সভ্যতার প্রারম্ভ থেকে মানুষ তার জ্ঞান, বিদ্যাবুদ্ধি প্রভৃতি যাবতীয় মানসিক সম্পদকে কোনো না কোনো পন্থায় পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছে। এই মনোবৃত্তি থেকেই মানুষ ওই সকল জিনিসের স্থায়ী সাক্ষ্য লিখে বা উত্কীর্ণ করে রেখেছে। তাই লেখার উপাদান হিসেবে কাগজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। সাংকেতিক উপায়ে কথোপকথন এবং আকার-ইঙ্গিতের কথাবার্তার পর্যায় উত্তরণ করে মানুষ যখন লিখিতভাবে মনের ভাব প্রকাশের পর্যায়ে আসে তখন লেখার উপকরণের প্রয়োজন হয়। তাই প্রয়োজনের তাগিদে মানুষের চিন্তা-ভাবনার বিকাশ ঘটে। যার ফলে মানুষ আদি যুগ পেরিয়ে অনেক যুগ পরে কাগজ আবিষ্কার করতে সমর্থ হয়। কাগজ আবিষ্কারের পূর্বে বহু শতাব্দী যাবত মানুষ পাথর, পাতা, গাছের ছাল, লোহা, তামা, স্বর্ণ, পোড়ামাটি ইত্যাদি লেখার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। জ্ঞান-বিজ্ঞানে উত্কর্ষতার সাথে সাথে মানুষ কাগজ আবিষ্কার করে। যদিও কাগজের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি তবে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত যে ১০৫ খিস্টাব্দে গো তির জনসংযোগ বিষয়ক মন্ত্রী সাইলুন সর্বপ্রথম কাগজ তৈরির নতুন উপায় আবিষ্কার করেন।