
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ওর নাম এভ্রিল। ৬ ফিট লম্বা একটি মেয়ে। মেয়েতো নয় যেন এক জলন্ত আগ্নেয়গিরি।রাস্তায় ইভ-টিজিং করবে? সাথে সাথে ধরে থাপড়াবে। এখন অনেক মেয়ে বাইক চালায়। একসময় পুরা বাংলাদেশে মেয়েদের বাইকার হওয়ার অনুপ্রেরণা ছিল এভ্রিল। ওর পারসোনালিটির সবচেয়ে আমাজিং বিষয়টি হচ্ছে, সে ভালো মানুষের সাথে ভীষণ ভালো আর খারাপ মানুষের সাথে ভীষণ খারাপ।আরেকটা ব্যাপার হলো সে কাউকে হিংসা করে না। ওর যতটুকু আছে ততটুকুটেই সন্তুষ্ট। আমি দেখেছি ওকে অধিকাংশই দেখতে পারেনা এই কারণে নয় যে, সে কারো ক্ষতি করছে। তার দোষ সে সবার চেয়ে লম্বা, বাইক চালাতে পারে।কারাতে পারে। অদ্ভুত না হিংসার কারণ গুলো। ওর মধ্যে সাহসী নস্টালজিয়া কিছু ব্যাপার আছে যেমনঃ কোটি টাকার কাজ হলেও উপযুক্ত রেসপেক্ট না করলে সে কাজ বাদ। রাত ২ টাই বাইক নিয়ে বের হয়ে যাবে মন খারাপ থাকলে একা। কোন ছেলে বেয়াদবি করলে থাপড়ায় দিবে সে যেই হোক। আর তার সিগারেট খাওয়ার সময় হিংসুক নারী বিদ্বেষী মৌলবাদের জাস্ট ডুন্ট কেয়ার অসাধারণ।
মানুষের স্বভাবজাত কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। তার মধ্যে একটি হলো মানুষ নিজেকে সবসময় প্রথম স্থানে দেখতে চায়। কিন্তু প্রথম স্থানতো একটি।যে যোগ্য সৃষ্টিকর্তা তাকেই সেটা দান করেন। ফলে অন্য যারা প্রথম স্থানে নিজেকে দেখতে চায়, তারা প্রথমস্থান অর্জনকারীকে হিংসা করে। হিংসার সৃষ্টি মূলত জেদ থেকে। কিছু মানুষ যখন নিজেকে যে স্থানে দেখতে পছন্দ করে কিন্তু সে স্থানে অন্য কাউকে দেখে তখন তার ভেতরে একটা জেদ কাজ করে। যতক্ষন সে জেদটা চেপে রাখতে পারে ততক্ষণ সেটা জেদ, আর যখন জেদ গুলো প্রকাশ করে ফেলে তখন তা হিংসায় রূপান্তরিত হয়।
লোভিদের আরেক রূপ হিংসাত্মক হওয়া। আর বিদ্বেষ পোষণ করা। যেমন একটি মেয়ে দেখতে অন্য মেয়ের চেয়ে বেশী সুন্দর না হলে, বেশী সুন্দর মেয়েটিকে হিংসা করে।একটি ছেলে ভালো জব করে, তার ছেয়ে কম ভালো জব করা ছেলেটি , ভালো জব করা ছেলেটিকে হুদাই হিংসা করে। একটি ছেলের সুন্দর জি এফ আছে, যে নিজের অসুন্দর মনের জন্য কোন মেয়ের মন জয় করতে পারেনি সে সুন্দর জি এফ যার আছে তাকে হিংসা করবে।
একটি ছেলে একটি সুন্দর মেয়েকে খুব ভালোবাসে এবং নিজের করে পেতে চায়। মেয়েটিকে একাধিক ছেলে পছন্দ করে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মেয়েটিকে সবাই জয় করতে পারে না। জয় করার ক্যাপাবিলিটি সবার থাকেনা। যেমনঃ
একটি সুন্দর মেয়ে একদম উপরে দেয়া ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর একটা ছেলে কমেন্ট করসেঃ
ছেলেঃ আমি কি ছবিটি আমার গ্যালারি তে সেভ করতে পারি?
মেয়েঃ কেন?
ছেলেঃ আমার বন্ধুদের কাছে প্রমাণ করতে চাই এমন ডানা কাটা পরী আসলেই পৃথিবীতে আছে।।
মেয়েটি একটু হলেও ইমপ্রেস হয়েছে। কিন্তু আহাম্মক হিংসুকরা ইমপ্রেস করতে পারেনি তাই মেয়েটি কমপ্রেসড হয়নি। হুদাই যে ইমপ্রেস করতে পারসে তাকে হিংসা করসে। কিছু মানুষ অহেতুক অন্যের পেছনে লাগে। কোন কারণ ছাড়াই সফল মানুষ গুলোর দোষ ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়।সফলদের প্রতি পদে পদে বাঁধার সৃষ্টি করে। নিজের ভেতর যা নেই তা অন্যের মধ্যে দেখলেই সহ্য করতে পারেনা।তাই অন্যকে হিংসা করে।
কারা নারী বিদ্বেষী হয় জানেন? যারা কোনদিন সুন্দর মেয়েদের সাথে প্রেম করতে পারেনি তারা। যারা একটু সুন্দর মেয়েকে প্রপোজ করে ছ্যাকা খেয়েছে বা ছ্যাকা খাওয়ার ভয়ে জীবনে প্রপোজ করার সাহসই পায়নি তারা।
যা কিছু অর্জন করার যোগ্যতা আমার নেই তা আমি যতই হিংসা করিনা কেন কোনদিনও তা পাবোনা। হুদাই হিংসা করব কেন?হিংসা না করে সফলদের, প্রতিভাবানদের যারা এপ্রিসিয়েট করতে পারে তারাই আসলে শ্রেষ্ঠ মানুষ। সবাই শ্রেষ্ঠ হতে পারেনা। যারা হয় তারাই লেজেন্ড। যেমন নো-বল ম্যান না কি একটা আছেনা? ঐটা গুরু জেমসকে হিংসা করে।কোন লাভ হইসে? উলটো পঁচে গেসে। হিংসা করলে আসলে নিজেরই ক্ষতি।যেমনঃ যাদের মনে হংসা বেশী তারা হিংসার কারণে সাউন্ড স্লীপ কখনো দিতে পারেনা। সেরারা নিজ গুণে শ্রেষ্ঠ হবেই। হিংসা-টিংসা দিয়ে সাময়িক বাঁধাগ্রস্থ হয়তো করা যায়, কিন্তু আটকানো কোনদিনও সম্ভব না।
শিরোনামঃ আর্টসেলের 'অনিকেত প্রান্তর' গানের লিরিক্স থেকে। পোস্টটি জন্মদিনে প্রিয় ব্যান্ড আর্টসেলকে উৎস্বর্গ করা হল।
গানটি অবশ্যই শুনুনঃ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




