মার্কিন লেখক মেশেল লোরি বলছেন, একজন মানুষ সব সময় একই রকমভাবে সফল হবে না, সেটা সম্ভব নয়।
আর সফল না হতে পারলে মুষড়ে পড়ার কিছু নেই।
"আমাদের সব সময় শেখানো হয় আমাদের সবকিছু পারতে হবে। আমাদের সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে।
কিন্তু আমাদের তো বিশ্রাম আর নতুন করে ভাবার জন্যেও সময় চাই।"
"নিজের ভেতরকার শূণ্যতা পূরণের জন্য সময় দরকার একজন মানুষের, সেই সাথে নিজের কাজকর্ম মূল্যায়নের জন্যেও তো অবসর লাগে।"
সেটা দিনের শেষে পাঁচ মিনিট সময় হতে পারে, আলাদা করে ভাবুন সারাদিনে কী কী কাজ করলেন, কেমন ভাবে করলেন, আরো ভালোভাবে কিভাবে করা যেত।
এই সময়ে ফোন ঘাটা বাদ দিয়ে, টিভি না দেখে কেবলই নিজেকে কিছুটা সময় দিন।
আমরা সকলেই একমত গভীর রাত কেটে ভোর আসে। গভীর রাত মানেই কিন্তু এমন নয় যে সকাল হবে না। একসময় সকাল হবেই তাই ভেঙে পড়ার কিছুই নেই। আমাদের তরুনদের অনেকেই অল্পতে হতাশ হয়ে যায় যা অনুচিত। হতাশা মানুষ কে ভেতর থেকে এমন ভাবে শেষ করে দেয় যে, যা আপনি সহজে পারেন তাও করতে আপনার ভয় লাগবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের নিজেকে সবসময় পর্বতারোহী মনে করেন।
"একজন পর্বতারোহী যখন ওপরে উঠতে থাকেন, তিনি পিছলে পড়েন, দুই তিন ধাপ নিচে নেমে যান। কিন্তু ওপরে ওঠা থামান না তিনি।
আমি সেরকম, পিছলে পড়ি কিন্তু ওপরে ওঠা থামাই না আমি, কোনদিন থামাবও না।"
৬০ ও ৭০ এর দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরা কাজ করেছেন পোশাক কারখানায়।
অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এডিথের বাবা মায়ের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, তিনি বেঁচে যান।
পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেন।
"মানুষ আমাকে মারতে পারবে, অত্যাচার চালাতে পারবে। কিন্তু আমার আত্মা আর এগিয়ে যাবার চেতনা কেউ শেষ করে দিতে পারবে না।"
বিখ্যাত কমেডিয়ান এবং লেখক জো ব্রান্ড বলছেন, অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার অত দরকার নেই।
কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।
"আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে। আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরো বহু মানুষ তা পছন্দ করে না বলেই মনে হয়।"
"আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়।"
"আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড় ব্যপার না। এটা মনে রাখা জরুরী বলে আমি মনে করি।"
অনেক সময়ই কোন খারাপ মুহূর্তে আমরা ভাবি আমাদের কবর হয়ে গেছে, বা আমরা ডুবেছি।
কিন্তু সেটা অন্যভাবে ভাবা যায়, যেমন আমরা ভাবতে পারি নতুন কোন কিছুর বীজ বোনা হয়েছে।
অভিনেত্রী কেলেসি ওকাফর বলছেন, "আমার স্থির বিশ্বাস, আপনাকে আসলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি নিজের জীবন বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেমন মনোভাব পোষণ করেন।
ইতিবাচকভাবে দেখার অভ্যাস করা দরকার আমাদের।"
কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না আপনার জীবন শেষ।
বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা 'কমা' মানে স্বল্প বিরতি, 'ফুলস্টপ' বা শেষ নয়।
চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব লিলি কলিন্স বলছেন, "আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু 'নেতিবাচক' হওয়া মানে সেটা 'না' হয়, বরং সেটা হচ্ছে 'এখন নয়'।"
এখন বা এই মুহূর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন কিছু কাল হবে না, তার কোন মানে নেই।
জীবনের এক পর্যায়ে আমার মনে হতো আমাকে দিয়ে কিছু হবেনা। এখন আমি অনেক কিছুই পারি। তার মধ্যে একটি সিনেমাটোগ্রাফি বানাতে পারি।
পোস্টটি এখান থেকে লেখা হয়েছে ।
আমি ব্লগে ভিডিও আপলোড দিতে জানতাম না । ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর (সাচু) ভাই শিখিয়েছেন। ভিডিও আমার এড ফার্ম থেকে বানানো একটা সিনেমাটোগ্রাফির অংশ বিশেষ। মডেল এভ্রিল । পোস্টটি সাড়ে চুয়াত্তর ভাই কে উৎসর্গ করা হলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৩