১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন না করতে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার দলের সাবেক সাংসদ অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান।তিনি ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালনকে অশালীন, অসৌজন্যমূলক বলে অভিহিত করেন।শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি খালেদার প্রতি এই আহ্বান জানান।আখতারুজ্জামান বলেন, ''দল ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এখন থেকে ১৫ অগাস্ট তথাকথিত জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এই জন্মদিন পালন নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার জন্মদিন পালনকারীকেই বহন করতে হবে।''১৯৯১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালন করে আসছেন।
বিএনপি থেকে একাধিকবার বহি�কৃত আখতারুজ্জামান ১/১১ এর পর কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে কাজ করেন। ওই সময় আখতার 'খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ' গঠন করেন।আখতার দাবি করেন, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বৃহত্তর বরিশালের তৎকালীন এক সাংসদের 'কুবুদ্ধিতে' ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার 'তথাকথিত' জন্মদিন পালন শুরু হয়।তিনি বলেন, এখন এই দিনটিতে দেশের মাটিতে ঘটা করে জন্মদিন পালন করা জনগণের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননারই বহিঃপ্রকাশ। এমন একটি শোকের দিনে বিরোধী দলীয় নেত্রীর জন্মদিন পালন করা লাখ লাখ বিএনপি নেতা-কর্মীর কাছেও কাম্য নয়। জনগণও তা ভালো চোখে দেখে না।সাবেক এই সাংসদ বলেন, "বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাবাদী দল বিএনপি নয়। এ হত্যার দায় বিএনপির ওপর বর্তায় না। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভুল ও বিভ্রান্তিকর রাজনীতির কারণে আজ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।"আখতার আরো বলেন, তিনি (খালেদা) যে চাটুকার শ্রেণীর দ্বারা বিএনপির রাজনীতিকে বঙ্গবন্ধু বিরোধী তথা স্বাধীনতা বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী করার চেষ্টা করে আসছেন, তা দলের ও তার নিজের জন্য কী সর্বনাশ ডেকে এনেছে তা তিনি যদি অনুধাবন করতে না পারেন তবে তা হবে সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।