সিরাজগঞ্জের এক গ্রামে অন্তত ২৬ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
সংক্রমিতরা সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের অধিবাসী। অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত গরুর মাংসের সংস্পর্শে এসে ও ওই মাংস খেয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বৃহস্পতিবার জানান সিভিল সার্জন ডাঃ নূরুল ইসলাম তালুকদার।
সংক্রমিতরা হলেন জলিল, জাহাঙ্গীর, রহমতুল�া, ছালেহা বেগম, মালেকা খাতুন, শাহ আলম মেজাম্মেল হক, নওশাদ, হেলাল সরকার, নজরুল, ছালাম, সোনাউল�াহ, মনছুর খন্দকার, আছানুর, রফিকুল, কবির, নয়ন, রমজান, জাহানারা খাতুন, রঞ্জিদা খাতুন, তায়জাল, আনিজা খাতুন, হেলেনা খাতুন, বাবু সরকার এবং ৪ বছরের শিশু হৃদয় ও ৬ বছরের আলেয়া।
ইতিমধ্যে ঢাকার ইন্সটিটিউট অব এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইডিসিআর) ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) থেকে বিশেষজ্ঞ দল সিরাজগঞ্জে এসে পৌঁছেছেন জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, "তারা শুক্রবার সকালে ওই গ্রামে যাবেন।"
তিনি জানান, গ্রামবাসীকে সচেতন করতে শুক্রবার সকাল থেকে মাইকিং করা হবে। তবে এ রোগ ছোঁয়াচে নয় বলেও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের একটি দল ডা. শরিফুল ইসলাম ও জেলা সেনেটারি পরিদর্শক রাম চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ২৬ জনের আ্যনথ্রাক্স সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তাদের কোনো প্রতিষেধক দেয়া হয়নি।
রামচন্দ্র সাহা জানান, গত ২৯ জুলাই ওই গ্রামের আব্দুস ছালামের অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত ষাঁড় এবং শাহ আলমের গাভী জবাই করে মাংস গ্রামবাসীর কাছে বিক্রি করা হয়। সংক্রমিতরা সবাই ওই গরু জবাই, কাটা-ছেঁড়া, মাংস বানানো এবং খেয়ে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংক্রমিতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে গেছে এবং কারো কারো শরীরের সৃষ্ট ক্ষতস্থানে তীব্র ব্যাথা হচ্ছে বা পচন ধরতে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।