বহুদিন পর তোমাকে লিখতে বসলাম,কি লিখব বলো,
তুমি হয়তো ভুলেই গিয়েছো কতদিন তোমাকে সুন্দর সকাল দিয়েছি-
যার অপেক্ষা তুমি করেছিলে অনেকদিন ধরে,
তারপর আমি তোমাকে ভরা রোদ্দুরের মতো দুপুর দিয়েছি-
যার প্রতীক্ষায় তুমি ছিলে বছরের পর বছর,
তোমাকে আমি বিকেল দিয়েছিলাম বৃষ্টির মতো উজ্ঝল-
যা তুমি বহু শতাব্দী ধরে খুজেও পাওনি,
সন্ধ্যার পর রাত্রি দিয়েছিলাম জোৎন্স্যার অবসরে-
যেখানে রাতের কষ্ট জুড়ে গিয়েছিলো সত্যিকারের জোৎন্স্যায়।
যেভাবে বেচে আছি সেটাই বলি শোনো-
একটা সুন্দর সকালের প্রত্যাশায় যখন মেতে উঠি,
দেখি, সকালের নাস্তা শুকিয়ে গেছে।
অচেনা পথে হাটতে শুরু করি,
প্রচন্ড রোদ্দুরে, যখন সূর্য্য মাথার উপরে,বিদ্রোহী হয়ে উঠি ইশ্বরের প্রতি।
যখন খুব বৃষ্টি হয়,ভাবি একটু ভিজে আসি,ভাবনায় চলে,আসে না শরীর খারাপ করতে পারে,
বিকেলের শেষ আলো টা যখন নিভু নিভু, তখন-
কখনো পুরোন প্রেমিকার কথা অগোচরে মনে আসে,
বাতাসে হাতরিয়ে মরি।
সন্ধ্যার অবসরে আড্ডার মাঝে অতীতের কফি হাউসের মৃত্যু আর্তনাদ কানে বাজে।
অবহেলায় রাতের খাবারে জিহবায় পানি জমে না,ক্ষুধা থেকে যায়।
তারপর ঘুমুতে যাবার ভান করি নিজের সাথে,আমাকে না জানিয়ে কখন যে ঘুম চলে আসে-সে নিজেও বলতে পারে না।
যখন ঘুম ভাংগে,দেখি পিসি টা বন্ধ্ করা হয়নি,
গান বেজে যাচ্ছে...."ভোর হয়নি,আজ হলোনা,কাল হবে কিনা তাও জানিনে,পরশু ভোর ঠিক আসবে- এই আশাবাদ তুমি ভুলোনা"
তারপর আবার একটা সকাল চলে আসে।
প্রত্যাশা শুরু হয়-নতুন করে,নতুন ভাবে,নতুন কোথাও।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৯