ফেসবুকে যারা একটিভ শিরোনামটি তাদের কাছে খুবই কমন ও পরিচিত। আমরা ফেসবুকে কদিন ধরে দেখছি একটা ভিডিও খুবই ভাইরাল। সে ভিডিওতে দেখা গেসে - একজন ট্রেইনার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ট্রেনিং দিচ্ছেন কিভাবে বাচ্চাদের পাঠদান করতে হয়। আরও দেখা গেসে ট্রেইনার অভিনয় করে করে শিখাচ্ছেন শিক্ষকদের - "কিরিং কিরিং সাইকেল চলে, ফেরি ওয়ালা যায় "। বিষয়টিকে খুবই হাস্যকর এবং পাগলামি মনে হলেও আমার মনে হয় আসলে পাঠ দানের এই প্রসেসটা আসলে গ্রহণযোগ্য।
আমাদের দেশের বিম্পি-জামাত সরকার কোন একটা উদ্যোগ নিলেই সেটা যতই ভালো হোক - সমালোচনা করবেই। একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সুইট একটা ম্যাম বাচ্চাদের যদি নেচে নেচে, গেয়ে গেয়ে অথবা অভিনয় করে করে পড়ান আমরা বলি বিদেশি স্টাইলে পড়ালেখা শিখানো হচ্ছে। অথচ সরকার যখন ইংলিশ মিডিয়াম স্টাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু করতে চাইলো যেন প্রাথমিক এর শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে তখন বিম্পি জামাত সমানে ট্রোল করতে লাগলো।
এটা সত্য যে, ভিডিওটাতে যেসব শিক্ষকদের আমরা ট্রেনিং নিতে দেখেছি তারা নেচে নেচে "কিরিং কিরিং সাইকেল চলে, ফেরিওয়ালা যায়।" শিখালে সত্যি পিকুলিয়ার দেখাবে। কারণ তাদের অধিকাংশই বয়ষ্ক এবং এতদিন ধরে তারা পড়িয়ে আসছেন এখন হঠাৎ করে এভাবে ক্লাসের ভেতর নাচ গান করা শুরু করা শিক্ষকদের জন্য খুবই বিব্রতকর। বিশেষ করে বয়স্ক শিক্ষকদের জন্য এটা খুবই বিব্রতকর।
এরপরও আমি বলব শুধু ইংলিশ মিডিয়াম বা কেজি স্কুলের বাচ্চাদের নয়, গরীব মধ্যবিত্তদের সন্তানেরা যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে তাদেরও আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করার অধিকার আছে। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক।
মাদ্রাসা গুলোর কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। পাঠদানের নামে ছোট ছোট কোমলপ্রাণ শিশুদের মেরে রক্তাক্ত করে ফেলা হয়, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। রাতের বেলা নির্মম ভাবে বলৎকার করা হয়।
সরকার কিছু একটা উদ্যোগ নিলেই শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে সেটার বিরুদ্ধে অপপ্রচার কিরা হয় ট্রোল করা হয়। এগুলো কি ঠিক? আসুন সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো উদ্যোগ গুলোর প্রশংসাও করি।