
ছবিঃ ডেইলি স্টার। ছবিতে তানিয়া আহমেদ।
পোস্টেঃ ছাগু ও কাঠ মোল্লা ও তাদের পক্ষে যারা কথা বলে ওরা নিষিদ্ধ।
পোস্টটি পড়ার আগে নিজেকে একবার প্রশ্ন করুনঃ " আমি কি ব্যক্তিত্ব-বান? নাকি সস্তা " ? হক ও সততার প্রতি ভালবাসা অনুভব করাকেই ব্যক্তিত্ব বলে। আর মোহ বা ক্ষমতা বা টাকার দিকে অন্যায় ভাবে অবস্থান করাটাকে ব্যক্তিত্বহীণতা বলে। সততা এবং সত্যবাদিতার মধ্য হতে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। যার ব্যক্তিত্ব নেই সে আসলে মৃত বা অপদার্থ। যে ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্যতা বা নিজস্বতা নেই, অন্যের কথায় বা অন্যকে খুশী করার জন্য নিজেকে পরিচালিত করে সে ব্যক্তিত্বহীন। খারাপ ব্যক্তিত্বের মানুষ অন্যের গুণ বা গুণাবলী চাপা দিয়ে রাখতে পছন্দ করেন।
কোথাও পড়েছিলাম - "ভালো ব্যক্তিত্বের মানুষরা নিজের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে যা সত্য বলে মনে করেন তাই করতে পছন্দ করেন। কারো পাল্লায় পড়ে সহজে কিছু করেন না! ভালো মানুষ কিন্তু সবসময়ে ভালো ব্যক্তিত্বের মানুষ হন না!ঋজুতা ভালো ব্যক্তিত্বের মূল দিক! তবে এই ঋজুতা বল্লমের খোঁচা মারে না অন্যকে!বরং খুঁটি হয়ে দাঁড়ায় কখনো!! "
২ দিন ধরে ফেসবুকের হোম পেজে একটা নিউজ ঘুরছে দেখতে খুবই খারাপ লাগছে। বাংলা নাটকের যখন নস্টালজিয়া যুগ ছিল তখন নাটক আমাদের ভীষণ প্রিয় ছিল। এখনো যে অপ্রিয় তা নয়, তবে আগের সে নাটক নেই। গানের ক্ষেত্রেও একই। নাট্য জগতের বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীর সাথে সুসম্পর্ক । তাই প্রিয় কোন মানুষের দুঃখের অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে। লক্ষ্য করে দেখবেন যে সব নারীদের স্বামীর উপর নির্ভর করতে হয় তারা তুলনামূলক কম স্বাধীন ও অসুখী ।
আমার পছন্দের কোন মানুষ কষ্ট পেলে আমার খুবই খারাপ লাগে। এস আই টুটুল এবং তানিয়া আহমেদ ৩/৪ বছর আগেও একটি মিষ্টি কাপল ছিল। টেলিভিশনের অনেক অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। তাদের সুখী দাম্পত্য দেখতে ভালো লাগতো।
যদিও এস আই টুটুল নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছেন , তবে আমার মনে হয়, তার সন্তানদের সাথে অন্যায় হয়ে গেলো। তার বাচ্চারা এখনো জানেনা টুটুল বিয়ে করেছে। টুটুল ও তানিয়া দম্পতির ঘরে রয়েছে অনয়, শ্রেয়াস ও আরশ নামে তিন ছেলে এবং আয়াত ও সামিয়া নামে দুই কন্যা। এদের জন্য খারাপ লাগসে। আমার মনে হয়, শুধু যৌন চাহিদা তরান্বিত করার জন্য ছেলেরা অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে।
মিডিয়ায় শারীরিক চাহিদাটা মুখ্য ছেলেদের ক্ষেত্রে। কিছু নারীও সংসার ভাঙ্গে। নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশী টাকা ওয়ালা পেলে স্বামী ছেড়ে চলে যেতে। সংসার ভেঙ্গে যে খুব একটা সুখী হউন তা কিন্তু নয়। অভিশাপ গায়ে লেগে থাকে তো , তাই সাময়িক শারীরিক সুখ পেলেও কখনো মানসিক প্রশান্তি আসেনা।
আমি যখন ক্লাস নাইনে তখন টুটুল তানিয়ার বিয়ে হয়। টুটুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শারমিন সিরাজ সোনিয়া। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তিনি। টুটুল জানান, নিউইয়র্কে আরটিভির 'বাংলা গায়েন' অনুষ্ঠানে সোনিয়ার সঙ্গে পরিচয়। পরে দুজন মিলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত ৪ জুলাই বিয়ে হয় তাদের।
সোনিয়া কি টুটুলকে মোহ থেকে বিয়ে করেছেন? না টাকার জন্য ? না খ্যাতির জন্য ! যে কারণেই হোক ৫ সন্তানের বাবা কে কোন ব্যক্তিত্ব-বান মেয়ে বিয়ে করবেনা। তানিয়া বলেছেন তার কিছু যায় আসেনা। কারণ তানিয়া যথেষ্ট স্বাবলম্বী । বাচ্চাদের মানুষ করতে তার বেশী কষ্ট হবে বলে মনে হয়না।
পোস্টের শিরোনামে লেখা ধনী স্বামী না খোঁজে ধনি স্ত্রী হওন। ধনি বলতে শুধু টাকা ওয়ালা বুঝানো হয়নি। চরিত্র, বিবেক , মাণ, মানবিকতায় , মনুষ্যত্বে ধনি হওয়ার কথা বুঝানো হয়েছে।
তানিয়ার জন্ম ১৯৭২ সালে। সে হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৪৮-৪৯। তানিয়া ২০০৪ সালে হুমায়ূন আহমেদ এর শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রে রাত্রি চরিত্রে অভিনয় করে বাচসাস পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী জিতেন। ২০০৪ ও ২০০৭ এ মেরিল প্রথম আলো শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




