
আপনারা জেনেছেন ইতোমধ্যে মুবাইল দেটা অফ করে দেয়া হয়েছে, ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই এর স্পীড স্লো করে দেয়া হয়েছে। আপনারা বৈদ্যুতিক মিটারে রিচার্জ করুন, ও প্রয়োজনীয় ক্যাশ সাথে রাখুন, দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। যেকোনো মুহুর্তে নেট আবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে **
---
আজ ১লা অগাস্ট। শোকের মাস শুরু। এই মাসের ১৫ তারিখে পাক হানাদারের দোসররা নির্মম ভাবে শহীদ করেছিল জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এর আগের মাস জুলাই ২০২৪ ও আমাদের কাছে খুবই শোকের এখন থেকে। আমার দেশের ২৫০+ মানুষকে পাক হানাদার বাহিনীর মতো করে গুলি করে হত্যা করেছে আওয়ামী-পুলিশ লীগ। ১৯৭১ এ পাক হানাদাররা যেভাবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল, ঠিক তদ্রূপ বর্তমান আওয়ামী লীগ আমাদের ছাত্রদের যেখান থেকে পারছে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
পাঞ্জাবি দাড়ি টুপি ওয়ালা সবাইকে রাজাকার ও জামায়াত প্রমাণ করতে মরিয়া বর্তমানের ১০% সরকারি চাটুকার দের। সবাই জানেন, বাংলাদেশের যেকোনো বিভাগ বা শহর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বীর চট্টলা।ব্লগে অন্তত এটা প্রমাণ দেয়ার দরকার নেই যে চট্টগ্রামের মানুষ কেমন। এরা খুবই অতথি পরায়ণ, ৯০% ব্যাবসায়ী ও ধার্মিক। আমাদের বয়ষ্ক বাবা চাচা দাদা মুরব্বিরা লুঙ্গির সাথে পাঞ্জাবি পড়েন, দাড়ি রাখেন, টুপি পড়েন। এটা এই অঞ্চলের মানুষের ধর্মপরায়ণতা। ধর্মের জন্য চট্টগ্রামের মানুষ হাসতে হাসতে জীবন দিতে পারে। ধর্মে বা ধর্মীয় অনুভূতিতে একটু আঘাত আসলে আপনি আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি নাকি জামায়াত দেখবেনা। পিটাইয়া পিঠের ছাল তুলে ফেলবে। তাক পাঞ্জাবি দাড়ি টুপি দেখলেই এদের রাজাকার প্রমান যদি করেন তবে আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকে। বিস্তারিত আর লিখলাম না। এই অঞ্চলের মানুষ দের সাথে আলচুদুর ওয়ালবুদুর করা জাস্ট বোকামি।
উপরে দেয়া ছবিটি আজ চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট থেকে উঠানো। ছাত্ররা নিজেরা স্মৃতিসৌধ এঁকেছে। অত্যন্ত নিরিহ ও সরল দাবী তাদের। দাবীসমূহ কি কি?
১) স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করা লাগবে।
২) যারা ছাত্রদের পাখির মত গুলি করছে তাদের বিচার করতে হবে।
৩) কাওয়া কাদের সহ যেসব মন্ত্রীরা গুলি করার উস্কানি ও নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
৪) ২৫০+ হত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
মেরুদণ্ডহীন বিএনপির সরকার পতন আন্দোলন ও দেশদ্রোহী রাজাকারদের সাথে এই আন্দোলনকে গুলিয়ে ফেলার একটা ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।এই সুযোগ করে দিয়েছে জামায়াত-নিজে।প্রমাণ স্বরূপ: কোটা আন্দোলনে নিহত আবু সাইয়েদ কে শিবির সাথী হিসেবে বলে ঘোষণা দিয়ে ছাগু পেইজ গুলো।হ্যাঁ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জঙ্গি জামায়াত ও অবৈধ ভাবে গঠিত বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এই গণহত্যার জন্য ও স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে তাদের জামায়াত শিবির প্রমাণ করার জন্য মরিয়া সরকার। কিন্তু চিড়া ভিজবেনা।
এই ভিডিওটা দেখুন। ফেবুতে ভিডিওটা শেয়ার দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রী সংস্থার মিডিয়া পাড়ার সভানেত্রী জনপ্রিয় মডেল আরজে ও অভিনেত্রী মারিয়া নুর।এটি আজ চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এরিয়ায়। এই সমাবেশে আওয়ামী বিএনপি ছাগু জামাত-শিবির,জঙ্গি, হেফাজত সবাই ছিল।এটা কোন সরকার পতনের আন্দোলন নয়। জাস্ট ৪/৫ টি দাবী মেনে নিলেই হয়।কিন্তু বলদ সরকার তা না করে দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ ও অশান্ত করে রাখবে।
পাঞ্জাবি এমন একটা পোশাক যা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই পড়ে। একটু খোচাখোচা দাঁড়ি রাখা, ফ্রেন্সকাট বা চাপ দাঁড়ি রাখা এখন ফ্যাশান। তাই পাঞ্জাবি পড়লে ও দাঁড়ি রাখলেই শিবির মনে করা ছাগলামি।
আসলে রাজাকার ও স্বৈরাচার মুদ্রার দুইটা পিঠ। স্বৈরাচারীরা আজনম ক্ষমতায় থেকে দেশকে লুটপাট করে দেশের মানুষকে কেনা গোলাম বানিয়ে রাখতে চায়। আর রাজাকাররা জাতীর ঘাড়ে চেপে নারী দের আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের মত জীবন্ত কবর দিতে চায়, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আধুনিক শিক্ষা ব্যাবস্থা ধ্বংস করে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে মাদ্রাসা বানিয়ে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




