somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

ঘৃন্য মৌলবাদীরা জয়াদের ঘৃণা করলেও সৃষ্টিকর্তা তাদের ভালোবাসেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি - ব্যক্তিগত।
ব্লগে এক পাগল আমার পোস্টে ব্যবহৃত ছবির প্রাইভেসি নিয়ে হাউকাউ করছে। একটা আস্ত পোস্টও প্রসব করছিল। অথচ এই পর্যন্ত যতো ছবি আমি ইউজ করছি ৯৮% নিজস্ব। ২ % গুলো অনুমতি নেয়া।


গেলো শুক্রবার একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি করছি। বর যাত্রী এসেছে। আর স্টেজে বর কনের সাথে আমন্ত্রিত অতিথিরা ছবি তুলছেন। এমন সময় একদল হিজড়া ঢুকল কমিউনিটি হলে। দাবী করল ৫ হাজার টাকা চাঁদা। বিশ্রী সব কান্ড করতেছিল ওরা চাঁদার জন্য। যাদের বিয়ে হচ্ছিল তাদের আত্নীয়রা নিরুপায় হয়ে প্রথমে ১০০০ টাকা দিল। হিজড়ার দল টাকাটা ছুড়ে মারল। তারপর ২০০০ দিল। এবার তারা গা থেকে কাপড় সরিয়ে তালি বাজাতে লাগল। সিনক্রিয়েট এড়াতে ৩০০০ এ আপোষ করল। ৩০০০ টাকা নিয়ে বের হয়ে গেলো। চট্টগ্রামে এরকম প্রায় প্রতিটি কমিউনিটি হলে বিয়ের অনুষ্ঠানে এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা করে হিজড়ার দল। প্রশাসন নীরব। চাঁদা না দিলে এরা মানুষের গায়ে থুথু ছিটায়, উদ্ভট ভাষা ইউজ করে, নোংরা গালাগালি করে। এদেশে খুব সম্ভবত ১-২% হিজড়া আছে। সরকার চাইলে এদের পুনর্বাসন করতে পারে। তাদের জন্য কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু না সরকার সেটা করবেনা। বছরের পর বছর হিজড়ারা প্রকাশ্যে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করছে।

আজ ফেসবুকের হোমপেজে একটা নিউজ দেখে বেশ ভালো লাগছে। কালবেলা নামক একটি অনলাইন পোর্টাল নিউজ করেছে - জয়া আহসানের চেষ্টায় চাঁদাবাজির কাজে হাতির বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ। আমাদের দেশের ঘৃণ্য মৌলবাদীরা জয়া আহসানদের অপমান করলেও শিক্ষিত সমাজের কাছে জয়া খুবই সম্মানিত। আমার ধারণা শুধু মাত্র স্রষ্টার সৃষ্টিকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসার কারণেই সৃষ্টি কর্তা জয়া আহসানকে শ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন। দৈনিক কাল বেলা থেকে জানলাম - "অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের পাশাপাশি তার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি পশুপ্রেমী একজন মানুষ। শহরের আহত পশুদের নিয়ে সবসময়ই কাজ করেন তিনি। সম্প্রতি হাতির সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন, চাঁদাবাজি, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। তার রিটের পর হাইকোর্ট এবার এসব কাজে ব্যক্তি মালিকানায় লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাতির ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি মালিকানা নতুন করে লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়ন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।"

বেওয়ারিশ কুকুর, হাতী, যে-কোন আহত প্রাণীর পক্ষে যেমন জয়া আহসান দাঁড়িয়েছেন ঠিক তেমনি প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি জয়ার মতো একজন মানুষ অন্তত এগিয়ে আসেন তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বেশিদিন সময় লাগবেনা।


গতকাল শবে বরাত ছিল। এই রাত্রি হইল নফল ইবাদতের রাত্রি। স্রষ্টার ইবাদত করতে হয় নীববে। নির্জনে। অথচ উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজিয়ে এরা গতকাল ইবদত কারীদের বার বার কনসেনট্রেশান ব্রেক করছে। এরা ফতুয়া দেয় অভিনয় ও মডেলিং করার অপরাধে জয়াদের মতো খারাপ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আমার পাঠকদের কাছে প্রশ্ন বলেন তো কে বেশি খারাপ অহেতুক উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজিয়ে অসুস্থ রোগীদের, শিশুদের, এক ধ্যানে রাত জেগে ইবাদত কারীদের ক্ষতি করা মৌলবাদীরা নাকি পশু প্রেমী জয়ারা। যারা দুনিয়ার কোন মানুষের ক্ষতি করেনা। অভিনয় নাচ গান মডেলিং দিয়ে রুটি রুজি ব্যবস্থা করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×