সামমান মুকতাদির। সবার পরিচিত একটা নাম। তরুণীদের কাছে এতই জনপ্রিয় যে বলে বুঝানোর ভাষা নেই। মিডয়ায় ওর চেয়ে বয়সে কম এমন কোন মেয়ে আমি ১৩ বছরে দেখিনি যার ওর প্রতি ক্রাশ নেই। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তাকে খুব অপছন্দ করি। অপছন্দের কারণ সে আমার খুবই স্নেহের ও প্রিয় একজনকে খুব কষ্ট দিয়েছে। নাম জেসিয়া। জেসিয়ার নাম সবার শোনার কথা। একজন আন্তর্জাতিক মানের ফ্যাশন মডেল।
ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেসেন অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইউটিউবার থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠা সালমান মুক্তাদির বিয়ে করেছেন। ফেসবুকে ও ইনস্টাগ্রামে গতকাল থেকে সালমানের বিয়ের ছবি সবাই দেখেছেন। ছবি গুলো আপলোড দেয়ার সময় ক্যাপশনে লিখেছিল "স্ট্যাটাসে স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে সালমান লেখেন, ‘বাকিটা জীবনের জন্য আমার প্রিয় স্ত্রী।’
এই খাইছে। অধিকাংশ বাঙালির তো নেই কাজ তো খৈ ভাজ। তার বউ এর অতীত নিয়ে হাউকাউ করা শুরু করল।ছাগু ও কাঠমোল্লাদের সাথে কিছু মূর্খ নেটিজেনও ম্যাওপ্যাও পোস্ট ও মন্তব্য করা শুরু করল। একটাই অপরাধ সালমানের বর্তমান হালাল বউ দিশা ইসলামের ২০১১ সালে প্রথম বিয়ে হয়েছিল। এরপর দিশার ঘরে আসে প্রথম সন্তান। ২০১৮ সাল পর্যন্তও পূর্বের স্বামীর সঙ্গে দিশার সম্পর্ক ভালো ছিল। ২০২১ সালে দিশা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন। ২০২১ সালের মার্চে ফেসবুকে আপলোড করা ছবিতে তাকে অন্তঃসত্ত্বা দেখা যায়, সেখানেও স্বামীর উপস্থিতি ছিল। ওই সময় দিশা কানাডার ওন্টারিওতে বাস করতেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সালমানকে বিয়ে করলেন দিশা ইসলাম। তবে এর আগে সালমান মুক্তাদিরকে নিজের ফেসবুকে দিশা বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
আচ্ছা কে কারে বিয়ে করবে এটাও কি এসব মূর্খরা ঠিক করে দিবে? মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হাউকাউ যারা করে এদের মতো ক্লাসলেস আর নেই।
সালমান জেসিয়া ছাড়াও অনেক মেয়ের সাথে ভং চং করছে। সকাল থেকে মনটা খারাপ তাই ব্লগে আসিনি। গতকাল রাতে একজন আদরের মডেল ছোট বোন স্ট্যাটাস দিসে "জীবন সুন্দর"। ওর নাম রিভু। ইয়াং মেধাবী ফ্যাশন মডেল। সকালে ইনবক্সে মেসেজ আসল ভাইয়া " রিভু সুইসাইড করছে "। স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। সালমানের উপর রিভুরও ক্রাশ ছিল। ঘনিষ্ট ছিল কিনা আমি নিশ্চিত নই। রিভু কি কারণে সুইসাইড করছে তাও আমি জানিনা।
তবে এতটুকু অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি " কেউ কষ্ট দিয়েছে নিশ্চত "। পোস্টে প্রথম ছবিতে যাকে দেখছেন ওর নাম রিভু। চাঁদরাতে কথা হয়েছিল। মার্চ এর ১৭ তারিখ চট্টগ্রামে আমার শো তে আসছিল। ডিনারে এটেন্ড করছে। নিজে রাতের বাসে উঠিয়ে দিলাম। আজ সে দুনিয়াতেই নেই :'(
মোল্লারা বলে যারা পৃথিবীর নির্মম কষ্ট যাতনা সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড করে তাদের জন্য নাকি দোয়া করা গুনাহ এর কাজ। তাদের জানাজা পড়াও নাকি জায়েজ না। আমি তার জন্য দোয়া করে জান্নাত কামনা করছি। কত পাপই তো করি। আরেকটা পাপ না হয় করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:১৬