ডামিকের কারণে জেলা ভিত্তিক সকল বইমেলা বন্ধ। আর অনলাইনে কেমন বই বিক্রি হয় এটা সকলেরই কম বেশি জানা আছে। যার ফলে প্রকাশকরা অর্থনৈতিকভাবে বেসামাল অবস্থায় পড়ে গেছে। অনেকে আবার ধার-দেনা করে চালিয়ে নিচ্ছেন।

এমন অবস্থায় প্রকাশকরা যখন নতুন বইমেলার জন্য লক্ষ-কোটি টাকা অর্থ লগ্নি করেছেন, বই প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন এই ভেবে যে সামনের বইমেলায় সকল ঘাটতি কাটিয়ে উঠবেন, ঠিক তখনই বাংলা একাডেমি বইমেলা না হওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাবনা জানালো। কিন্তু তারা ভাবতেও চাইলো না, বই সংশ্লিষ্ট মানুষ কিভাবে বাঁচবে? কিভাবে বাঁচবে প্রকাশক-লেখকরা? কিভাবে বাঁচবে সেসকল শ্রমিকেরা যাদের জীবিকা নির্বাহ হয় বই বেচা-কেনার মাধ্যমে? তারা ভাবতেই চাইল না। উল্টা সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে জানালো এর বদলে ভার্চুয়াল মেলা হবে। তাতে লাভটা কী হবে? অর্থনৈতিকভাবে যে পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা কি আদৌ ভার্চুয়াল বইমেলার মাধ্যমে উঠানো সম্ভব? তাহলে…? তাহলে কি বইমেলা না হওয়ার প্রস্তাবনা কি আত্মঘাতী না?

সবচেয়ে বড় বিষয় কি জানেন? সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, আমরা ঠিকভাবে বুঝিই না আমাদের কোনটাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দরকার আর কোনটাকে দেওয়া দরকার নয়।

এদেশে সকল শপিং মল খুলে দিলে করোনা ছড়ায় না। ঠ্যালাঠেলি করে কেনাকাটা করলে করোনা ছড়ায় না। রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং-সমাবেশ করলে করোনা ছড়ায় না। ওয়াজ-মাহফিলে মানুষ জড় হলে করোনা ছড়ায় না। ক্রিকেট কিংবা ফুটবলের মাঠে গায়ে গা ঘেঁষে বসা সত্ত্বেও দর্শকদের মাঝে করোনা ছড়ায় না। কিছুতেই করোনা ছড়ায় না। কেবল করোনা ছড়াবে বইমেলা হলে।

আমরা একটা ব্যাপার খুব জানতে ইচ্ছে করে। ধরা যাক, আগামি তিন-চার বছর করোনার ভ্যাক্সিন বাংলাদেশে এলো না। সিচুয়েশন এমনই থাকলো। তখন কী করবে? নাকি সব ঠিক থাকবে। কেবল বইমেলার সময় বইমেলাকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অবশ্যি এর নাম বাংলাদেশ তো! এখানে সবই সম্ভব। ঈদের আগের রাতে যে দেশে তিনবার চাঁদ দেখা না দেখা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কনফিউশনে ভোগে সেদেশে সব সম্ভব। সব্ব!

আচ্ছা, করোনা সিচুয়েশনটাকে পজিটিভলিও তো ইউজ করা যেতো। যেহেতু সবকিছুই চলছে তো বইমেলাও তো চালানো যায়। সমস্যার তো কিছু দেখি না।

প্রয়োজন হলে মাস খানেক পিছিয়ে বইমেলা করা হোক। প্রয়োজন হলে এক মাসের জায়গায় পনের-বিশ দিনের জন্য বইমেলা করা হোক। প্রয়োজন হলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হোক। সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক। মেলায় আগত সকলের হাতে হাতে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হোক। এতে সরকারেরই লাভ। তাঁদের প্রতি মানুষের ভালোবাসার জায়গা সৃষ্টি হবে। বিস্তৃত হবে ভাষার প্রতি মানুষের ভালোবাসার জায়গা। তবুও বইমেলা হোক। মাসখানেক পরে কিংবা সীমিত পরিসরে হলেও বইমেলা হোক। তবুও বইমেলা হোক।

কারণ, বইমেলা কেবল মাত্র একটি মেলাই নয়। বরং লেখক-প্রকাশক কিংবা পাঠকের কাছে ভিন্ন এক অনুভূতির নাম। ভিন্ন এক ভালোবাসার নাম। বইমেলায় হেঁটে পাঠক প্রিয় বইটি খুঁজে বের করার পেছনে যে মুগ্ধতা কাজ করে হাজার ভার্চুয়াল মেলাতেও তা সম্ভব নয়। তাই আমি চাইবো, যে কোন মূল্যে বইমেলা হোক।

আর সবকিছুর পরেও যদি বাংলা একাডেমি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে কিছুই বলার নেই। কিংবা বলার আছে। সেক্ষেত্রে, সকল প্রকাশক এক হয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ বলতে পারেন, বইমেলা না হলে তাঁরা কোন বই ছাপবেন না। ব্যাস! এটা বলেই দেখুক না। বাংলা একাডেমির টনক নড়ে যাবে। টনক নড়তে বাধ্য!

সবচেয়ে বড় কথা, করোনা পরিস্থিতি যদি আগামি চার-পাঁচ বছরেও নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে কি প্রতিবারই এভাবে বইমেলা বন্ধ ঘোষণা করা হবে? এটা কি যৌক্তিক? তারচেয়ে আগে ভাগে ভালো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া কি উচিত নয়?

তাছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বলে কথা। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কত শত পরিকল্পনা ছিল ২০২১ এর বইমেলা নিয়ে। জন্মশতবার্ষিকী তো আর প্রতিবছর আসবে না। আর যে মানুষটার কারণে আজকের এই বাংলাদেশ। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েও কি বইমেলাটা কন্টিনিউ করা পসিবল না?

সবশেষে একটা কথাই বলবো, দেয়ার ইজ স্টিল হোপ। কারণ এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় নি। তাছাড়া বইমেলা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সফট কর্নার রয়েছে। তাই আমরা এখনও আশায় আছি। আশা আছি বইমেলা হবে। সীমিত পরিসরে হলেও বইমেলা হবে। হওয়া উচিত। বইমেলা কেবল মাত্র কোন মেলাই নয়। বরং এটা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় ভাষার জন্য আমাদের ত্যাগের কথা। স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের অস্তিত্বের কথা। তাই আমরা চাই, যে কোন মূল্যে বইমেলাটা হোক।

-গোলাম রাব্বনী










সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×