somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'আর যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সুচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব।' [২১:১০৪]

১০ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। রহমান রহিম আল্লাহর নামে শুরু করছি।

৯৪. সুতরাং কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে ও সৎকর্ম করলে তার প্রতিটি উদ্যোগ ও শ্রমের প্রতিফল সে পাবে। কারন তা যথাযথ ভাবেই সংরক্ষিত হচ্ছে।

৯৫. কিন্তু এটা অবধারিত সত্য, যে-সব জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, সেখানকার অধিবাসীরা কখনোই (পাপের পথ থেকে) প্রত্যাবর্তন করবে না।

৯৬. যতক্ষন পর্যন্ত না ইয়াজুজ-মাজুজ কে ছেড়ে দেয়া হবে এবং তারা চারদিক থেকে সকল উচ্চতা অতিক্রম করে (পঙ্গপালের মতো) জমিনকে ছেয়ে ফেলবে। ৯৭. যখন মহাবিচারের অঙ্গীকার পূরনের সময় ঘনিয়ে আসবে, তখন সত্য অস্বীকার কারীদের চোখ আতঙ্কে স্থির হয়ে যাবে। আর্তনাদ করে বলবে, হায়! দুর্ভোগ আমাদের! আমরা উদাসীন ছিলাম! আমরা পাপে নিমজ্জিত ছিলাম!

৯৮. (তখন ওদের বলা হবে) তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তোমরা উপাসনা করেছ, সবাইকে জাহান্নামের ইন্ধন বানানো হবে। তোমরা সেখানেই প্রবেশ করবে। ৯৯. এই উপাস্যরা যদি প্রকৃত উপাস্য হতো, তবে তাদের জাহান্নামে প্রবেশ করতে হতো না। কিন্তু ওদের প্রত্যেকেই জাহান্নামে থাকবে। ১০০. জাহান্নামে এই শরিকদের কানফাটা আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই তারা শুনতে পাবে না।

১০১. (বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের জন্যে) আমি আগে থেকেই কল্যান নির্ধারিত করে রেখেছি। তাদের জাহান্নাম থেকেও দুরে রাখা হবে। ১০২. তারা এ (জাহান্নামীদের) আর্তনাদের ক্ষীনতম শব্দও শুনবে না। তারা সেখানে তাদের মনপসন্দ সবকিছু চিরকাল উপভোগ করবে। ১০৩. মহাবিচারের সমাবেশ ময়দানের বিভীষিকায় বিশ্বাসীরা কখনো বিচলিত হবে না। ফেরেশতারা তাদের স্বাগত জানিয়ে বলবে, 'আজ তোমাদের সেই শুভ দিন, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেয়া হয়েছিল।'

১০৪. (হে মানুষ! সেদিনের কথা ভাবো) যেদিন মহাকাশকে লিখিত কাগজের পাতার ন্যায় ভাঁজ করে গুটানো হবে। আর যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সুচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার দায়িত্ব আর আমি ওয়াদা পালন করবই।

১০৫. আমি আসমানী কিতাব সমূহে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি যে, আমার সৎকর্মশীল যোগ্য বান্দারাই শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে। ১০৬. এতে আল্লাহর ইবাদতকারী জনগোষ্ঠীর জন্যে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।

১০৭. (অতএব হে নবী!) আমি আপনাকে বিশ্বজাহানের জন্যে করুনার নিদর্শন (রহমাতুল্লিল আলামীন) হিসেবে পাঠিয়েছি। ১০৮. (হে নবী! ওদের) বলুন, আমার উপর ওহী আসে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ! এরপরও কি তোমরা তার কাছে সমর্পিত হবে না?

১০৯-১১১. যদি ওরা এই সত্য মানতে অস্বীকার করে, তবে (হে নবী!) তুমি ওদের বলো, আমি প্রকাশ্যভাবেই সবাইকে অবধারিত আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছি। যদিও আমি জানি না, প্রতিশ্রুত আজাবের সময় কাছে, না দুরে। তোমরা মুখে যা বলো, তা-ও তিনি জানেন আর যা গোপন রাখো তা-ও তিনি জানেন। কিন্তু আমি জানি না (আল্লাহর আজাব বিলম্বিত হওয়া) তোমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, না তাঁর সাময়িক করুনা!

১১২. (হে নবী!) বলো, 'হে আমার প্রতিপালক! তুমি ন্যায়বিচার করো।' এবং (বলো) 'আমাদের প্রতিপালক তো দয়াময়। তোমরা যে অবমাননাকর কথা বলছ, তার মোকাবেলায় তিনিই আমাদের সহায়!'

[সুরা আম্বিয়া-২১; রুকু ৭; আয়াত ৯৮-১১২; ]

[প্রিয় পাঠক, 'আল কোরআন বাংলা মর্মবানী' কোরআনের বাংলা অনুবাদ নয়। আল্লাহতে সমর্পিত একজন মানুষ হিসেবে কোরআনের বানীর যে অন্তর্নিহিত অর্থ আমি উপলব্ধি করেছি, তা-ই আন্তরিকতার সাথে মায়ের ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।... - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক]


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×