ছবি - ব্যক্তিগত।
ব্লগে এক পাগল আমার পোস্টে ব্যবহৃত ছবির প্রাইভেসি নিয়ে হাউকাউ করছে। একটা আস্ত পোস্টও প্রসব করছিল। অথচ এই পর্যন্ত যতো ছবি আমি ইউজ করছি ৯৮% নিজস্ব। ২ % গুলো অনুমতি নেয়া।
গেলো শুক্রবার একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি করছি। বর যাত্রী এসেছে। আর স্টেজে বর কনের সাথে আমন্ত্রিত অতিথিরা ছবি তুলছেন। এমন সময় একদল হিজড়া ঢুকল কমিউনিটি হলে। দাবী করল ৫ হাজার টাকা চাঁদা। বিশ্রী সব কান্ড করতেছিল ওরা চাঁদার জন্য। যাদের বিয়ে হচ্ছিল তাদের আত্নীয়রা নিরুপায় হয়ে প্রথমে ১০০০ টাকা দিল। হিজড়ার দল টাকাটা ছুড়ে মারল। তারপর ২০০০ দিল। এবার তারা গা থেকে কাপড় সরিয়ে তালি বাজাতে লাগল। সিনক্রিয়েট এড়াতে ৩০০০ এ আপোষ করল। ৩০০০ টাকা নিয়ে বের হয়ে গেলো। চট্টগ্রামে এরকম প্রায় প্রতিটি কমিউনিটি হলে বিয়ের অনুষ্ঠানে এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা করে হিজড়ার দল। প্রশাসন নীরব। চাঁদা না দিলে এরা মানুষের গায়ে থুথু ছিটায়, উদ্ভট ভাষা ইউজ করে, নোংরা গালাগালি করে। এদেশে খুব সম্ভবত ১-২% হিজড়া আছে। সরকার চাইলে এদের পুনর্বাসন করতে পারে। তাদের জন্য কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু না সরকার সেটা করবেনা। বছরের পর বছর হিজড়ারা প্রকাশ্যে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করছে।
আজ ফেসবুকের হোমপেজে একটা নিউজ দেখে বেশ ভালো লাগছে। কালবেলা নামক একটি অনলাইন পোর্টাল নিউজ করেছে - জয়া আহসানের চেষ্টায় চাঁদাবাজির কাজে হাতির বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ। আমাদের দেশের ঘৃণ্য মৌলবাদীরা জয়া আহসানদের অপমান করলেও শিক্ষিত সমাজের কাছে জয়া খুবই সম্মানিত। আমার ধারণা শুধু মাত্র স্রষ্টার সৃষ্টিকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসার কারণেই সৃষ্টি কর্তা জয়া আহসানকে শ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন। দৈনিক কাল বেলা থেকে জানলাম - "অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের পাশাপাশি তার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি পশুপ্রেমী একজন মানুষ। শহরের আহত পশুদের নিয়ে সবসময়ই কাজ করেন তিনি। সম্প্রতি হাতির সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন, চাঁদাবাজি, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। তার রিটের পর হাইকোর্ট এবার এসব কাজে ব্যক্তি মালিকানায় লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাতির ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি মালিকানা নতুন করে লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়ন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।"
বেওয়ারিশ কুকুর, হাতী, যে-কোন আহত প্রাণীর পক্ষে যেমন জয়া আহসান দাঁড়িয়েছেন ঠিক তেমনি প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি জয়ার মতো একজন মানুষ অন্তত এগিয়ে আসেন তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বেশিদিন সময় লাগবেনা।
গতকাল শবে বরাত ছিল। এই রাত্রি হইল নফল ইবাদতের রাত্রি। স্রষ্টার ইবাদত করতে হয় নীববে। নির্জনে। অথচ উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজিয়ে এরা গতকাল ইবদত কারীদের বার বার কনসেনট্রেশান ব্রেক করছে। এরা ফতুয়া দেয় অভিনয় ও মডেলিং করার অপরাধে জয়াদের মতো খারাপ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আমার পাঠকদের কাছে প্রশ্ন বলেন তো কে বেশি খারাপ অহেতুক উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজিয়ে অসুস্থ রোগীদের, শিশুদের, এক ধ্যানে রাত জেগে ইবাদত কারীদের ক্ষতি করা মৌলবাদীরা নাকি পশু প্রেমী জয়ারা। যারা দুনিয়ার কোন মানুষের ক্ষতি করেনা। অভিনয় নাচ গান মডেলিং দিয়ে রুটি রুজি ব্যবস্থা করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৫