প্রতিবছর রমজানে কিছু গরীব পথ শিশুকে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর জন্য লিনা তার রোজগার থেকে সামান্য সামান্য টাকা জমা রাখে। এটি এক বছর আগের ছবি।
মনেকরি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ছাত্রছাত্রী মিলে পরিকল্পনা করেছে সবাই মিলে সেহেরি খাবে কোন রেস্টুরেন্টে। ছেলে গুলো সব পাঞ্জাবি আর টুপি পড়েছে। মেয়েগুলো বোরকার সাথে হিজাব ও নেকাব পরছে। এখন তারা যদি একত্রে মিলিত হয়ে কিছু দোয়া দরুদ জিকির করে একসাথে সেহেরি খায় তাহলে মুমিনগণ তাদের বাহবা দিবে। কিন্তু উক্ত ছেলেমেয়ে গুলো যদি জিঞ্জ আর টি শার্ট পরে সেহেরি খেয়ে ফেবুতে ছবি আপলোড দেয় তাহলে মুমিনগণ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে। বলছে সেহেরি নিয়ে ফাতরামি, ফাজলামি করে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করছে। প্রার্থক্যটা লক্ষ্য করুন। প্রার্থক্য শুধু ড্রেস আপ।
রাসুল স: এর যুগে ১৪০০ বছর আগে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার প্রচলন ছিলনা। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন অলি গলিতে রেস্টুরেন্ট। তাই ফ্রেন্ড্রা মিলে একসাথে একটা দিন রেস্টুরেন্টে সেহেরি খাওয়া খুবই সহজ এখন। এখানে তো আর নাছ গান জলসা কিংবা ফ্যাশন শো কিংবা কনসার্ট হচ্ছেনা। তাহলে কিছু ছেলে মেয়ে জমায়েত হয়ে সেহেরি খেলে হুজুরদের কি সমস্যা বুঝলাম না।
আমার মনে হয় সেহেরি পার্টি আরও ভালো বর্তমান প্রেক্ষাপটে।কারণ যেসব ছেলে মেয়ে রোজা রাখেনা তারা এসব সেলিব্রেশন দেখে রোজা রাখতে ইমপ্রেসড হবে। একা একা নামাজ পড়ার ছেয়ে জামাতে নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি, সে যুক্তিতে একা একা সেহেরি না খেয়ে জমায়েত হয়ে সেহেরি /ইফতার খেলে সওয়াব বেশি হওয়ার কথা। সবকিছু নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে কেন? আসুন ইতিবাচক হই।
যাই হোক। আশাকরছি আগামী সোমবার আমার ব্লগে ২ লক্ষ হিট সম্পন্ন হবে। এই উপলক্ষে আমার ব্লগে একটি সাহরি নাইট এর আয়োজন করার আশা রাখছি। উক্ত ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা আছে - হযরত আল্লামা জনাব মাওলানা চাঁদগাজী রহ:, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আল্লামা অগ্নীবেশ রহ:, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন রহ:, জ্যাক স্মিথ রহ:, রাজীব নুর রহ:, অহরহ রহ: সহ আরও অবেকে। আপনারা উক্ত সেহেরি পার্টিতে দলে দলে যোগদান করে ২ জাহানের অশেষ নেকী হাসিল করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০