somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংবিধান সংশোধন বিষয়ে কয়েকটি কথা

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খুব তড়িঘড়ি করে সংবিধানের পষ্ণদশ সংশোধনী বিলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে পাশ করিয়ে নিল বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার । এই সংশোধনীতে কি যুক্ত হলো এবং কি রহিত হলো এটা এষনও জনগণের কাছে তেমন কোন গুরুত্বপুর্ন বিষয় নয়। তবে এটা ঠিক যে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুশীল সমাজ এবং প্রগতিশীল জনগণের একটা ধারণা জন্মেছিল যে বর্তমান সরকার সংবিধান পরিবর্তন করবে এবং সেই পরিবর্তনটা হবে মুলতঃ ৭২’র সংবিধানে প্রত্যাবর্তন। এটা আসলে সুশীল সমাজের যে একটা ভুল ধারনা ছিল সেটা প্রমানিত হলো পষ্ণদশ সংশোধনী বিলটি পাশ হওয়ার পর। বুধবার দিন বিকালে ১১ বাম দলের এই বিলের বিপরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি চার্চ আবার বুঝিয়ে দিল যে মুক্তি যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এবং স্বাধীন বাঙলার প্রথম আধা সেক্যুলার যে সংবিধান প্রনয়ন করেছিল আওয়ামীলীগ সেই জায়গা থেকে দলটি সরে আসতে আসতে যে প্রায় খাদে পড়ে যাওয়ার অবস্থা দাড়িয়েছে আজ তা অত্যন্ত সত্য আকারে দেখা দিচ্ছে। আহমদ ছফা একবার তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আওয়ামীলীগ যদি জেতে তাহলে আওয়ামীলীগের মাত্র কতিপয় লোক জেতে আর আওয়ামীলীগ যদি হেরে যায় তাহলে বাঙলাদেশটাই হেরে যায়। বোধ করি ছফা ঁেবচে থাকলে আজ আর এই কথা বলতেন না।
সুশীল সমাজের ভুল ধারণা নিয়ে কথা বলছিলাম। বলছিলাম প্রগতিশীল জনগনের আওয়ামীলীগকে কেন্দ্র করে ভুল ধারনার কথা। সেই ভুল ধারনাটি কি? আমাদের প্রথম খেয়াল করতে হবে যে ’৭২ সংবিধান প্রনয়নের পর থেকে চৌদ্দতম সংশোধনী পর্যন্ত যতগুলো সংশোধনী হলো সেই সংশোধনীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং স্পর্শকাতর যে পরিবর্তন আসলো সেই পরিবর্তন তো আওয়ামীলীগ মেনে নিয়েই এত দিন রাজনীতি করেছে। জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছেন,এরশাদ সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির সাথে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সাংঘর্ষিক। তবুও আওয়ামীলীগ এই সাংঘর্ষিক নীতি কেবল মেনে নিয়ে ছিলোই না এর একটি ধারাবহিক চর্চাও তারা করেছে আওয়ামী ওলামালীগ সৃষ্টি করে।এছাড়া নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে ধর্মচর্চার দিকটি তো প্রকাশ্যই।পষ্ণদশ সংশোধনী পাশ হওয়ার পর সংসদেও নিজ আসনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী যে সংক্ষিপ্ত ভাষন দিলেন সেই ভাষনের মধ্যেও ছিলো সাংঘর্ষিক উপাদান। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন সুরা আল ইমরান থেকে উদ্বৃতি দিয়ে। যেখানে বলা হচ্ছে ‘আল্লাহ যাকে চান রাজত্ব দেন’ আর যাকে চান না রাজত্ব কেড়ে নেন। আয়াতটির অর্থ ধরে বিচার করলে দাড়ায় রাষ্ট্রক্ষমতা কাকে দেবেন তার নির্বাচক হলেন আল্লাহ। এবং এটা আল্লাহ ঠিক করেন। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে এই কথা যে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক এটা তিনি খেয়াল করেননি। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার নির্বাচিত হবে জনগনের ভোটে। আল্লাহর হুকুমে নয়। ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যা হয়ে থাকে। এইখানে প্রধানমন্ত্রী জামাতে ইসলামের বা বাঙলা ভাইদের মতো করেই অনেকটা কথা বলেছেন। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পার্থক্যটা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিস্কার নয়। অবশ্য আমাদেরও বুঝতে অসুবিধা হয়না যে এটা তিনি রাষ্ট্রের ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তিকে খুশি করার জন্যেই বলেছেন। হাসানুল হক ইনু যথার্থই বলেছেন,‘এই প্রথম আওয়ামী লীগ বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করল। সামরিক ফরমানগুলো বহাল তবিয়তে রইল। নতুন এই সংবিধান সামরিক বুটের শব্দ প্রতিধ্বনিত করছে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক সরকারগুলো বৈধতা পেয়েছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি টিকে গেছে। জিয়া ও এরশাদেও সামরিক শাসনকে এই সংশোধনীর মাধ্যমে হালাল করা হয়েছে। এজন্য তো খালেদা জিয়ার উচিত শেখ হাসিনাকে এসে জড়িয়ে ধরা(সাপ্তাহিক,৭ জুলাই ২০১১.বর্ষ ৪.সংখ্যা ৮)।
সংবিধানে জিয়াউর রহমানের আনা সংশোধনীতে সমাজতন্ত্রের গায়ে হাত দেয়া হয়েছে এবং সেই ধারা মোতাকেক আওয়ামীলীগ সরকার গতবার এবং এবারও রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থায় যাবার কোন লক্ষনই আওয়ামীলীগ কেন বাঙলাদেশের খোদ বাম দলগুলোর মধ্যেও তেমন স্পষ্ট নয়। গনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের মধ্যেও রয়েছে অনেক তত্ত্বগত ফারাক। গনতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে আর ধর্ম নিরপেক্ষতা শব্দের প্রয়োজন হয়না। মোট কথা রাষ্ট্র যদি কোন প্রকার ধর্মকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয় তাহলে গনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের সাথে ধর্মের সংঘাত অনিবার্য হয় উঠতে বাধ্য। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের সংযোজন একটা হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তবে এটা ঠিক যে,‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থ এবং বিশ্বাস’ বাদ দেয়া হয়েছে। এঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। কারন আমরা দেখেছি যে বাঙলা ভাই বা শায়েক আব্দুর রহমানও ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস’ রেখেই ৬৩ জেলার আদালত পাড়ায় বোমা হামলা করেছিলো। এখন বিচারকরাও যদি ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস’ রেখে তাদের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে কোন আইনের ভিত্তিতে হবে? আল্লাহর আইনতো বিচার বিভাগ আর বাঙলা ভাইদের জন্যে সমান নয়।
আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম যদি ইসলাম করা হয় তাহলে আর গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র টেকে না ধর্ম নিরপেক্ষতা তো নয়ই। কারন গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্যে জুডিশিয়াল ল’কে এখনও গনতান্ত্রিক করা যায় নি। বিচারপতি নিয়োগে এখনও গনতান্ত্রিক পদ্ধতি বহাল করা যায়নি। ইসলামকে কেবলমাত্র প্রতীকায়িত করে রাখ্ওা সম্ভব নয়। শাসক শ্রেনীর দিকে তাকালে বোঝা যায় যে বর্তমান সরকার ইসলামকে কেবল ধর্মের দিক থেকে বিচার করে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে সংযুক্তি করেছেন। এসব তারা ভোটের জন্যেই করেছেন। অবশ্য এর পেছনে যে ভয়ংকর বিপদ অত্যসন্ন হয়ে আসছে এসব তারা টের পাচ্ছেন না। এখানকার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান এই হিসাবেই তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে। অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষকেই ইসলামিক ভাবাপন্ন করে দেখা হচ্ছে। এখন এই জনগণই যদি কখোনো প্রশ্ন তোলে যে, ইসলাম কেবল মাত্র রাষ্ট্রধর্ম আকারে
থাকলেই চলবে না। ইসলামে বিচারসংক্রান্ত নির্দেশনা আছে , ইসলামী অর্থনীতি,সমাজনীতি পররাষ্ট্রনীতি সহ মানুষের প্রত্যহ জীবন যাপনের নির্দেশনাই দেয়া আছে এবং ঐ গুলো আইন কানুন রাষ্ট্রনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে বাঙলাদেশ বা শাসন শ্রেনীর কি দশা হবে। আশা করার প্রয়োজন নেই ,এই বিষয়গুলো বর্তমান সরকার আজকে ঠিক টের না পেলেও অতি শীগ্রই হয়তো আমরা প্রত্যক্ষ করবো।
আসলে আমাদের নিজেদেরকে প্রথম যে প্রশ্ন করতে হবে সেটা হলো , আমাদের এই দেশটি মুলত কোন তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে বিকশিত হবে। বাঙালী জাতীয়তাবাদ ধর্ম নিরপেক্ষতা না সমাজতান্ত্রিক গনতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে। তত্ত্ব মানে হচ্ছে আমরা কেবল তত্ত্ব কপচিয়ে যাবো এমনটি নয়। কোন তত্ত্বের প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে আমরা আগাবো। বাঙলাদেশের সংবিধান সংশোধনী কেন্দ্রিক যে বিতর্ক সেটা আসলে বরাবরই একটা তাত্ত্বিক বিতর্ক। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার, বিরোধী দল এবং অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ চলছে আমরা যদি ভালো ভাবে তার বৈশিষ্টের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো যে দলগুলোর মধ্যে আসলে যে দ্বন্দ্ব চলে সেই দ্বন্দ্ব হচ্ছে তাত্ত্বিক পর্যায়ের। তাত্ত্বিক দিক থেকের ঐতিহাসিক বিষয় বস্তুর দ্বন্দ্বও আমরা হোতে দেখি আদতে তাদের এই দ্বন্দ্বের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর আচরনের মধ্যে কোন পার্থক্য পরিলক্ষীত হয় না। দুই দলের স্বভাব একই। উভয় দলই মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিশ্বাস করে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামে বিশ্বাস করে। স্বদেশ বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চুক্তির ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। এতসব মিল থাকা সত্ত্বেও কেবল ক্ষমতায় যাবার প্রশ্নে উভয় দল নিজেদের মধ্যে যে দ্বান্দ্বিক অবস্থান দেখায় জনগণ সেই সব অবস্থানকেই দুটি দলের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হিসাবে বিবেচনা করে থাকে।
এটা ঠিক যে,নাগরিক হিসাবে আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাবার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষমতা ঠিক ঠাক রাখার প্রশ্নে বা ঘুরে ফিরে নিজেদের ক্ষমতায় যাবার জন্যে রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে এমনকি সুশীল সমাজের কাউকেও তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে রাজি নয়। এ কারনেই গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে অপরাপর কোন মাধ্যম দ্বারা যে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এ পরীক্ষা আমরা করতে পারিনি, ভবিষৎতেও যেন সেটা সম্ভব না হয় এই প্রক্রিয়াটাও বহাল করা হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাও অনেক ভঙুর। ধারাবহিক কাউন্সিল নাই, নির্বাচনের প্রার্থী নির্বচণ জনগন কর্তৃক না হয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে হওয়া,সংসদে দল বা জোটের বাইরে গিয়ে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাওয়া এই সব কোন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদাহরন নয় । পষ্ণদশ সংশোধনীতেও এর সুরাহা নেই।
এবারের সংশোধনীর সব থেকে আলোচিত বিষয় হচ্ছে তত্ত¦াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আবার এই ব্যবস্থাকে পুনর্বহালের জন্যে হরতাল ধর্মঘট ইত্যাদি ডাকা হচ্ছে। আওয়ামীলীগ বলছে এটি একটি অগনতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাই কোন গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকতে পারে না। সাথে আছে আপিল ডিভিশনের রায়।
প্রথমে আমরা কোর্টের রায় বিষয়ে খানিকটা আলাপ আলোচনা করবো পরবর্তীতে আমরা এই ব্যবস্থাটি নিয়ে সামান্য কথা-বার্তা বলেই আমাদের লেখা শেষ করবো।
সুপ্রিম কোট তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষনা করেছে এবং দুই মেয়াদের জন্যে যদি সংসদ চায় তাহলে এই ব্যবস্থা বহাল রাখতে পারে। আমরা দেখলাম আগামী দুই মেয়াদের জন্যে এই ব্যবস্থা আওয়ামীলীগ সরকার রাখছে না। প্রশ্ন হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে অবৈধ সেটা কোর্ট আগে কেন দেখেনি। যখন এই ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত হচ্ছে। সংবিধানের সাথে বৈপরীত্য রাখে এমন বিষয় যদি সংবিধানে সংযুক্ত হয় এটা দেখ ভাল করার দায়িত্বতো সুপ্রিম কোর্টের। অন্য কিছু নয়। সুপ্রিম কোর্টের এই কাজটা সংসদ নিজেও করতে পারে। এইবারের সংখ্যাগরিষ্ট সরকার নিজেই এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বাতিল করতে পারতো। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কেন হলো। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব রয়েছে এটা দেখাশুনা করার। এই দায়িত্ব জ্ঞানটিতো কোর্টের হটাৎ করে গজিয়ে ওঠার নয়। সদা সর্বদা এই বিষয়ে কোর্টের চৈতন্য থাকা উচিত ছিলো। কিন্তু তারা সেই চেতনটুকু নিজেদের মধ্যে রাখেনি। হঠাৎ তাদের এই চৈতণ্যকে সাধারন জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে। যখন আওয়ামীলীগ , জাতীয় পার্টি এবং জামাতে ইসলামী তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার জন্যে আন্দোলন করছে এবং কাজে কাজেই যখন এই ব্যবস্থাটি সংসদে বিল আকারে পাশ হতে যাচ্ছে তখন সুপ্রিম কোর্ট কেন তৎকালীন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে হুশিয়্ওা করে দেয়নি যে, এই ব্যবস্থা একই সাথে সংবিধানন এবং গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপহ্নী। সংবিধানের গার্জিয়ান হিসাবে সুপ্রিম কোর্ট তার এই মহান দায়িত্ব পালন না করার জন্যে অভিযুক্ত হবেন। এবং একই সাথে আরো একটি বিষয় মুখ্য হয়ে দেখা দিচ্ছে এই যে, এই অবৈধ ব্যবস্থা সংবিধানে আইন আাকারে যে দলটি সংযুক্ত করলো এবং এই অবৈধ ব্যবস্থার জন্যে যারা আন্দোলন করলো তাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিরব কেন? কোর্টের উচিৎ ছিলো তার নিজের দায়িত্ব অবহেলা সহ রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গনতান্ত্রিক দায়িত্ব অবহেলার জন্যে সমান অভিযুক্ত করা। এটা হলে অবশ্যই আমরা একটি নতুন স্বচ্ছ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোয় প্রবেশ করতাম। অথচ আমরা এমনটা হতে দেখিনি, সামনে দেখতে পাবো কিনা তাও জানি না। এই অব্যবস্থাপনা বা নীতিহীন কাঠামো সবর্ত্র অগনতান্ত্রিকতার প্রমাণ দেয়। এটা কি সত্যি নয় যে যদি পষ্ণম সংশোধনী অবৈধ হয় তাহলে সেই সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে আসা কোর্টের সমস্ত নিয়োগই অবৈধ হয়ে যায়। বিচারপতিরা তাদের তৎকালীন নিয়োগ বা কার্জ কলাপকে অবৈধ না করে পারলেন কিভাবে ? কেবল রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্লেইম দিয়ে বা সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেই বিচার বিভাগের দায়িত্ব শেষ হয় না। মাঝে মাঝে তার নিজের প্রতিও সংবিধানের ধারাগুলোর প্রয়োগ ঘটানো উচিত।


৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×