somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডলারের দিন শেষ! বলে কি??

০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যাঁ, বেশ জোরেশোরেই এই আওয়াজটা উঠছে। কথা যদিও শুরু হয়েছিল আগেই, তেমন একটা জোর পায় নাই। বিষয়টাও রাজনৈতিক ক্ষমতার টানাপোড়েনের বাইরে তেমন একটা ফোকাস পায় নাই বা তৈরি হয় নাই। মাঝে সাদ্দাম হোসেনের ডলারের বাইরে আসার চেষ্টাকে কেবল মার্কিন বিরোধিতা বলে অনেকে দায় সেরেছেন। বিরোধিতা ছিল বৈকি, তবে আরো একটু বেশি কিছু ছিল। সাদ্দামের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা না থাকুক দূরদৃষ্টি যে ছিল সেটা হাতেনাতে প্রমাণিত। তিনি ডলার সাম্রাজ্যের বুকে প্রথম আঘাতকারীই নয় পতনেরও প্রথম ইঙ্গিত দাতা। সে ইতিহাস একদিন নিশ্চয় আলোচিত হবে।

তবে আজ আমাদের প্রধান আলোচ্যসূচি অন্যত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন চিপায় ইওরোপ সহ উন্নত অর্থনৈতিক শক্তির দেশ বলে বিবেচিত রাষ্ট্রসমূহ পড়েছিল যে বাধ্য হয়ে মার্কিন মোড়লের হাতে প্রায় নিজেদের সকল আর্থিক নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থাকে বন্ধক দিতে হয়েছিল। পরে আস্তে আস্তে করে তা একটু কমেছে বা বেড়েছে। সাকুল্যে সবাইকেই তাদের কারেন্সির অধীনতা মেনে নিতে হয়েছে। শুরুতে যদিও কিছু নিয়ম-কানুনের দোহাই ছিল। পরে আমেরিকা অন্যদের কলা দেখিয়ে তাও আর মানেনি। কারো বিশেষ করার কিছু ছিলনা।

সেই থেকে ভৌতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের একক দাপট। যাকে তারা বলে পেপার কারেন্সি-- যার পিছনের ফেডারেল রির্জাভ ব্যাঙ্কের সমপরিমাণ সোনা রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। এ এক অদ্ভূত মুদ্রা যার মানদন্ড আমেরিকার খেয়ালখুশি। টোটাল ফিকশন। তাই চলতেছিল সমানে, বছরের পর বছর। কাগজ ছাপানোর ব্যবসা। সম্পদ আছে কিনা সেই হিসাব দেবার বালাই নাই।

চলতে কেন পারলো? সে বহু ফিরিস্তি দেবার মামলা। শুধ একটা উদাহরণ দিলে প্রধান একটা দিকের কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে। যেমন চীনাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা নিজের কারখানার মাল বেচাবিক্রি নিশ্চিত করার জন্য ভোক্তা হিসেবে আমেরিকাকে দরকার। আর আমেরিকা আরামে কাগজ ছাপায়া, সরকারী বন্ড বেইচা, সেইটাও আবার চীনাগো কাছে, সেই জিনিষ কিনা গেল। দুই জনেরই কাম সারলো। মজার লেনদেন। কিন্তু এই মজা তো বেশিদিন চলতে পারে না। এও পুজির আরেক ডাইলেমা। বেচাও লাগবো আবার মূল্যও উসুল করতে হবে। এখন সবই হইতেছিল ডলারে। অর্থাৎ চীনাদের সম্পদ বলে যা কিছু তৈয়ার হইতেছে তা আসলে ডলার। এই এক অসামান্য তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার জন্ম। মাল চীনাদের কিন্তু মালিকানা আমেরিকার।

এখন সেই ফেরকায় পইড়া তারা নিজ দায়িত্বে ডলার রক্ষার যুদ্ধ কইরা আসছে সমান তালে আমেরিকার লগে। উপায় নাই, ছিলো না।

এইবার অর্থনৈতিক ধ্বসের পর আর আর দেশেরও সমস্যাটা যখন প্রকট রূপ নিয়েছে এটারে মোক্ষম সময়ে সমাধা করার মওকা কোনোভাবেই কেউ হারাইতে চাইতেছে না। মুল মাজেজা হইল এখানে। তাই চারদিক থেকে আমেরিকার বন্ধু কইমা যাইতেছে। কে আর এই চক্করে পইড়া থাকতে চায়??

তয় কিনা, জাপান আর মধ্যপ্রাচ্যের মতো অতিশয় অনুগত রাষ্ট্রগুলাও ব্রাজিলের মতো তাজা রক্ত নিয়া তড়পাইতেছে...। এও দেখতে হইবো আমেরিকারে! চীন, রাশিয়া তো আছেই লগে ভারতও চামে ভিড়া গেছে। ব্যাপারটা আর মামুলি রাজনৈতিক মুলামুলিতে নাই। অর্থনৈতিক ক্ষমতার আমূল পুর্নবিন্যাসের দিকে ধাবিত হইতেছে। যথারীতি পূজিঁর নিজস্ব নিয়মে।

কিন্তু কি দাঁড়াবে এখান থেকে? সার্বিকভাবে কি আকার নিতে যাচ্ছে আগামী দিনের দুনিয়া? আমাদের অবস্থান কী হবে??

এখানে কিছু লিংক দিলাম, হালচাল বোঝার জন্য।
The demise of the dollar(Click This Link)
The end of the dollar spells the rise of a new order(Click This Link)
China will overtake America, the only question is when(Click This Link)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×