somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগারদের অনুরোধ পর্ব - Basic sentence structure

১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারপর? কেমন চলতেছে সবার দিনকাল? রাস্তায় জ্যামের অবস্থা কি? অনেকদিন ওয়ার্কিং ডে তে বাসে চড়া হইতেছে না। অফিসে ঢুইকাই সবাই জ্যামের গল্প করে আগে। আমারো ওগর লগে হা হুতাশ কইরতে খারাপ লাগে না। আর কারেন্টের কতা এহন আর কেউ কিছু কয় না। মনে অয় সবাই নিয়তি মাইনা নিছে। যার যেই সামর্থ আছে হেইডা দিয়া কেউ জেনারেটর কিনে, কেউ আইপিএস কিনে আর আমি কিনছি একটা লেপটপ:D। আগে কারেন্টের লগে লগে আমার জীবনযাত্রা(কহন গুমামু, কহন ব্লগ পড়মু এইসব আরকি) মিলাইতে হইত। অহন আমি থাহি আমার মতো কারেন্টে থাহে কারেন্টের মতো। কয়েকডা মুন্ডহীন প্রানীর(ভুত) কাছে আমাগর নিয়তিডা জিম্মি। এই আছিল কপালে আরকি।

ওক্কে। আজকে একজন ব্লগার ইংলিশ বাক্য গঠন নিয়া লিখতে কইছিল। এই জিনিসটা পরথমেই আলোচনা করা উচিৎ আছিল। যাই হউক বেশি দেরিও হয় নাই।

একটা সুত্র দিয়া আমরা Basic sentence structure টা শিক্ষা ফালামু। সূত্রডা অইল:

S A V O1 O2 D1 D2 M1 M2 P T R - চোখ বন্ধ কইরা মুখস্ত করেন দিকি। আমার লগে কন - সাব ওডিএম পিটিআর সাব ওডিএম পিটিআর সাব ওডিএম পিটিআর।
মুখস্ত হইলে এহন নিছে আসেন।
একটা টেষ্ট লই। কাইনটামি কইরবেন না। নিজের লগে কাইনটামি বালা না।
কইনছাই তারাতারি - উপরের সূত্রে কয়টা অক্ষর? - পারলে নিছে আসেন না পারলে আবার পড়েন।

এহন কইতাছি কোন অক্ষর দিয়া কি বুঝাইতেছে।
S - subject
A - Adverb of Frequency*
V - verb
O1 - কাকে?
O2 - কি?
D1 - কোথা হতে?(গতি থাকতে হবে)
D2 - কোন দিকে?(গতি থাকতে হবে)
M1 - কিভাবে?
M2 - কার সাথে?
P - কোথায়?
T - কখন?
R - কেন?

*Adverbs of frequency: Always, usually, normally,
generally, often, frequently, sometimes, never,
occasionally, hardly, rarely, seldom, ever

এইগুলাও মুখস্ত করেন তো। একদম ঝাড়া মুখস্ত। কেউ বিরক্ত হইয়েন না কইলাম। এত কিছু মুখস্ত করানোর পিছে কি উদ্দেশ্য তা কিছুক্ষন পরেই খোলাশা করুম। তহন টের পাইবেন মুখস্ত করাতে কি কি লাভ হইছে আফনার।

এহন কই কি আছে উপরের এই ১২ ডা অক্ষরের সুত্রে:
১) পরথমেই বাংলা বাক্যের ক্রিয়া পদটারে বাহির করেন।
১) এইবার ক্রিয়া পদটারে খেয়াল করেন ক্রিয়া পদটারে উপরের অক্ষর গুলা দিয়া যেই যেই প্রশ্ন করা হইছে সেই সেই প্রশ্ন কইরা উত্তর বাইর করেন।
২) তারফর এই উপরের অক্ষর গুলা যেই অর্ডারে সাজানো আছে, আফনের প্রশ্ন গুলার উত্তর সেই অর্ডারে সাজান
৩) এইবার ইংলিশে ট্রান্সলেট কইরা ফালান।

ব্যস এই হইল Basic sentence structure।
এহন আসেন কয়েকটা উদাহরনের সাহাইয্যে ব্যপারডা ক্লিয়ার কইরা ফালাই।

উদাহরন#১:
আমরা ইংরেজি শিখতে ব্লগে আসি।

পরথমে verb টা বাহির করেন - আসি
এরপর subject টা বাহির করেন - একটা বটিকা শিক্ষাই। ক্রিয়া পদটারে "কে" দিয়া প্রশ্ন করেন। কে আসে? উত্তর - আমরা।

S আর V বাহির হইয়া গেল। আমাদের উদাহরনে A নাই।
এখন O1 - কাকে আসে বা কাকে আসি টাইপের কুনু প্রশ্ন হয়না তাই এইটা বাদ।
এখন O2 - কি আসে বা কি আসি টাইপের কুনু প্রশ্ন হয়না তাই এইটাও বাদ।
D1 দিয়া প্রশ্ন করলে কুনু উত্তর পাওয়া যায় না।
D2 - কোন দিকে আসি? উত্তর ব্লগের দিকে। কিন্তু আমাগোর শর্ত আছিল যে গতি থাকতে হবে। ব্লগে আসতে হইলে কিন্তু আমাগোরে রিকসা ভাড়া দেওন লাগে না। তাই এই উত্তরখান আমরা নিমু না। আসেন আগাইতে থাকি।
.........
P - কোথায় আসি? উত্তর ব্লগে আসি। আমার এই প্রশ্নে D1 D2 এর মতো কুনু বাধাধরা নিয়ম নাই। তাই এই উত্তর ডা নেয়া যায়। কি কন?
.........
এভাবে R দিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা শেষ উত্তর পাই - কেন আসি? উত্তর ইংরেজি শিখতে।

এখন তাইলে বাক্যডারে অক্ষরগুলার অর্ডারে সাজায়ে ফেলেন।
S--------V--------P---------R
আমরা---আসি----ব্লগে-------ইংরেজি শিখতে

এহন ট্রান্সলেট টা কইরা ফালান - we come to blog to learn english.

এহন নিজে নিজে দুইটা করেন তো দেহি।
১) আমি বিছানায় ঘুমাই।
২) আমি বিছানায় যাচ্ছি।

বাংলা বাক্যে ক্রিয়াপদ বাহির করনের একটা বটিকা শিক্ষাই - বাক্যের শেষের শব্দটা বা শেষ দুইটা শব্দ মিল্লা সাধারনত(অধিকাংশ ক্ষেত্রে) ক্রিয়াপদ হ্য়।
ব্যতিক্রমও আছে। যেমন: স্কুলে যাবার পথে সুমনা কে উত্ত্যক্ত করত প্রতিবেশি আশরাফুল। - এইখানে কিন্তু "উত্ত্যক্ত করত" হইল বাক্যের ক্রিয়াপদ।
আবার আসেন, সখিনা অসুস্থ। কুনু ক্রিয়াপদ খুইজা পান? এইখানে অসুস্থ হইতাছে adjective. এই ধরনের বাক্যগুলারে ট্রান্সলেট করার লাইগা ইংরেজিতে auxiliary verb বা সহায়ক ক্রিয়া নামে একজিনিস আছে যেইটা বাংলা বাক্যে উহ্য থাকে। সখিনা অসুস্থ - বাক্যটার মইধ্যে সহায়ক ক্রিয়া হইল "হয়"। সখিনা হয় অসুস্থ - Shokhina is sick.
তাইলে আমরা কি শিখলাম? বাংলা বাক্য ক্রিয়াপদ ছাড়াও অইবার পারে।মাগার ইংরেজি বাক্য না। ভুলেও না।
তাই দেইখা শুইন্না।


এহন আহেন কতগুলা "নিয়ম" কপচাই।
নিয়ম#১:
R - কেন? এর উত্তরে যদি verb পান তাইলে verb টা to দিয়া যুক্ত করতে হইব।
যেমন: আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছি।
S - আমি
V - চেষ্টা করছি.
R - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য (admit at Dhaka University)
এইখানে admit কিন্তু একটা verb। তাইলে ইংরেজিটা কি অইব?
I am trying to admit at Dhaka University.


এইটা নিয়ম না#২:
T ও R বাক্যের শেষে বা আগে উভয় স্থানেই থাকতে পারে।
যেমন: স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য সকালবেলা সে রমনা পার্কের চারিদিকে হাঁটাহাঁটি করে।

S - subject - সে - he
V - verb - হাঁটাহাঁটি করে - walks
P - কোথায়? - রমনা পার্কের চারিদিকে - round the Ramna Park
T - কখন? - সকালবেলা - In the morning
R - কেন? - স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য - to keep himself healthy

S---V-------P------------------------------T-------------------R
He walks round the Ramna Park in the morning
to keep himself healthy

বা,
T-------------------R------------------------------S---V-------P
In the morning to keep himself healthy he walks round the Ramna Park.

বা,
T-------------------S---V-------P-------------------------------R
In the morning he walks round the Ramna Park
to keep himself healthy



উপরের যে নিয়মটা নিয়ে কথা বললাম এটা কিন্তু Simple Sentence এর বেলায় কাজে লাগাতে পারবেন। বড় বড় Sentence বা Compound Sentence এর বেলায় তেমন কাজে আসবে না। :)



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×