দেশে কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর, গণ্ডগোল হওয়ার পর যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে হৈচৈ কিংবা সমালোচনা হয় তখন পুলিশ এসে হুট করে নিজেদের পারফর্মেন্স শো করতে বা নিজেদের কার্যক্রম দেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বেইলি রোডে আগুন্র পুড়ে মানুষ মারা গেসে বলে ধানমন্ডির গাউসিয়া মার্কেটের এতোগুলা রেস্টুরেন্ট সিল গালা করে দেয়া মোটেও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নয়। খবরে প্রকাশ - " ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের আলোচিত গাউসিয়া বিল্ডিং এর সব রেস্টুরেন্ট সীলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এবং রুফটপে যে রেস্টুরেন্ট ছিল সেটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।"
আচ্চা মনে করুন আপনার একটা দোকান আছে। আপনার পাশের দোকানদার ভেজাল পণ্য বিক্রি করে। এবং সে দোকান থেকে পানীয় খেয়ে ২০ জন মানুষের মৃত্যু হলে, সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে। ফলে সরকার মহোদয় প্রশাসনকে ঝাড়ে। আর প্রশাসন নিজেদের পারফর্মেন্স দেখাতে ঐ এলাকার সব খাবারের দোকান বন্ধ করে দিল? বলুন তো "এইডা কিছু হইল? "
হুট করে এতোগুলা রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বেতন আঁটকে যাবে অন্তত ৪০০ জন শ্রমিকের। শুধু তাই নয়, দ্রব্য মূল্যের দাম যখন সাধারণ এর নাগালের বাইরে তখন বেকার হয়ে যাবে অন্তত ৪০০ জন মানুষ।রেস্টুরেন্ট শ্রমিক দের ৯৯% নিম্নবিত্ত। অনেকের পরিবার এর একমাত্র উপার্জন কারী ব্যক্তি এসব সিল গালা হয়ে যাওয়া রেস্টুরেন্টে চাকুরী করত।
আমাদের দেশের সিস্টেম বড় অদ্ভুত। জঙ্গিরা নোংরামি করবে কিছু নিরপরাধ মৌলভীদের এরেস্ট করবে। শিবির রাজ পথে সন্ত্রাস করবে পুলিশ গভীর রাতে প্রতিটি ঘরে তল্লাসি করবে।
এতো গুলো মানুষ মারা যাওয়ার আগে যদি এসব রেস্টুরেন্টে তল্লাশি চালাতো তবে এদের প্রাণ দিতে হতো না। বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর চারদিকে সবাই যখন সরকার এর বিরুদ্ধে ছি: ছি: করছে তখন সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুদাই এতো গুলো রেস্টুরেন্ট সিল গালা করছে। অথচ উচিত ছিল সিল গালা করার আগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া। একজন ব্যবসায়ী এতগুলো টাকা ইনভেস্ট করে রুফটপ রেস্টুরেন্ট বানাল। আর কোন নোটিশ ছাড়া উহা গুড়িয়ে দিল। এতে কি দেশের ও দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়নি।
সত্যি সেলুকাস। বড়ই বিচিত্র এই দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৯