* নোটঃ আমার পোস্টে কেউ অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলে তার দায়ভার আমার নয়। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যের অভিযোগে আমার ২ দিন আগের 'মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিছু মানুষ বেঁচে থাকলে হিংসা করে' শিরোনামের পোস্টটি মডারেশনের পক্ষ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, আমি অনেক কষ্ট করে মোবাইল থেকে লিখি কারণ আমার ল্যাপটপ ওপেন করার সময় নেই আর ল্যপটপ শ্যুট ও ছবি এডিটের জন্য ব্লক থাকে মোস্ট অফ দ্যা টাইম। সো প্লিজ *******
- ছবিতে পরিমনি। ছবি ওর ইনস্টাগ্রাম থেকে। এরকম সুন্দর একটি মেয়ে যদি ব্যক্তিত্বহীন দের মতো কাজ করে খারাপ লাগে। সভ্য দেশের মানুষ গুলো ল্যপটপ খুলে জ্ঞান আহরণ করে, বিজ্ঞান চর্চা করে, আবিষ্কার করে। অথচ আমাদেত দেশে পরিমণির মতো অতি পরিচিত ব্যক্তিও হিংসা মুক্ত হতে পারে না। লেপটপ খুলে যাকে হিংসা করে তার বিরুদ্ধে অনলাইনে বিষ ঢেলে দেয়।
পরীমণিকে আমার ভালো লাগে কারণ মেয়েটা ফেক না। প্রচন্ড সাহসী, কাউকে ভয় করেনা।পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য বোম বোম পরিমণি। কিন্ত জঘন্য বিষয় হইল সে অতিরিক্ত এটেনশান সীকার।এই একটি কারণে মেয়ে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে মিডিয়া থেকে গায়েব হয়ে যাবে। এটেনশান সিকাররা একপ্রকার সাইকো।ওদেরকে এটেনশান না দিয়ে অন্য কাউকে এটেনশান দিলে ওরা পাগল ও উম্মাদ হয়ে যায়।
এটেনশানের জন্য এতো নীচে নামে যে লোকে ছিঃ ছিঃ করে। যেমন আমি এক সাইকোকে চিনি সে নিজেকে সবার উপরে দেখতে চায়। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে কেউ সেরা বললে সে উম্মাদ হয়ে উলঙ্গ হয়ে যায়। সাইকো ও উম্মাদ বলছি কারণ সে ফেসবুক টুইটার ইনস্টা গ্রাম এগুলোতে হিউজ ফেক আই ডি খুলে, সেগুলো থেকে নিজেই নিজের পোস্টে লাইক কমেন্ট দিতো, যারা তারচেয়ে একটু বেশী হাই লেভেলের তাদের পোস্ট রিপোর্ট করে গায়েব করে দিতো। যারা তার পা চাটে তারা যদি সে যাদের প্রতিপক্ষ মনে করে তাদের পোস্টে মন্তব্য করতো সে মেসেঞ্জারে তাদের টর্চার করতো। কেউ তার চেয়েও খুব ভালো কোন রান্না করা খাবার স্টোরি দিলে জ্বলে পুড়ে যেতো।নিজের পোস্ট মানুষে পড়ছে মন্তব্য করছে, সে বিরাট কিছু, পৃথিবীর সব দেশে থাকা বাংলাদেশের ছেলেরা তার জন্য পাগল প্রমাণ করার জন্য, তার ফেক আই ডি গুলোর ইনফোতে 'লিভিং ইন ' এ দেশ নির্বাচন করতো - লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া,কানা, ফ্রান্স ইত্যাদি ইত্যাদি। তার ফেসবুকে টুইটারে ইনস্টাগ্রামে অনেক ফেক আই ডি, সে একেক নিক থেকে একেক রূপ ধারণ করে যাদের জেলাস করে তার কয়েকজন বলদ ফলোয়ার কে সাথে বিভিন্ন ভাবে হ্যার্যাজ করতো।
পরিমণিও সে রকমের হিংসুক ও নিন্দুক হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যা সিনহা মিম একজন অসাধারণ অভিনেত্রী ও মডেল। নৃত্যশিল্পী। লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার থেকে ক্যারিয়ার গড়ছে তো জেনুইনলি মাল্টি ট্যালেন্টেড। ব্লগার হাসান মাহবুব এর 'দামাল' মুভির রিভিউ অনেকে পড়েছেন ব্লগে। 'পরাণ' মুভিটিও দেখেছেন। মিম অসাধারণ অভিনয় করেছেন। এবং মারাত্নক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। পুরা দেশে মিম এর এই দুই মুভি বর্তমানে আলোচিত। আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছ জয়া আহসান অভিনিত 'বিউটি সার্কাস' নুসরাত ফারিয়া অভিনিত 'অপারেশান সুন্দর বন'। পরিমনি হুদাই হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে। সে সাইকো কারণ সে অন্যের জনপ্রিয়তা ও তার চেয়েও যারা জনপ্রিয় তাদের সহ্যই করতে পারেনা। বিভিন্ন ভাবে চরিত্রে ও ব্যক্তিত্বে দাগ লাগিয়ে সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে- তাই ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরিমনি সদ্য বিবাহিত বিদ্যা সিনহা মিমকে তার জামাই এর কাছে ও দেশের মানুষের কাছে ছোট করার জন্য নোংরা পোস্ট দিয়েছে পরিমণি। পোস্টে পরিচালক রায়হান রাফিকে 'চাটুকার' ও মিম কে বলেছে 'নিজের জামাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিলো, রাফির সাথে পরকিয়া করা ঠিক হয়নি' অথচ পরিমনির কাছে কোন প্রমানই নেই। এগুলো নোংরামি। এধরণের লোক যারা সারাক্ষণ অন্যের পেছনে লেগে থাকে এরাই ক্লাসলেস ও নোংরা।অধিকাংশ বাঙালি স্বভাবতই হিংসায় জ্বলে অন্যের নামে মিথ্যাচার ও নোংরা রিউমার ছড়ায়। পরিমণি আগে একেক সময় একেক রূপ ধারণ করতো, মিমকে নিয়ে পোস্ট দেয়ায় বুদ্ধিমানেরা বুঝেই গেসে সে সাইকো থেকে পাগল হওয়ার পথে, তার মানসিক সুস্থতা কামনা করি।হিংসা মানুষকে হিংস্রতার থেকে বেশি উম্মাদ করে দেয়।
নিজের চরিত্রের নাই ঠিক আইছে মিমকে নিয়ে লিখতে। নিজে শত শত কুকাম করে অথচ অন্যকে যারা খারাপ বলে ওরা ভন্ড ও হিংসুক।এদের এড়িয়ে চলুন।