এই খাবারটা ব্লগার মিরোরডডল এর জন্য। বেচারি ভাত রান্না করতে গিয়ে চুলার সুইচ অন করতে ভুল করাতে মাংস পুড়ে ছাই অসহায় পানির নীচে চাউল ডুবে আছে।
প্রিয় ব্লগার ও পাঠক,
শুরুতেই শুভেচ্ছা। আজকের পোস্টটি এই ব্লগে আমার ২০০ তম পোস্ট। আমি সাধারণত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। আমার ৮০% পোস্টই সমসাময়িক বিষয়ের উপর লেখা। পেশায় একজন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হলেও নিজেকে একজন ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশী সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এই ব্লগে আগেও কয়েকবার লিখেছি। এখন আবার বলছি আমার প্রফেশনাল লাইফের পরে সময় কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় মাধ্যম সামু। এখানে আমার লিখতে ভালো লাগে। মন্তব্য করতে ভালো লাগে। সম্ভবত আর ২০/৩০ টা মন্তব্য করলে আমার ' মন্তব্য করেছি- সংখ্যাটি ৬০০০ এর ঘরে যাবে'। আমি খুব আনন্দিত যে ২০০ টি পোস্টের মধ্যে ১ টি পোস্টও নাই যে পোস্ট পাঠক ও মন্তব্য পায়নি। প্রতিটি পোস্ট গড়ে ৭৬০+ বার পঠিত হয়েছে। পোস্ট গুলোতে গড়ে ২৬ টি মন্তব্য এসেছে। বিএনপি ভেক ধরা ২/৩ জন দেশ ও স্বাধীনতার শত্রু জামাত-শিবির মানসিকতার কথিত ব্লগার ছাড়া সবার সাথেই আমার সম্মানজনক ব্লগিয় ইন্টারেকশন। জামাত শিবির মানসিকতার উক্ত ২/৩ ছাড়া অন্য কোন ব্লগার যদি আমার কোন আচরণ বা ব্যবহারে কষ্ট পান আমি খুবই দু:খিত। সামুর সাথে আজ ৭ বছর ৪ মাস। এই সময়ে মধ্যে আমাকে কখনোই নীতিমালায় আসতে হয়নি।
আজকে যদি ২০০ তম পোস্ট না হতো তবে তানজিন তিশা অথবা আনুষ্কাকে নিয়ে লিখতাম।
প্রসঙ্গ: 'তানজিন তিশা':
ব্যক্তিগত ভাবে এই মেয়েকে চিনি। দুর্দান্ত একজন মডেল ও অভিনেত্রী। সাধারণত যারা মডেলিং থেকে নাটক সিনেমায় অভিনয় জগতে ঢুকে তারা খুব নাম করে। তানজিন এর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।ছোট পর্দার টপ ৫ জন অভিনেত্রীর মধ্যে সে একজন। সবাই অনলাইনে দেখেছেন ফারহান এর সাথে তার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আসলে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ও সাংবাদিক দুষ্ট। ফারহান - তানজিন দুইজনই সমসাময়িক সহকর্মী। তারা দুষ্টুমি করে একটা ভিডিও বানিয়েছে। সে ভিডিও তানজিন রার ফেবু স্টোরিতে ফান করে শেয়ার দিতে দেরী,আমরা উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এই অভিনেত্রী সম্পর্কে আন্দাজে রিউমার ছড়িয়ে তার ক্যারিয়ারের ১২ টা বাজাতে দেরী করিনি। আগেই বলছি তিশা কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। মেয়েটি সহজ সরল ও আবেগী। তানজিন যখন মিডিয়ায় আসে তখন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের ১ টি গানের সাথে একটা মিউজিক ভিডিও করতে কিঞ্চিৎ ভাব হয়। সেসময় হাবিবের স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হতে হতে হয়নি। পরে হাবিব তার স্ত্রীর সাথে মতানৈক্য মিটমাট করে নিলে সেখানেই শেষ হিয় তাজনিন হাবিবের 'কুচ কুচ হুতাহে'। এরপর কিছু সাংবাদিক ও নেটিজনরা জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ইমরান, জনপ্রিয় অভিনেতা নিশো, পরিমনির জামাই শরীফুল রাজ ও সর্বশেষ নতুন প্রজন্মের অভিনেতা মুশফিক ফারহান এর সাথে জড়িয়ে এমন নোংরা রিউমার ছড়িয়েছে যে মেয়েটা শেষ পর্যন্ত আত্নহত্যা করতে গেছিল।
আচ্ছা আমরা এমন কেন? মিডিয়ার লোকজন কি মানুষ নয়? তাদের কি আবেগ নেই? তারা কি পারেনা সহকর্মীর সাথে একটা টিকটক ভিডিও বানাতে? তাদের কি ফান করা মানা?মিডিয়ার লোকজনদের মধ্যে নারী পুরুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব মানেই কি প্রেম! আমাদের মানসিকতা কি কখনোই ডেভেলপ হবে না? আমরা কি কখনোই সভ্য হবোনা?
আমরা টিভি পর্দায় যাদের কে দেখি তাদেরও তো একটা পারসোনাল লাইফ আছে। তাদেরও ফ্রেন্ড্ররা মিলে চিল করতে ইচ্ছা করে। সেদিন দেশের এক বিখ্যাত অভিনেত্রীর সাথে ফটোশ্যুট ছিল। জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী অভিনেত্রী। শ্যুটে লাঞ্চ এরেঞ্জম্যান্ট ছিল গরুর তেহারি।সাথে কোকাকোলা। গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার পর সিগারেট না খাওয়া মানে অতৃপ্ত থেকে যাওয়া। স্টুডিও বারান্দা দুই জন মিলে সিগারেট ধরালাম। উনি নিজে লাইটার জ্বালিয়ে সিগারেট ধরিয়ে আমার দিকে আগাইয়া দিলেন।বললাম এতোবড় সেলিব্রিটির সাথে সিগারেট শেয়ার করছি একটা সেলফি নিই। বললেন নাও তবে কোথাও আপলোড দিওনা। আমাদের ফেসবুকবাসী বড় খারাপ।
যাই হোক পোস্ট বড় হয়ে যাচ্ছে। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাই। হ্যাপি ব্লগিং।
৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটু চাঁটগাইয়া খানাপিনা সকলের জন্য:
নীচের ছবি ২টি ব্লগার সোনাগাজী সহ চট্টগ্রামের সকল ব্লগারদের জন্য যারা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে আছেন। আপনাদের প্রিয় শহরকে মিস করছেন। এগুলো আধুনিক বিশ্বে কোন শহর বা হোটেল নয়। বরং চট্টগ্রাম শরের ডে ভিউ ও কক্সবাজারের সেইমান হোটেল।
থ্যাংকস ফর রিডিং ❤️
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১