কেমন করে তুমি বয়ান করবে সকালের কথা
দুরের আকাশে যখন ঠুমরির তালে পাখি ডানা ঝাপটায়
অথবা থৈ থৈ জলের জারজ সন্তানেরা আওয়াজ তোলে নিধুর নৃত্য ধ’রে
কেমন করে তুমি বয়ান করবে শরতের আকাশে মেঘের পালের ভাসমান ভাষা?
কেমন করে পারা যায় অই সব নিরাবতার বয়ান করতে যেখানে আয়নাল হক ও হাল্লাজের আলখেল্লার যুগপৎ বসবাস।
তুমি দেখাতে পারো জলের নিঃশ্বাস থেকে বৃক্ষের আয়ুবর্ধক বৃদ্ধি
বেচে থাকার একমাত্র সুচক জোয়ার ভাটার আঠালো স্বভাব
কীভাবে তুমি বয়ান করতে পারো অঙ্কিত বিন্দুর সীমাবদ্ধতায় আমাদের ইতিহাস রচিত হলো।
বলো নিরুপমা, অনুরোধের আসরে কিভাবে বয়ান করবে ফুটন্ত ফুলের ঘ্রাণ
প্যারিসের বোতলজাত নিঃসঙ্গতা দিয়ে অঙ্গ ঢাকা রমনীয় পুরি
পুড়ে দিলো অক্ষরের ক্ষত;এরপর বাক্যের ঘরে যদি তুমি দেখ সাপ লুডুর খেলায় মত্ত কিছু তরুণ তরু
তাদের হারজিতে যেভাবে তৈরী হয় পরজীবী সেমিকোলন
বলো দন্ডায়মান দাড়ানো চিন্হ দেখে কেউ আর ঘরে ফেরেনি এমন উদ্বাস্তুর বয়ান কীভাবে দেয়া যায় ভেঙ্গে গেলে আসর ও সর!